সরকার গঠন করতে অনীহা বিজেপি-এডিএমকের, ভোটের মুখে পুদুচেরিতে রাষ্ট্রপতি শাসন!
কংগ্রেসের নেতৃত্বাধীন সরকার পড়ে গিয়েছি। তবে পুদুচেরিতে নয়া সরকার গড়ার আবেদন জানাচ্ছে না বিজেপি। সূত্রের খবর, সেখানে রাষ্ট্রপতি শাসন জারির জন্য প্রস্তাব দিয়েছেন লেফটেন্যান্ট গভর্নর তামিলিসাই সৌন্দররাজন। জানা গিয়েছে, তাঁর প্রস্তাব সম্বলিত চিঠি পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে। আজ কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার বৈঠকে সেই প্রস্তাবে শিলমোহর পড়তে পারে।
সরকার গড়ার পথে হাঁটবে না বিজেপি-এডিএমকে
পুদুচেরিতে সরকার গড়ার পথে হাঁটবে না বিজেপি ও তাদের শরিকেরা। বিশেষ সূত্রে এই খবর মিলেছে। কংগ্রেসের সরকার সংখ্য়ালঘু হয়ে ক্ষমতা হারানোর পর লেফটেন্যান্ট গভর্নর তামিলিসাই সৌন্দররাজন সেখানে রাষ্ট্রপতি শাসন জারির প্রস্তাব দিয়েছেন বলে সূত্রের দাবি।
রাষ্ট্রপতি শাসনের প্রস্তাব গিয়েছে কেন্দ্রের কাছে
জানা গিয়েছে, তাঁর প্রস্তাব সম্বলিত চিঠি পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে। আজ কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার বৈঠকে সেই প্রস্তাবে শিলমোহর পড়তে পারে। নির্বাচনের মাত্র তিন মাস আগে সংখ্যালঘু হয়ে পড়ায় সোমবার পড়ে যায় ভি নারায়ণস্বামীর নেতৃত্বাধীন কংগ্রেস-ডিএমকে জোটের সরকার।
শাসক দলের ৬ জন বিধায়ক ইস্তফা
এর আগে শাসক দলের ৬ জন বিধায়ক ইস্তফা দেওয়ায়, ২৬ সদস্যের বিধানসভায় সংখ্যাগরিষ্ঠতার জন্য প্রয়োজনীয় সংখ্যা ধরে রাখতে পারেনি শাসক দল। রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের কাছে পদত্যাগ পত্র পাঠিয়ে দেন ভি নারায়ণস্বামী ও তাঁর মন্ত্রিসভার সদস্যরা।
কিরণ বেদীর ঘাড়ে দোষ চাপান নারায়ণস্বামী
ইস্তফা দিয়েছিলেন কংগ্রেসের ৫ জন ও ডিএমকে-র একজন বিধায়ক। এই ৬ জনের মধ্যে থেকে দু জন ইতিমধ্যেই বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন। বাকিদের গেরুয়া শিবিরে যোগ দেওয়াটা এখন সময়ের অপেক্ষা বলে মনে করা হচ্ছে। তবে বিজেপি বা তাদের শরিক দল এডিএমকে সরকার গঠনের দাবি না জানানোয় সংকট দেখা দেয়। এদিকে এই সংকটের নেপথ্যে প্রাক্তন লেফটেন্যান্ট গভর্নর কিরণ বেদীর ঘাড়ে দোষ চাপান নারায়ণস্বামী।