বাদ পড়ল molnupiravir! করোনার চিকিৎসা নিয়ে নতুন গাইডলাইন দিল কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক
করোনা সংক্রমণ দেশ জুড়ে কিছুটা কমলেও পরিস্থিতি এখনও নিয়ন্ত্রণে আছে বলে মনে করছেন না বিশেষজ্ঞরা। বিশেষত ওমিক্রনের দাপট এখনও স্বস্তি দিচ্ছে না। এরই মধ্যে করোনার চিকিৎসা নিয়ে নতুন গাইডলাইন দিল কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক।
করোনা সংক্রমণ দেশ জুড়ে কিছুটা কমলেও পরিস্থিতি এখনও নিয়ন্ত্রণে আছে বলে মনে করছেন না বিশেষজ্ঞরা। বিশেষত ওমিক্রনের দাপট এখনও স্বস্তি দিচ্ছে না। এরই মধ্যে করোনার চিকিৎসা নিয়ে নতুন গাইডলাইন দিল কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক। সোমবারই সেই গাইডলাইন প্রকাশ করা হয়েছে। নয়া এই গাইডলাইনে তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে molnupiravir-কে রাখা হয়নি।
মৃদু উপসর্গের ক্ষেত্রে---
নয়া গাইডলাইন অনুসারে যে সব করোনা আক্রান্তের শরীরে মৃদু উপসর্গ রয়েছে, অর্থাৎ যাঁদের শ্বাসকষ্টের সমস্যা নেই, তাঁদের হোম আইসোলেশনে থাকতে হবে। বাকিদের থেকে তাঁদের সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে হবে। সব সময় হাত পরিষ্কার রাখতে হবে। তবে যদি জ্বর বেশুি থাকে, শ্বাসকষ্টের সমস্যা হয়, পাঁচ দিনে জ্বর না কমলে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়ার কথা বলা হয়েছে।
মাঝারি উপসর্গের ক্ষেত্রে---
যে সব করোনা আক্রান্তের শরীরে অক্সিজেনের মাত্রা ৯০ থেকে ৯৩ শতাংশের মাঝে চলে যায় ও শ্বাসকষ্ট শুরু হয়, তাঁদের অবশ্যই হাসপাতালে ভর্তি হওয়া প্রয়োজন। নয়া গাইডলাইন অনুসারে ওই সব রোগীকে অক্সিজেন দিতে হবে। এ ছাড়া অ্যান্টি ইনফ্ল্যামেটরি বা ইমিউনোমডিউলেটরি থেরাপির সাহায্যে চিকিৎসা করতে হবে। রোগীর শারীরিক অবস্তার অবনতি হলে প্রয়োজনীয় পরীক্ষা করাতে হবে বলেও জানা গিয়েছে।
তীব্র উপসর্গের ক্ষেত্রে ------
যাঁদের শরীরে অক্সিজেনের মাত্রা ৯০ শতাংশের নীচে নেমে যায়, তাঁদের তীব্র উপসর্গ বলে ধরা হবে। তাঁদের অক্সিজেন সাপোর্ট দিতে হবে। আইসিইউ-তে এদের ভর্তি করা প্রয়োজন। অক্সিজেন দেওয়ার জন্য এনআইভি হেলমেট বা ফেস মাস্ক, যেটা সহজলভ্য হবে, সেটা ব্যবহার করতে হবে। অক্সিজেনের প্রয়োজনীয়তা বাড়লে HFNC দিতে হবে। এনআইভি না নিতে পারলে রোগীকে ইনটিউবেশন দেওয়ার কথা বলা হয়েছে গাইডলাইনে। অবস্থার উন্নতি হলে হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হবে।
রেমডেজিভির দেওয়ার ক্ষেত্রে নতুন নিয়ম বলা হয়েছে। রেনাল বা হেপাটিক কোনও সমস্যা নেই, মাঝারি বা তীব্র উপসর্গ দেখা যাচ্ছে এমন রোগীর ক্ষেত্রে দেওয়া যাবে রেমডেজিভির। আক্রান্ত হওয়ার ১০ দিনের মধ্যে এই ওষুধ দেওয়া যাবে। যে সব রোগী বাড়িতে রয়েছেন ও অক্সিজেন দিতে হচ্ছে না, তাঁদের এই ওষুধ দিতে হবে না।
তীব্র উপসর্গ রয়েছে এমন রোগীকে দেওয়া যাবে টসিলিজুমাব। আক্রান্ত হওয়ায় ২৪ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে দিতে হবে এই ওষুধ। স্টেরয়েড দেওয়ার পরও যাদের উপসর্গ কমছে না, যাদের শরীরে অন্য কোনও ইনফেকশন নেই তাঁদের টসিলিজুমাব দেওয়া যাবে। উল্লেখ্য, নতুন গাইডলাইনে নেই মোলনুপিরাভির। তবে রয়েছে আইভারমেকটিন হাইড্রক্সিক্লোরোকুইন।
উল্লেখ্য দেশে গত কয়েকদিন ধরেই করোনা সংক্রমণ হু হু করে বাড়ছিল। গত কয়েকদিন আগে করোনা পরীক্ষা সংক্রান্ত নতুন গাইডলাইন প্রকাশ করা হয়েছিল। এবার করোনার চিকিৎসা নিয়ে নতুন গাইডলাইন দিল কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক।