সম্পত্তি নিয়ে বিবাদ রুখতে উত্তরাধিকার বাছাইয়ে পরিবার কাউন্সিল গঠন মুকেশ আম্বানির
সম্পত্তি নিয়ে বিবাদ রুখতে উত্তরাধিকার বাছাইয়ে পরিবার কাউন্সিল গঠন মুকেশ আম্বানির
বিশ্বের চতুর্থ ধনী ব্যক্তি মুকেশ আম্বানি এবার নিজের পারিবারিক ব্যবসা পরিচালনার জন্য 'ফ্যামিলি কাউন্সিল’ গঠন করছে। এ বিষয় নিয়ে অবগত হওয়া সরাসরি ২ জন ব্যক্তি জানিয়েছেন যে, মুকেশ আম্বানির পর তাঁর ব্যবসা পরিচালনা কার হাতে তুলে দেওয়া হবে, তা নির্ধারণের জন্যই এই পরিকল্পনা করেছেন আম্বানি।
উত্তরাধিকার বাছাইয়ের জন্য এই কাউন্সিল
জানা গিয়েছে, রিলায়েন্স ব্যবসার সামলানোর জন্য পরবর্তী উত্তরাধিকার নির্ধারণ করবে এই পরিবার কাউন্সিল। এই কাউন্সিলে পরিবারের প্রত্যেক সদস্যকে প্রতিনিধিত্ব করার সমান সুযোগ দেওয়া হবে, সেখানে আম্বানির ছেলে আকাশ, অনন্ত ও ইশা আম্বানিও যোগ দেবেন। ওই দু'জন ব্যক্তির মধ্যে এক ব্যক্তি বলেন, ‘রিলায়েন্সের উত্তরাধিকার বাছাইয়ের জন্যই মূলতঃ এই পদক্ষেপ নেওয়া এবং পরিবাররে প্রাপ্ত বয়স্ক সদস্য, তিন সন্তান ও সম্ভাব্য বহিরাগত সদস্যদের এই কাউন্সিলের মেন্টর ও পরামর্শদাতা হিসাবে যুক্ত করানো হবে।' জানা গিয়েছে, এই কাউন্সিল আরআইএলের সিদ্ধান্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেবে। এই ফোরামটি প্রতিটি শাখায় সম্মত পদ্ধতিতে প্রতিনিধিত্ব প্রদান করবে এবং পরিবার বা এর ব্যবসায়ের সঙ্গে সম্পর্কিত যে জটিল সিদ্ধান্ত নিতে সহায়তা করবে।
সম্পত্তি নিয়ে কোনও বিবাদের সৃষ্টি যাতে না হয়
ওই ব্যক্তি জানিয়েছেন যে, ৬৩ বছরের আম্বানি তাঁর ব্যবসার উত্তরাধিকারের সিদ্ধান্তটি আগামী বছর শেষ হওয়ার আগেই সেরে ফেলতে চান। এই কাউন্সিল গঠনের পেছনে মুকেশ আম্বানির উদ্দেশ্য হল তাঁর পরিবার যাতে রিলায়েন্সের ৮০ বিলিয়ন ডলারের সম্পত্তি নিয়ে স্বচ্ছ প্রতিচ্ছবি তৈরি হয়, যাতে ভবিষ্যতে সম্পত্তির ভাগ-বাটোয়ারা নিয়ে কোনও ঝামেলা না হয়। আসলে মুকেশ ও অনিল আম্বানি এই দুই ভাইয়ের মধ্যে সম্পত্তি ও ব্যবসা নিয়ে যে ঝামেলার সৃষ্টি হয়েছিল, তার যাতে পুনরাবৃত্তি না হয়, তাই আগে থাকতেই সতর্কতা অবলম্বন করছেন মুকেশ। ১৯৭৩ সালে ধীরুভাই আম্বানির হাতেই শুরু হয়েছিল আরআইএল। কিন্তু আম্বানি ভাইয়েরা সেই ব্যবসাকে দু'ভাগে ভাগ করে নিয়েছেন।
রিলায়েন্সের ডিরেক্টর পদে আম্বানি সন্তানরা
২০১৪ সালের অক্টোবরে আকাশ ও ইশা আম্বানি রিলায়েন্স জিও ইনফোকম লিমিটেড ও রিলায়েন্স রিটেইল ভেঞ্চার্স লিমিটেডের বোর্ডে যোগ দেন ডিরেক্টর হিসাবে। আম্বানির ছোট পুত্র অনন্ত অতিরিক্ত ডিরেক্টর হিসাবে যোগ দেন জিও প্ল্যাটফর্মের বোর্ডে ওই বছরের মার্চ মাসে। আকাশ ও ইশাও এই জিও প্ল্যাটফর্মের বোর্ড অফ ডিরেক্টরে রয়েছেন। এছাড়াও ইশা রিলায়েন্স ফাউন্ডেশন ইনস্টিটিউট অফ এডুকেশন অ্যান্ড রিসার্চের ডিরেক্টর, যারা জিও ইনস্টিটিউট তৈরি করেছে। আকাশ এবং অনন্ত দু'জনেই আমেরিকার ব্রাউন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক হয়েছেন এবং ইশা মনোবিজ্ঞান নিয়ে ইয়ালে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পড়াশোনা করেন।
রিলায়েন্সের অংশীদারগুলিকে সাজানো হয়েছে
সাম্প্রতিক বছরগুলিতে ধারাবাহিকভাবে পুনরুদ্ধারে মুকেশ আম্বানি, তাঁর স্ত্রী নীতা এবং তিন সন্তান একে অপরের কাছ থেকে শেয়ার অর্জন করে আরআইএলে তাদের অংশীদারগুলিকে নতুনভাবে সাজিয়েছেন।
ভোট দিতে না দিলে পিঠের চামড়া খুলে নুন মাখিয়ে রাস্তায় ছেড়ে দেওয়া হবে, তৃণমূলকে হুঁশিয়ারি সায়ন্তনের