মোদী-সুষমার সঙ্গে সোনিয়াও জয় পেলেন বিপুল মার্জিনে, বিজেপির কাছে হারলেন যশবন্ত সিং
ভবিষ্যত প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এদের মধ্যে এগিয়ে সবচেয়ে বেশি। বরোদা থেকে কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক মধূসুদন মিস্ত্রিকে ৫ লক্ষ ৭০ হাজার ভোটে হারিয়েছেন নরেন্দ্র মোদী। এদিকে বিজেপিরই শীর্ষ নেত্রী সুষমা স্বরাজ ৪ লক্ষ ১০ হাজার ভোট পেয়েছেন। কংগ্রেস নেতা দিগ্বিজয় সিংয়ের ভাই কংগ্রেস নেতা লক্ষ্মণ সিংকে হারিয়েছেন সুষমা। এই জয়ের তালিকায় আরও একটি নাম বিজেপি প্রার্থী জেনারেল ভি কে সিং। গাজিয়াবাদ কেন্দ্র থেকে ৫.৬৬ লক্ষ ভোটের তফাত গড়েছেন সিং। কংগ্রেস প্রার্থী রাজ বব্বরকে হারিয়ে দিয়েছেন তিনি। এর ফলে রাজ বব্বরের জমানত জব্দ হয়েছে।
পদ্মের ভিড়েও কংগ্রেসের শক্ত ঘাঁটি রায়বারেলির আসনটি টিকিয়ে রাখতে সমর্থ হয়েছেন কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধী। বিজেপির অজয় আগরওয়ালকে সাড়ে ৩ লক্ষেরও বেশি ভোটের মার্জিনে হারিয়েছেন সোনিয়া। যদিও আমেঠী কেন্দ্র কংগ্রেস ধরে রাখতে পারলেও উল্লেখযোগ্য মার্জিন গড়তে পারেননি। কংগ্রেস। এমনকী কয়েক রাউন্ডে রাহুলকে পিছনে ফেলে দিয়েছিলেন বিজেপি প্রার্থী স্মৃতি ইরানি।
তবে এদিন, মোদী ঝড়ে একাধিক কেন্দ্রীয় মন্ত্রী মুখ থুবড়ে পড়েছেন। কর্পোরেট বিষয়ক মন্ত্রী সচিন পাইলট আজমের থেকে ১.৭০ হাজার ভোটের মার্জিনে হেরেছেন। মানবসম্পদ মন্ত্রী এমএম পাল্লম রাজু প্রতিদ্বন্দ্বি টিডিপি ও ওয়াইএসআর প্রার্থীর তুলনায় কিঞ্চিত মাত্র ভোট পেয়েছেন। হারের মার্জিন নয় রাজুর মোট ভোটের সংখ্যা ৬১০০। বিহাররে সাসারাম থেকে ৬০,০০০ ভোটের মার্জিনে হেরেছেন মীরা কুমার।
এদিকে এদিনের উল্লেখযোগ্য হারের মধ্যে প্রথমেই রয়েছেন বিজেপির বিক্ষুব্ধ নেতা যশবন্ত সিং। বারমের থেকে যুদ্ধ করার জেদে নির্দল প্রার্থী হিসাবেই দাঁড়িয়েছিলেন তিনি। কিন্তু বিজে প্রার্থী কর্ণেল সোনারাম চৌধুরির কাছে প্রায় ৮০ হাজার ভোটে হেরে যান যশবন্ত সিং। এদিকে সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী কমলনাথ ছিনদ্বারার মন্ত্রীটা বজায় রাখতে পেরেছেন।
তবে কাল পদ্মের রমরমা থাকলেও অমৃতসরে অরুণ জেটলি কংগ্রেস প্রার্থী ক্যাপ্টেন অমরিন্দর সিংয়ের কাছে ১,০২,৭৭০ ভোটে হেরেছেন যা অত্যন্ত চমকপ্রদ। অন্যদিকে বাংলায় বিজেপি প্রার্থী বাপ্পি লাহিড়ির জয় নিয়ে বিজেপি একপ্রকার নিশ্চিত থাকলেও তৃণমূল প্রার্থী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে হেরে যান তিনি।