বালি মাফিয়াদের হাতে নিহত কনস্টেবলের মৃত্যুর তদন্তে সিট গঠন করল মধ্যপ্রদেশ সরকার
নয়াদিল্লি, ৬ এপ্রিল : মধ্যপ্রদেশের মোরেনায় বালি মাফিয়াদের হাতে হেড পুলিশ কনস্টেবল ধর্মেন্দ্র চৌহানের নিহত হওয়ার ঘটনায় বিশেষ তদন্তকারী দল গঠন করে তদন্তের নির্দেশ দিল শিবরাজ চৌহানের সরকার।
মধ্যপ্রদেশে বালি মাফিয়াদের লরি পিষে দিল পুলিশকে
১৫ দিনের মধ্যে তদন্ত রিপোর্ট জমা দিতে বলা হয়েছে। সেই রিপোর্ট দেখেই ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে সরকার সূত্রে জানা গিয়েছে। পাশাপাশি বালি মাফিয়াদের বিরুদ্ধেও কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ চৌহান।
শনিবার রাতে বালি মাফিয়াদের আটকাতে গিয়ে তাদের লরির চাকা পিষে মারা যান নুরাবাদ থানার পুলিশ কনস্টেবল ধর্মেন্দ্র চৌহান।
সেদিন গোপন সূত্রে খবর পেয়ে নুরবাদ থানা এলাকার অন্তর্গত লৌগড় গ্রামে যায় পুলিশের একটি দল। সেই দলে ছিলেন ধর্মেন্দ্র। খবর ছিল, ডাকাতির ঘটনায় জড়িত একদল দুষ্কৃতী সেখানে লুকিয়ে রয়েছে। গ্রামে গিয়ে দেখা যায় রাস্তার পাশে একটি ডাম্পার দাঁড় করানো রয়েছে। গভীর রাতে রাস্তার পাশে ডাম্পার দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে ধর্মেন্দ্রবাবুদের সন্দেহ হয়। তিনি নিজেই এগিয়ে যান ডাম্পারের দিকে। অভিযোগ, ডাম্পারটিতে চম্বল নদী থেকে তোলা অবৈধ বালি বোঝাই করা ছিল। পুলিশকে গাড়ির দিকে এগিয়ে আসতে দেখেই চালক গাড়ি নিয়ে পালানোর চেষ্টা করে। সেইসময় ধর্মেন্দ্রবাবুও তাকে জোর করে টেনে নামানোর চেষ্টা করলে ডাম্পারটি একটি গর্তে পড়ে ডান দিকে উল্টে যায়। এবং ডাম্পারের তলায় চাপা পড়েন ধর্মেন্দ্রবাবু। সেই সুযোগে চালক ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে গেলেও ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় হেড কনস্টেবল ধর্মেন্দ্রবাবুর।
মোরেনাতে অবৈধ বালি ও পাথরের ব্যবসা রমরমিয়ে চলছে গত কয়েক বছর ধরে। চম্বল নদী থেকে প্রতিদিন ট্রাক বোঝাই করে বালি পাচার করে মাফিয়ারা। পুলিশ মাফিয়াদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিলেও তাদের আটকানো সম্ভব হয়নি বলে অভিযোগ এলাকাবাসীর।
কিছুদিন আগেই বেঙ্গালুরুতে মাফিয়ারাজ আটকাতে গিয়ে রহস্যজনকভাবে নিহত হয়েছেন আইএস অফিসার ডিকে রবি। এর আগে ২০১২ সালের মার্চ মাসে একইভাবে অবৈধভাবে পাথর ভর্তি একটি ট্রাককে আটকাতে গিয়ে নিহত হন নরেন্দ্র কুমার নামে এক পুলিশ অফিসার।