ভোটের তাগিদ! নাগরিকত্ব আইন কার্যকরের সময়সীমা বাড়ল, প্রায় ৬ মাস সময় হাতে পাবেন অমিত শাহরা
ভোটের তাগিদ! নাগরিকত্ব আইন কার্যকরের সময়সীমা বাড়ল, প্রায় ৬ মাস সময় হাতে পাবেন অমিত শাহরা
সিএএ গোটা দেশে কার্যকর করার আরও বেশি সময় হাতে পেল মোদী সরকার। এপ্রিম মাস পর্যন্ত সময় হাতে ছিল। বাজেট অধিবেশনে সেই সময়সীমা কৌশলে বাড়িয়ে নিয়েছে মোদী সরকার। কারণ চার রাজ্যের বিধানসভা ভোট। বিশেষ করে পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভা ভোট রয়েছে সামনে। আরও ৬ মাস হাতে সময় পেয়ে গিয়েছে মোদী সরকার। ৯ জুলাইয় পর্যন্ত সিএএ কার্যকর করার সময় পেয়েছে মোদী সরকার।
সিএএ কার্যকরের মেয়াদ বাড়ল
নাগরিকত্ব আইন কার্যকরের সময়সীমা ৯ এপ্রিল থেকে বাড়িয়ে ৯ জুলাই পর্যন্ত করে দেওয়া হয়েছে। লোকসভা অধিবেশনে আজ এমনই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আগে ৯ এপ্রিলের মধ্যে এই আইন কার্যকর করার সময়সীমা দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু তার মধ্যে সিএএ কার্যকর করা তেমন ভাবে সম্ভব হত না মোদী সরকারের পক্ষে। কারণ একে করোনা মহামারীর কোপ। তার উপরে চার রাজ্যের বিধানসভা ভোট। দুয়ে মিলে অনেকটাই সমস্যা হয়ে যাচ্ছিল। তাই বাজেট অধিবেশনের শুরুতেই সিএএ নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্তটা পাস করিয়ে নিয়েছে মোদী সরকার।
নাগরিকত্ব আইন পাস
২০১৯ সালে নাগরিকত্ব আইন পাশ করে মোদী সরকার। ২০১৯ সালেরই ডিসেম্বর মাসে বিজ্ঞপ্তি জারি করে সেই আইন কার্যকর করার কথা ঘোষণা করা হয়। কিন্তু এখনও পর্যন্ত দেশের অধিকাংশ রাজ্যেই সেই আইন কার্যকর করা যায়নি। তার একটি কারণ যেমন রাজনৈতিক তেমনই আরেকটি কারণ করোনা পরিস্থিতি। দুয়ের কারণে একাধিক রাজ্যে নাগরিকত্ব আইন কার্যকর করা থমকে রয়েছে।
নজরে চার রাজ্যের ভোট
নাগরিকত্ব আইন পাশ করে মোদী সরকার ভোট ব্যাঙ্ক মজবুত করতে চাইছে বলে অভিযোগ করেছেন বিরোধীরা। সামনেই রয়েছে পশ্চিমবঙ্গ সহ চার রাজ্যের বিধানসভা সভা ভোট। তার মধ্যে সবচেয়ে হাইভোল্টেজ ভোট হতে চলেছে পশ্চিমবঙ্গে। বাংলায় বিজেপি সরকার গড়তে মরিয়া গেরুয়া শিবির নাগরিকত্ব আইনকে হাতিয়ার করতে শুরু করেছে ইতিমধ্যেই। অমিত শাহ থেকে শুরু করে কৈলাশ বিজয়বর্গীয়রা সকলেই মতুয়াদের নাগরিকত্ব আইন কার্যকর করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। এই নিয়ে প্রবল রাজনৈতিক চাপান উতোর শুরু হয়েছে বাংলায়।
ভোটের হাতিয়ার সিএএ
বাংলার ভোটে বিজেপির অন্যতম হাতিয়ার হয়ে উঠতে চলেছে সিএএ। মতুয়ারা সিএএ কর্যকর করার দাবিতে সরব হয়েছে। অমিত শাহের সভা বাতিলের পর ঠাকুর নগরে যে বিক্ষোভ দেখিয়েছিলেন মতুয়া সম্প্রদায়ের মানুষ তার অন্যতম কারণ ছিল সিএএ। তাঁরা সিএএ কার্যকর করার দাবিতে সরব হয়েছে। অমিত শাহ সভা করে সেই সিএএ প্রতিশ্রুতি দিতেন বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। রাজ্য সভায় এই অনুমতি পাওয়ার পর বিজেপি নির্বাচনী ইস্তেহারে যে সিএএকে সম্পূর্ণ ভাবে ব্যবহার করবে তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।
মুকুল কি পিছিয়ে পড়ছেন শুভেন্দু-রাজীবদের যোগদানে! একুশের আগে জল্পনা বিজেপিতে