আস্থা ভোটের কৌশল নিয়ে আলোচনা! রাতে বৈঠকে বসছে বিজেপি
সুপ্রিম কোর্টের তরফে বিজেপির দেবেন্দ্র ফড়নবিশকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণের জন্য। ২৭ নভেম্বর বিধায়কদের শপথ গ্রহণের পর সেই আস্থা ভোট নেওয়া হবে।
সুপ্রিম কোর্টের তরফে বিজেপির দেবেন্দ্র ফড়নবিশকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণের জন্য। ২৭ নভেম্বর বিধায়কদের শপথ গ্রহণের পর সেই আস্থা ভোট নেওয়া হবে। সেই আস্থা ভোটের আগে মঙ্গলবার রাত নটায় গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে বসতে চলেছে রাজ্য বিজেপি। সেই বৈঠকে নবনির্বাচিত দলীয় বিধায়কদের হাজির থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা বর্ষীয়ান বিজেপি নেতা রাওসাহেব দানভে বলেছেন, দল সুপ্রিম কোর্টের আদেশকে সম্মান করে। সেই মতোয় আস্থা ভোট হবে। এদিকে এদিন সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশের পরেই বিজেপির কোর গ্রুপের বৈঠক বসে। আরও ঠিক হয়েছে, রাত নটায় গারওয়ার ক্লাবে বিধায়কদের নিয়ে আরও একটি বৈঠক হবে। দক্ষিণ মুম্বইয়ে ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়াম কমপ্লেক্সে গারওয়ার ক্লাব অবস্থিত।
এদিন সুপ্রিম কোর্টের তরফে আস্থার ভোটের নির্দেশ ছাড়াও, সেই আস্থা ভোট সরাসরি সম্প্রচার করার নির্দেশ দিয়েছে। পাশাপাশি আস্থা ভোট গোপন ব্যালটে না করারও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সুপ্রিম কোর্টে এদিন জানিয়েছে, যদি আস্থা ভোটে দেরি করা হয়, তাহলে সেখানে ঘোড়া কেনা বেচার প্রশ্ন এসেই যায়।
শনিবার সকালে দেবেন্দ্র ফড়নবিশকে মুখ্যমন্ত্রী এবং অজিত পাওয়ারকে উপমুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ গ্রহণ করানোর পরেই রাজ্যপালের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করে এনসিপি, শিবসেনা এবং কংগ্রেস।
অন্যদিকে এদিন সুপ্রিম কোর্টের আস্থাভোটের নির্দেশের পরেই উপমুখ্যমন্ত্রী অজিত পাওয়ার বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়নবিশের সঙ্গে। এর আগে অবশ্য এদিন সকালে ছগন ভুজবল, দিলীপ ওয়ালসে পাটিল এবং সুনীল ঠাকরের মতো নেতা উপমুখ্যমন্ত্রী অজিত পাওয়ারের সঙ্গে কথা বলেন। তাঁকে উপমুখ্যমন্ত্রীর পদে ইস্তফা দিতেও অনুরোধ করেন তাঁরা।
এদিন দুপুরে মুম্বইয়ের সফিটেল হোটেলে শিবসেনা ও এনসিপি নেতাদের একটি বৈঠক হয়। সেই বৈঠকে হাজির ছিলেন শারদ পাওয়ার, প্রফুল প্যাটেল, জয়ন্ত পাটিল, সুপ্রিয়া সুলে, ছগন ভুজবল, উদ্ধব ঠাকরে, আদিত্য ঠাকরে, সঞ্জয় রাউত উপস্থিত ছিলেন।
এদিন এনসিপি, শিবসেনা এবং কংগ্রেসের তরফে দাবি করা হয়েছে, তাঁদের সমর্থন করছেন ১৬২ জন বিধায়ক। অন্যদিকে বিজেপির দাবি, বিরোধীদের ঝুলিতে রয়েছে ১৩৭ জন বিধায়কের সমর্থন। ২৮৮ সদস্যের বিধানসভায় সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেতে গেলে ১৪৫ জন বিধায়কের সমর্থন প্রয়োজন।