জনসভায় মানতে হবে লাউডস্পিকারের নিয়ম, রাজ ঠাকরেকে কড়া সতর্ক বার্তা পুনে পুলিশের
জনসভায় মানতে হবে লাউডস্পিকারের নিয়ম, রাজ ঠাকরেকে কড়া সতর্ক বার্তা পুনে পুলিশের
মহারাষ্ট্র নবনির্মাণ সেনা প্রধান রাজ ঠাকরে, যিনি হনুমান চল্লিসা কাণ্ডের জন্য বিতর্কের কেন্দ্রে এসেছিলে, রবিবার পুনের এক জসভায় তিনি বক্তব্য রাখতে চলেছেন। এই জনসভাকে ঘিরে পুলিশ ইতিমধ্যেই রাজ ঠাকরেকে লাউডস্পিকারের নিয়ম মেনে চলার আগাম সতর্কতা দিয়েছেন। রবিবারের জনসভাকে ঘিরে যে ১৩টি শর্ত আরোপ করা হয়েছে, এটি তার মধ্যে অন্যতম।
রবিবার সকাল থেকেই পুনের গণেশ কলা কেন্দ্র মঞ্চে বিরাট পুলিশ বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে, যাতে সুরক্ষায় কোনও খামতি না থাকে। পুনের এমএনএস সভাপতি সাইনাথ বাবর জানিয়েছেন যে রাজ ঠাকরের জনসভায় ১০ হাজার থেকে ১৫ হাজার মানুষ যোগ দিতে পারেন। প্রসঙ্গত, মসজিদ থেকে বেআইনি লাউডস্পিকার সরিয়ে ফেলার আহ্বান জানিয়ে রাজ ঠাকরে রাতারাতি বিতর্কে চলে আসেন, তাঁর এই বিতর্ক বড় ধরনের রাজনৈতিক ইস্যু তৈরি করে, এমনকী মহারাষ্ট্রের বাইরেও। তখন থেকেই রাজ ঠাকরের জনসভা জাতীয় স্তরের মনোযোগ পেতে শুরু করে।
রাজ ঠাকরে উদ্ধব ঠাকরে শাসিত সরকারকে সতর্ক করে এও জানান যে যদি তাঁর সরকার মসজিদ থেকে বেআইনি লাউডস্পিকার সরাতে ব্যর্থ হয়, তবে রাজ ঠাকরের দলীয় কর্মীরা মসজিদের বাইরে বসে হনুমান চল্লিসা পরবেন। হনুমান চল্লিসা–লাউডস্পিকার বিতর্কের মাঝেই এমএনএস প্রধান ঘোষণা করেন যে তিনি ৫ জুন অযোধ্যা সফরে যাবেন, যা পরে তিনি পিছিয়ে দেন এবং রবিবার পুনের জনসভা থেকে এর কারণ হয়ত তিনি জানাতে পারেন।
জনসভার ঠিক একদিন আগে, পুলিশ রীতিমতো সতর্ক করে রাজ ঠাকরেকে জানিয়েছেন যে রবিবারের জনসভায় তাঁর বক্তব্যে যেন কোনও সম্প্রদায়কে অপমান না করা হয়। অন্যান্য শর্তগুলির মধ্যে রয়েছে—
১) অংশগ্রহণকারীদের এমন বক্তৃতা থেকে বিরত থাকতে হবে যার ফলে কোনো সম্প্রদায়ের অবমাননা হয় বা সম্প্রদায়ের মধ্যে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়।
২) জনসভায় উপস্থিত নাগরিকদের নিজ নিজ শৃঙ্খলা অনুসরণ করা উচিত
৩) আয়োজকদের এটা নিশ্চিত করতে হবে যে জনসভায় যোগদানকারীরা যাতে কোনও আপত্তিকর স্লোগান না দেয়।
৪) অডিটোরিয়ামের ধারণক্ষমতা অনুসারে উপস্থিত লোকের সংখ্যা অবশ্যই সীমাবদ্ধ করা উচিত।
৫) সুপ্রিম কোর্ট দ্বারা নির্ধারিত লাউডস্পিকার নিয়মগুলি সম্পূর্ণরূপে মেনে চলতে হবে।
৬) অস্ত্র নিয়ে কেউ প্রবেশ করতে পারবেন না অডিটোরিয়ামে।
৭) সকাল ১০টা থেকে দুপুর ২টোর মধ্যে সমাবেশ করতে হবে।
৮) পুলিশ কর্মীদের নিরাপত্তার জন্য ঝাঁপিয়ে পড়ার অধিকার থাকবে
৯) নারী ও শিশুদের জন্য আলাদা বসার ব্যবস্থা করতে হবে।
১০) আয়োজকদের জলের ব্যবস্থা রাখতে হবে।
কোয়াড সম্মেলনে যোগ দিতে জাপান সফর মোদীর