১ পয়সা কৃষিঋণ মকুব, হাতে সার্টিফিকেট নিয়ে দোরে দোরে ঘুরে মিলল না সুরাহা
দেড় লক্ষ টাকার কৃষিঋণে ১ পয়সা মকুব হল মথুরার কৃষকের, কম্পিউটারের ভুলেই এই বিভ্রান্তি, মানলেন প্রশাসনিক আধিকারিকরা
প্রতিশ্রুতি রাখলেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্য়মন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। কথামতই কৃষিঋণ মকুব করলেন ঠিকই, কিন্তু দেড় লক্ষ টাকার ঋণে মকুব হল মাত্র ১ পয়সা। মথুরা জেলা প্রশাসনের কাছ থেকে এই সার্টিফিকেট পেয়ে হাসবেন না কাঁদবেন তাই বুঝে উঠতে পারছিলেন না চিদ্দি নামে ওই কৃষক।
কয়েক বিঘা জমিতে চাষ-বাস করতে বছর ছয়েক আগে পঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাঙ্ক থেকে ১.৫ লক্ষ টাকা কৃষিঋণ নিয়েছিলেন চিদ্দিলাল। এরইমধ্যে চলতি বছরের এপ্রিল মাসে ঋণমোচন যোজনা চালু করেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্য়মন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। বলা হয় এক লক্ষ টাকা পর্যন্ত ঋণ মকুব করা হবে। এই প্রকল্পের ফলে রাজ্যের ৮৬ লক্ষ ছোট ও মাঝারি কৃষকরা উপকৃত হবেন বলেই সরকারের পক্ষ থেকে ঘোষণা করা হয়।
এই প্রকল্পেই ঋণ মকুবের জন্য চিদ্দির নাম উঠে আসে। কিন্তু জেলাশাসকের দফতর থেকে ঋণ মকুবের সার্টিফিকেট হাতে পেয়ে বাকরুদ্ধ হয়ে যান তিনি ও তাঁর ছেলে বনওয়ারিলাল। সার্টিফিকেটে লেখা ১ পয়সা ঋণ মকুব হয়েছে তাঁর। চিদ্দির দাবি, সরকারি নিয়ম অনুযায়ী অন্তত এক লক্ষ টাকা ঋণ মকুব হওয়ার কথা তাঁর। চিদ্দির কথায়, হয় দফতরের আধিকারিকদের কোথাও ভুল হয়েছে, নাহলে যোগী আদিত্যনাথ সরকার তাঁর সঙ্গে মজা করছে। এই সার্টিফিকেট হাতে নিয়ে তিনবার প্রশাসনিক আধিকারিকদের কাছে যাওয়ার পরও কোনও সদুত্তর পাননি বলেই অভিযোগ করেছেন তিনি।
মথুরা জেলা প্রশাসনের দাবি, কম্পিউটারের ভুলে এই কাণ্ড ঘটেছে। চিদ্দির আধার নম্বর কোনও ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের সঙ্গে লিঙ্ক করা রয়েছে, তা যাচাই না করেই সার্টিফিকেট ইস্যু করা হয়েছে বলে সাফাই দিয়েছে জেলা প্রশাসন। তবে চিদ্দি একাই নন, ঋণ মকুব নিয়ে এই ধরনের ঘটনা ঘটেছে কমপক্ষে ১০ হাজার কৃষকের সঙ্গে। কেউ ১২ টাকা, কেউ আবার ৩টাকা আবার কারও ক্ষেত্রে দেড় টাকা ঋণ মকুবের বহু ঘটনাই সামনে এসেছে। ফলে ১০ হাজার টাকার কম হলে সার্টিফিকেট ইস্যু না করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। দশ হাজার টাকার কম হলে সেই অ্যাকাউন্টগুলি খতিয়ে দেখার পরই ঋণ মকুবের সার্টিফিকেট জারির নির্দেশ দিয়েছে জেলা প্রশাসন।