পোষা কুকুর এল না বাগে, বৃদ্ধাকে খুন পিটবুলের
লখনউয়ের কায়সারবাগ এলাকায় ঘটে গেল এক মর্মান্তিক ঘটনা। ৮২ বছর বয়সী এক অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষিকার মৃত্যু হল তার ছেলের পোষা কুকুরের হাতে।
পিটবুল জাতের ওই কুকুর হত্যা করে ওই বৃদ্ধাকে। মৃতার নাম সুশীলা ত্রিপাঠী। তার ছেলে, অমিত জিম ট্রেনার। দুটি পোষা কুকুরের মালিক সে। একটি পিটবুল এবং একটি ল্যাব্রাডর রয়েছে ওই ব্যক্তির। পিটবুল জাতের ওই কুকুরটির নাম ছিল ব্রাউনি। সে ওই মহিলাকে আক্রমণ করে। এই কুকুরটিকে বছর তিনেক আগে। পরিবারটি কায়সারবাগের বাংলাটোলা এলাকায় থাকত।
সকাল ৬টার দিকে ওই মহিলা বাড়িতে একা থাকার সময় এই মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে। অনেক পরে তার ছেলে তাঁর বৃদ্ধা মা'কে রক্তাক্ত অবস্থায় দেখতে পায়। তাকে দ্রুত বলরামপুর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় যেখানে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের কারণে তিনি মারা যান। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট অনুযায়ী, সুশীলার শরীরে ঘাড় থেকে পেট পর্যন্ত মোট ১২টি গুরুতর দাঁতের ক্ষত মিলেছে।
প্রতিবেশীদের মতে, "সকাল ৬ টার দিকে, তারা কুকুরের বিকট চিৎকারের শব্দ শুনতে পান এবং সুশীলার উপর হামলার সময় সাহায্যের জন্য তিনি চিৎকার করেন। অনেকে তাদের বাড়িতে ছুটে যায় কিন্তু ভেতর থেকে তালা দেওয়া ছিল। মহিলার ছেলে বাড়িতে দরজা খুলে ভয়ঙ্কর খারাপ অবস্থায় দেখতে পান তাঁর ছেলে।"
কুকুর পালনের জন্য নিয়ম আছে। লখনউ মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশন (এলএমসি) সোয়ান লাইসেন্স কন্ট্রোল অ্যান্ড রেগুলেশন বাই-ল ২০০৩ নামে কুকুর রাখার জন্য একটি ম্যানুয়াল জারি করেছে। ম্যানুয়াল অনুসারে, যারা কুকুর পালন করতে পছন্দ করেন তাদের বাধ্যতামূলকভাবে বেশ কয়েকটি শর্ত মেনে লাইসেন্স পেতে হবে। ম্যানুয়ালটিতে আরও বলা হয়েছে যে যে কোনও ব্যক্তি তার কুকুরটিকে এমনভাবে রাখতে এবং বেঁধে রাখতে হবে যাতে প্রতিবেশীর কোনও আপত্তি না থাকে।
প্রসঙ্গত পিটবুল মারাত্মক হিংস্র কুকুর। এদের পোষ মানানো খুব শক্ত। তবে এই পোষা কুকুরে আক্রমণের ঘটনা ঘটেছিল দিল্লিতে।দিল্লির পশ্চিম বিহার এলাকার সেখানে একটি পরিবারের পোষা কুকুর চিৎকার করতে করতে তাঁর দিকে তেড়ে এলে, তিনি তাঁর পাড়ায় বসবাসকারী কুকুরের মালিকের পরিবারের তিন সদস্যের উপর লোহার রড দিয়ে হামলা করেন। স্বাভাবিক ভাবেই আহত হয় ওই পরিবারের সদস্যরা।
জানা যায় , পশ্চিম বিহার এলাকায় রক্ষিত নামের এক যুবক তার পরিবারের সঙ্গে থাকতেন। একদিন সকালে তাঁর বাড়ির সামনে দিয়ে যাচ্ছিলেন ধর্মবীর দাহিয়া নামে তাঁর পাড়ার গলিতে বসবাসকারী এক ব্যক্তি। এ সময় তার পোষা কুকুরটি বাড়ির গেটে বসে ছিল। কুকুরটি ধর্মবীরের দিকে তেড়ে আসে এবং কিছু রাস্তার কুকুরও তার পিছু নেয়, এতেই ধর্মবীরে খুব রেগে যান।
তাঁরা কুকুর নিয়ে ফিরে আসতেই ধর্মবীর প্রথমে কুকুরের মাথায় লোহার রড দিয়ে মারে এবং তারপর রক্ষিতের মামাকে আক্রমণ করে, এর কারণে সে ঘটনাস্থলেই পড়ে যায়। রক্ষিতের অভিযোগ, ধর্মবীর তার মামীকেও মারধর করে। পুরো ঘটনাটি সিসিটিভিতে ধরা পড়ে।