মুরগি, ছাগল, মাছের চেয়ে বেশি করে গরু মাংস খান বললেন মেঘালয়ের বিজেপি মন্ত্রী
মুরগি, ছাগল, মাছের চেয়ে বেশি করে গরু মাংস খান বললেন মেঘালয়ের বিজেপি মন্ত্রী
অসমে বিজেপি সরকার যেখানে গোহত্যার উপর বিভিন্ন রকমের নিষেধাজ্ঞা লাগিয়েছে সেখানেই উলটপুরাণ প্রতিবেশি মেঘালয়ে! বিজেপি শাসিত রাজ্যটির পশুপালন ও পশুচিকিৎসা মন্ত্রী সানবর শুল্লাই সংবাদমাধ্যমে জানিয়েছেন তিনি রাজ্যের সমস্ত মানুষকে বেশি করে গরু মাংস খাওয়ার পরামর্শ দেন৷ বিজেপি কখনোই গরুমাংস যান করবে না!
ঠিক কী বলেছেন শুল্লাই!
সংবাদমাধ্যমে শুল্লাই বলেন, 'আমি মানুষকে উৎসাহিত করি মুরগি,মাটন বা মাছের চেয়ে বেশি গরুর মাংস খেতে। মানুষকে অধিক গরুর মাংস খাওয়ার জন্য উৎসাহিত করার মাধ্যমেই বিজেপি গরু জবাইয়ের উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করবে এই মিথ্যে ধারণা দূর করা সম্ভব হবে। 'অসমের গো আইন নিয়ে হিমন্তের সঙ্গে কথা বলবেন শুল্লাই!
মেঘালয়ের পশুপালন ও পশুচিকিৎসা মন্ত্রী শুল্লাই আশ্বাস দিয়েছেন, তিনি আসামের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বর্শমা-র সঙ্গে কথা বলবেন যাতে মেঘালয়ে গবাদি পশু পরিবহন প্রতিবেশী রাজ্য অসমের নতুন গরু আইন দ্বারা প্রভাবিত না হয়।
অসম সীমান্তে মেঘালয়ের বাসিন্দারা আক্রান্ত হলে ফাইসালা হবে অবলন দ্য স্পট!
এরপর গুরুমাংস থেকে সোজা প্রতিবেশি রাজ্য অসমের সঙ্গে বিবাদ নিয়ে কথা বলেন শুল্লাই। সংবাদমাধ্যমে তিনি বলেন, 'যদি অসমের বাসিন্দারা সীমান্ত এলাকায় আমাদের(মেঘালয়ের) লোকদের হয়রানি করতে থাকে, এবার সময় এসেছে প্রতিক্রিয়া দেওয়ার। শুধু কথা বলার এবং চা খাওয়া নয় আমাদের প্রতিক্রিয়া জানাতে হবে। এবং ঘটনাস্থলেই কাজ করে প্রতিকার করতে হবে।'
মেঘালয় পুলিশকেও 'ব্যকফুটে থাকা পুলিশ বলেন শুল্লাই
এরপর সংবাদমাধ্যমকে শুল্লাই বলেন, মিজোরামের পুলিশ বুক চিতিয়ে লড়াই করছে। আর আমাদের পুলিশ 'ব্যাকফুটে'। আমাদের জনগণকে রক্ষা করার জন্য পুলিশকেই সচেট হতে হবে। প্রয়োজনে শক্তি ব্যবহার করতে হবে। অসম পুলিশের সাথে কথা বলার জন্য পুলিশকে সামনে যেতে হবে। আমরা সময়ে সময়ে দেখেছি-পুলিশ পিছনে এবং সাধারণ মানুষ সামনের থাকছে। পুলিশের উঁচু পদে যারা রয়েছেন তাঁদের নির্দেশ দেওয়া উচিত যে জনগণকে রক্ষা করতে পুলিশকে সামনের দিকে থাকতে হবে।
মেঘালয়ের মন্ত্রীর এরকম বক্তব্য সামনে আসার পরই গোহত্যা বন্ধের প্রচারক এবং অখড ভারতের আদর্শে বিশ্বাসী বিজেপি চাপের মুখে পড়েছে৷ কংগ্রেস নেতা ও সমর্থকদের টুইটার হ্যান্ডেল ও।ফেসবুকে শুল্লাইয়ের বক্তব্য তুলে ধরে প্রচার চালানো হচ্ছে৷ যদিও শুল্লাইয়ের রাজ্য সীমান্ত কিংবা গোহত্যা কোনও ইস্যু সম্পর্কিত পাল্টা মন্তব্য করেননি অসমের কোনও বিজেপি নেতা