চিনের জনগণকে ভালোবাসেন, লাদাখ ইস্যুতে চাপানউতোরের মাঝেই ট্রাম্পের মন্তব্যে তোলপাড় বিশ্ব
ফের একবার ভারত-চিনের মধ্যে মধ্যস্থতা করার ইঙ্গিত দিয়ে রাখলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এদিন তিনি বলেন, ভারত ও চিন দু'দেশের জনগণের মধ্যে শান্তি বজায় রাখতে যথাসাধ্য চেষ্টা করতে তিনি। এর আগে দেখা গেছে, ভারত-চিন প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় যখন উত্তেজনাকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছিল তখন ট্রাম্প ভারতের সমর্থনেই কথা বলেছিলেন।
হোয়াইট হাউসের বক্তব্য
হোয়াইট হাউসের প্রেস সচিব কালেলি ম্যাকেনি এই বিষয়ে সাংবাদিকদের বলেন, 'ট্রাম্প বলেছেন আমি ভারতের মানুষকে ভালোবাসি এবং আমি চিনের মানুষকেও ভালবাসি। তাই জনগণের জন্য দু'দেশের মধ্যে শান্তি বজায় রাখতে যথাসাধ্য চেষ্টা করতে চাই।'
ভারতের সমর্থনে মুখ খোলেন পম্পেও
এর আগে বুধবার, মার্কিন সচিব মাইক পম্পেও বলেন যে ভারত ও আমেরিকার মধ্য়ে দুর্দান্ত পারস্পরিক বোঝাপড়া এবং অংশীদারিত্ব রয়েছে। পম্পেও আরও বলেছিলেন, 'ভারতের বিদেশমন্ত্রীর সঙ্গেও আমার খুব ভালো সম্পর্ক রয়েছে। আমরা বিভিন্ন বিষয় নিয়ে প্রায়সময়ই বিস্তারিত আলোচনা করি। এমনকী সীমান্তে চিনের সঙ্গে তাদের যে ঝামেলা ছিল সেই বিষয়েও আমরা কথা বলেছি। যেভাবে সীমান্তে চিনা টেলিযোগযোগ পরিকাঠামো তৈরি হচ্ছে সেবিষয়ে যে আশঙ্কা তৈরি হতে পারে আমরা তা নিয়েও আলোচনা করেছি।'
যুদ্ধ হলে কার সঙ্গে আমেরিকা?
কয়েকদিন আগেই মার্কিন চিফ অব স্টাফ মার্ক মিডোজকে উদ্ধৃত করে সংবাদসংস্থা জানিয়েছে, 'চিন বা অন্য কাউকে কোনও এলাকাতেই দাদাগিরি করতে দেব না। এই বার্তা স্পষ্টই। ভারত চিন পরিস্থিতি হোক বা অন্যত্র, আমাদের সেনারও শক্তিশালী অবস্থান হবে।'
একঘরে করা হয়েছে চিনকে
পূর্ব লাদাখের গলওয়ানে ভারতীয় সেনার সঙ্গে সংঘাতের পর থেকেই আন্তর্জাতিক বিশ্বে ক্রামাগত একঘরে করা হয়েছে চিনকে। আমেরিকা, জাপান, অস্ট্রেলিয়া ও ন্যাটোভুক্ত দেশগুলি চিনকে সতর্ক করে। ইউরোপ থেকে এশিয়ায় সেনা সরিয়ে আনে আমেরিকা। দক্ষিণ চিন সাগরে পাঠিয়ে দেয় রণতরীও। তবে এসবই করা হচ্ছে হংকং, তাইওয়ান, ভারতের মতো দেশগুলিকে ঘুঁটি হিসাবে সাজিয়ে। এই বড় বড় শক্তিশালী দেশগুলি চিনের বিরুদ্ধে নিজেদের ক্ষোভ উগড়ে দিতে ভারতের মতো দেশগুলির আড়ালে যাচ্ছে।
ভারত ও আমেরিকার যৌথ টহলদারিতে চাপে চিন
প্রসঙ্গত, এর আগে দক্ষিণ চিন সাগরে ভারত ও আমেরিকার যৌথ টহলদারির খবরে তীব্র চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে এশিয়া মহাদেশের বিশাল জলসীমায়। এই দক্ষিণ চিন সাগরকে নিজেদের এলাকা বলে দাবি করে চিন। ভারত ও দক্ষিণ চিন সাগরে আমেরিকার বন্ধু রাষ্ট্রের উপর ক্রমেই আগ্রাসন বেড়েছে চিনের। এছাড়া আগে থেকেই করোনা নিয়ে বেজিংয়ের উপর খেপে ছিল ওয়াশিংটন। এবার এর ফল স্বরূপ, আমেরিকা পাল্টা চিনকে নিজেদের পেশী শক্তি দেখানো স্থির করে। আর এতেই প্রশান্ত মহাসাগর ও দক্ষিন চিন সাগরে এখন চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে।
টিকটকের মালিকানা এবার আমেরিকার হাতে! ব্যাবসা বাঁচাতে চিনের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন সংস্থার?