এক দেশ এক ভোটার তালিকা! নির্বাচনী সংস্কারের দাবিতে সরব বিজেপির নাকভি
এক দেশ এক ভোটার তালিকার পক্ষে সওয়াল করলেন প্রবীণ বিজেপি নেতা মুক্তার আব্বাস নাকভি। নির্বাচনী সংস্কারের দাবিতে সরব হয়ে বিজেপি নেতা বলেন, দেশের নির্বাচন প্রক্রিয়া অবিলম্বে সংস্কারে প্রয়োজন রয়েছে।
এক দেশ এক ভোটার তালিকার পক্ষে সওয়াল করলেন প্রবীণ বিজেপি নেতা মুক্তার আব্বাস নাকভি। নির্বাচনী সংস্কারের দাবিতে সরব হয়ে বিজেপি নেতা বলেন, দেশের নির্বাচন প্রক্রিয়া অবিলম্বে সংস্কারে প্রয়োজন রয়েছে। রাষ্ট্রীয় স্বয়ং সেবক সঙ্গে মতাদর্শী দীনদয়াল উপাধ্যায়ের জন্মবার্ষিকীর উদযাপন অনুষ্ঠানে প্রাক্তন সংখ্যালঘু বিষয়কমন্ত্রী এই বার্তা দেন।
তিনি বলেন, দেশে পঞ্চায়েত, পুরসভা, কর্পোরেশন, বিধানসভা, লোকসভা বা অন্যান্য নির্বাচনের জন্য পৃথক পৃথক ভোটার তলিকা শুধুমাত্র বিভ্রান্তি তৈরি করে না। ভোটার তালিকার বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়েও প্রশ্ন তুলে দেয়। এক দেশ এক ভোটার তালিকা কিংবা এক দেশ এক ভোটার কার্ড এই সমস্যার সমাধান করতে পারে।
নাকভির কথা, প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী অটল বিহারী বাজপেয়ীর আমলে ২০০০ সালে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন বা ইভিএম ব্যবহার শুরু হয়। দুটির বেশি জায়গা থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতার উপর নিষেধাজ্ঞা জারি হয়। এছাড়া নির্বাচনী ব্যয়ের সীমাবদ্ধতা-সহ অনেকগুলি নির্বাচনী সংস্কার হয়েছিল তাঁর আমলে। রাজনীতিতে অপরাধীদের রুখতেও বিশেষ সংস্কার হয়েছিল।
নাকভি বলেন, বর্তমান প্রধানমন্ত্রী মোদী নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সংস্কারেরও সূচনা করেছেন। মোদী সরকার সমস্ত রাজনৈতিক দলের প্রার্থীদের কালো টাকা ব্যবহার রোধ করতে এবং নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় আর্থিক স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে নির্বাচনী বন্ড এনেছে। এছাড়াও অন্যান্য সংস্কারও আনা হয়েছে।
তিনি বলেন, মোদীর দ্বারা প্রবর্তিত অন্যান্য নির্বাচনী সংস্কারগুলির মধ্যে রয়েছে ভোটারদের জন্য সহজ পদ্ধতি, ভোটার আইডি কার্ডের সম্প্রসারণ, অর্থ এবং পেশী শক্তি প্রয়োগের উপর আইনি বাধানিষেধ। এছাড়া এক দেশ এক ভোটের আবেদনও করা হয়েছে তাঁর সরকারের পক্ষ থেকে। তিনি বলেন, দীনদয়াল উপাধ্যায় ছিলেন রাজনৈতিক বিশুদ্ধতার একটি প্রতিষ্ঠান। তাঁর নীতি ও আদর্শকে নির্বাচনী সংস্কারের জন্য একটি অপরিহার্য এবং কার্যকর পাঠ বলে অভিহিত করেছেন।
নির্বাচনী রাজনীতিতে অর্থ ও পেশী শক্তি সম্পর্কে জনগণকে সতর্ক করে নেতা বলেন, পণ্ডিত উপাধ্যায় বলেছিলেন একজন ব্যক্তিকে ভোট দিন তার পার্সকে নয়, একটি দলকে ভোট দিন ব্যক্তিকে নয়। আর আদর্শকে ভোট দিন কোনও দলকে নয়। দীনদয়াল উপাধ্যায় সুবিধাবাদের বিরুদ্ধে সতর্ক থাকার কথা বলেছিলেন। আজকাল সুবিধাবাদীতে ভরে গিয়েছে রাজনীতি। তাই তা থেকে রাজনীতিকে এবং বিশেষ করে ভোট রাজনীতিকে দূরে সরিয়ে রাখতে হবে। তরা জন্যই দরকার নির্বাচনী সংস্কার। সেই দাবিই ফের একবার উঠে পড়েছে সময়ের ডাকে।