সোশ্যাল মিডিয়া অতীত! জম্মু ও কাশ্মীরের জঙ্গিরা এখন আরও মারাত্মক 'হাইব্রিড' পর্বে
সোশ্যাল মিডিয়া অতীত! জম্মু ও কাশ্মীরের জঙ্গিরা এখন আরও মারাত্মক 'হাইব্রিড' পর্বে
নতুন পথে জম্মু ও কাশ্মীরে (jammu and kashmir) জঙ্গিরা। তারা সোশ্যাল মিডিয়া (Social Media) সংযোগ ত্যাগ করছে বলেই মনে করছে বিশেষজ্ঞ মহল। তারা আরও বিপজ্জনক হাইব্রিড (hybrid) পর্বে প্রবেশ করেছে।
২০১৪-২০১৯ ব্যাপকভাবে সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করেছে জঙ্গিরা
২০১৪-২০১৯-এর মধ্যে জম্মু ও কাশ্মীরের জঙ্গিরা ব্যাপকভাবে সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করেছে। সেই সময় স্থানীয় জঙ্গিরা হিজবুল মুজাহিদিন কমান্ডার বুরহান ওয়ানির মাধ্যমে অনুপ্রানিত হয়েছিল। বুরহান ওয়ানি সোশ্যাল মিডিয়ার ব্যবহার করত ব্যাপকভাবে। সেই সময় বন্দুক হাতে সোশ্যাল মিডিয়ায় ছবি দেওয়া দস্তুর হয়ে উঠেছিল। জঙ্গি সংগঠনে যোগ দেওয়ার পরে ছবি প্রকাশ করা হত সোশ্যাল মিডিয়ায়।
গত ২ বছরে প্রভাব কমেছে
সেই সময় জঙ্গিরা অস্ত্র প্রশিক্ষণ কিংবা ক্রিকেট খেলার ছবি কিংবা ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করত। আর তা মুহূর্তেই ভাইরাল হয়ে যেত। আর তা কাশ্মীর উপত্যকায় পরিচিতিও পায়। তবে গত দুই বছরে সেই প্রক্রিয়ায় কিছুটা ভাটা পড়েছে।
এখন জঙ্গিদের হাইব্রিড পর্ব
জম্মু
ও
কাশ্মীরে
এখন
জঙ্গিদের
হাইব্রিড
পর্ব
চলছে।
গত
বছর
থেকে
পুলিশ
নতুন
শব্দ
'হাইব্রিড
জঙ্গি'
ব্যবহার
করছে।
এর
অর্থ
হল
মুখবিহীন
আলট্রা।
রাজ্য
পুলিশের
প্রধান
দিলবাগ
সিং
সংবাদ
মাধ্যমকে
জানিয়েছেন,
এই
পর্বে
জঙ্গিরা
অসামরিক
এবং
পুলিশেরসদস্যদের
হত্যা
করছে।
তারপরে
তারা
কিছু
করেনি
কিংবা
জানে
না,
এমন
ধারনা
তৈরি
করছে
গা
ঢাকা
দিচ্ছে।
এই
ধরনের
অসামরিক
ও
পুলিশ
সদস্যদের
হত্যাকাণ্ডে
যাঁরা
যুক্ত,
তাদের
নাম
পুলিশের
রেকর্ডে
নেই।
পুলিশ
প্রশাসনের
তরফে
বলা
হচ্ছে,
জঙ্গিদের
এই
হাইব্রিড
পর্ব
পাকিস্তানের
একটি
সুপরিকল্পিত
এবং
কৌশলগত
পদক্ষেপ।
যেখানে
জঙ্গিরা
অপরাধ
করার
পরেও
দীর্ঘদিননিরাপত্তা
বাহিনীর
নাগালের
বাইরেই
রয়ে
যায়।
নিয়োগ করা হচ্ছে কিশোরদের
জম্মু
ও
কাশ্মীর
প্রশাসনের
অভিযোগ
সীমান্তের
ওপার
থেকে
নতুন
কৌশলে
জঙ্গি
দলে
কিশোরদের
নিয়োগ
করা
হচ্ছে।
আর
তাদের
দিয়ে
টার্গেট
করা
হচ্ছে
ডিউটিতে
না
থাকা
পুলিশকর্মী,
পরিযায়ী
শ্রমিক
এবং
রাজনৈতিক
নেতা-কর্মীদের।
এই
কিশোরদের
একে
৪৭
চালানোর
প্রশিক্ষণেরপরিবর্তে
পিস্তলের
মতো
ছোট
অস্ত্রে
প্রশিক্ষণ
দেওয়া
হচ্ছে।
কিশোরদের
বেছে
নেওয়া
হচ্ছে
এই
কারণে,
যে
তারা
হত্যার
পরে
যদি
ধরা
পড়ে,
তাহলে
জুভেনাইল
জাস্টিস
অ্যাক্টে
মুক্তি
পাবে।
প্রসঙ্গত
জুভেনাইল
জাস্টিস
অ্যাক্টে
খুনের
মতো
অপরাধের
সর্বোচ্চ
শাস্তি
অভিযুক্তকে
তিন
বছরের
জন্য
হোমে
পুনর্বাসন।
এব্যাপারে
প্রশাসনের
তরফে
গত
ফেব্রুয়ারিতে
শ্রীনগরের
বিখ্যাত
ফুড
আউটলেট
কৃষ্ণ
ধাবার
মালিকের
ছেলে
আকাশ
মেহরার
হত্যার
উদাহরণ
দেওয়া
হয়েছে।
সেই
ঘটনায়
অভিযুক্তদের
দুজনই
কিশোর।
এই
দুজনকেই
গ্রেফতারের
পরে
হোমে
পর্যবেক্ষণে
রাখা
হয়েছে।
আইন
অনুযায়ী,
তিনবছর
পুনর্বাসন
সম্পন্নহওয়ার
পরে
তাদেরকে
ছেড়ে
দিতে
হবে।