করোনার মাঝে নয়া সংশয়, নয়া ভাইরাস মারবার্গে মৃত ২
Array
করোনা বিশ্বকে কার্যত নাকানিচোপানি খাইয়ে ছাড়ছে। আর এসবের মাঝে 'হু' জানাল ফের এক নতুন ভাইরাসের কথা, যা প্রাদুর্ভাব ছড়াচ্ছে বিশ্বে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এবার ঘানায় প্রথম ইবোলা-জাতীয় মারবার্গ ভাইরাস রোগের প্রাদুর্ভাব দেখা দিয়েছে বলে জানিয়েছে। সেখানকার ল্যাবরেটরি থেকে এই মাসের শুরুতে দুটি সংক্রমণের খবর নিশ্চিত করা হয়েছে।
কী ধরনের রোগ এটি ?
হু জানাচ্ছে যে এই রোগটি, ইবোলার মতো একই পরিবারের একটি অত্যন্ত সংক্রামক রোগ। এর ফলে রক্তক্ষরণ হয় জ্বর আসে। বাদুড়ের খাওয়া বা আঁচড়ানো ফল মানুষ খেলে এর মাধ্যমে রোগটি মানুষের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে।
কীভাবে এটি ছড়িয়ে পড়ে ?
সংক্রামিত মানুষের শারীরিক তরল এবং এক জনের সঙ্গে অপরের সরাসরি সংযোগের মাধ্যমে লোকেদের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে। ডব্লিউএইচও বলেছে, দুই রোগীর নমুনাগুলির প্রাথমিক বিশ্লেষণ করে দেখা গিয়েছে ঘানার দক্ষিণ অশান্তি অঞ্চলেরএরা বাসিন্দা ছিলেন। এও জানা গিয়েছে যে এরা উভয়ই মারা গিয়েছে এবং এও জানা গিয়েছে এঁদের রোগ কারও সংস্পর্শে এসে হয়নি। আরও তথ্যের জন্য ওই নমুনা সেনেগালের ডাকার ইনস্টিটিউট পাস্তুরে পাঠানো হয়েছে৷ তবে রাষ্ট্রসংঘের স্বাস্থ্য সংস্থার ল্যাব ঘানার নোগুচি মেমোরিয়াল ইনস্টিটিউট ফর মেডিকেল রিসার্চের ফলাফলগুলিকে সমর্থন করেছে। ডব্লিউএইচও রবিবার এক বিবৃতিতে এমনটাই বলেছে।
আর কী জানা যাচ্ছে ?
প্রথম
কেসটি
ছিল
একজন
২৬
বছর
বয়সী
পুরুষের
যিনি
২৬
জুন
একটি
হাসপাতালে
পরীক্ষা
করিয়েছিলেন
এবং
২৭
জুন
মারা
যান।
দ্বিতীয়জন
ছিলেন
একজন
৫১
বছর
বয়সী
পুরুষ
যিনি
২৮শে
জুন
হাসপাতালে
গিয়েছিলেন
এবং
একই
দিনে
মারা
যান।
কী বলেছে হু ?
হু বলেছে যে উভয় ব্যক্তি একই হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য গিয়েছিলেন। আফ্রিকার ডব্লিউএইচওর আঞ্চলিক পরিচালক ডঃ মাতশিদিসো মোয়েতি বলেছেন, "স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ দ্রুত সাড়া দিয়েছে, প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে একটি সম্ভাব্য প্রাদুর্ভাবের কীভাবে রোখা যায় তার জন্য। ডাব্লুএইচও স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষকে সমর্থন করছে এবং দ্রুত এটিকে একটি প্রাদুর্ভাব বলে ঘোষণা করে দিয়েছে, আমরা এ নিয়ে কাজ শুরু করে দিয়েছি।"
যারা
ওই
দুই
ব্যক্তির
সংস্পর্শে
এসেছিলেন
সেই
স্বাস্থ্যকর্মী
সহ
৯০এর
বেশি
জনকে
সনাক্ত
করা
হয়েছে
এবং
তাদের
পর্যবেক্ষণ
করা
হচ্ছে
বলে
জেনেছে
ডব্লিউএইচও।
মারবার্গ
সম্ভাব্য
খুব
ক্ষতিকারক
এবং
মারাত্মক।
অতীতের
প্রাদুর্ভাবের
ক্ষেত্রে
মৃত্যুর
হার
২৪
শতাংশ
থেকে
৪৪
শতাংশ
পর্যন্ত
ছিল
বলে
জানা
যাচ্ছে।
এই
রোগ
পশ্চিম
আফ্রিকায়
এই
নিয়ে
দ্বিতীয়বার
সনাক্ত
করা
গিয়েছে।
এর
আগে
অ্যাঙ্গোলা,
কঙ্গো,
কেনিয়া,
দক্ষিণ
আফ্রিকা
এবং
উগান্ডায়
এই
রোগ
দেখা
গিয়েছিল
বলে
জানিয়েছে
হু।