লিভ–ইন সম্পর্ক সামাজিকও নৈতিকভাবে গ্রহণযোগ্য নয়, মত হাইকোর্টের
লিভ–ইন সম্পর্ক সামাজিকও নৈতিকভাবে গ্রহণযোগ্য নয়
বিয়ের আগে এখন অনেকেই লিভ–ইন সম্পর্কে থাকতে চান। জীবনসঙ্গী হিসাবে একে–অপরকে চিনে নেওয়ার এ এক দারুণ কৌশল। বিদেশে লিভ–ইন সম্পর্কের লাখো লাখো উদাহরণ দেখা গেলেও এখনও ভারতে বিয়ের আগে একসঙ্গে থাকাকে সঠিক বলে মনে করেন না অনেকেই। সম্প্রতি এক যুগল দাবি করেছিলেন যে তাঁদের আশঙ্কা তাঁদের অভিভাকদের কাছ থেকে জীবনের ঝুঁকি রয়েছে (গুলজা কুমারি বনাম পাঞ্জাব সরকার)। এ সংক্রান্ত মামলায় পাঞ্জাব ও হরিয়ানা হাইকোর্ট জানিয়েছে যে লিভ–ইন সম্পর্ক সামাজিক ও নৈতিকভাবে গ্রহণযোগ্য নয়। এছাড়াও লিভ-ইন সম্পর্কে থাকা যুগলের নিরাপত্তার আবেদন খারিজ করে হাইকোর্ট।
একক–বিচারপতি এইচ এস মদানের বেঞ্চ গুলজা কুমারি ও গুরবিন্দর সিংয়ের আবেদন খারিজ করে। এই যুগল লিভ–ইন সম্পর্কে রয়েছেন এবং বিয়ে করার ইচ্ছা রয়েছে। হাইকোর্ট এ প্রসঙ্গে বলেছে, 'প্রকৃতপক্ষে, বর্তমান আবেদন দায়েরের আড়ালে আবেদনকারীরা তাদের লিভ–ইন সম্পর্কতে অনুমোদনের সিলমোহর চেয়েছেন, যা সামাজিক ও নৈতিকভাবে গ্রহণযোগ্য নয় এবং কোনও নিরাপত্তা দেওয়ার নির্দেশ এ ক্ষেত্রে দেওয়া হবে না।’
জানা গিয়েছে, জানা গিয়েছে, উত্তরপ্রদেশের এক ১৯ বছরের তরুণীর সঙ্গে সম্পর্ক ছিল ২২ বছরের যুবকের। পরিবারের অমতে তাঁরা বিয়ে না করে একসঙ্গে থাকার সিদ্ধান্ত নেন। এর মধ্যে মেয়েটির বাড়ি থেকে তীব্র আপত্তি ছিল এই সম্পর্কে। শেষ পর্যন্ত বাড়ি থেকে পালিয়ে গিয়ে লিভ-ইন শুরু করেন ওই তরুণী ও যুবক। এই মুহূর্তে বিয়ে করার কোনও পরিকল্পনা নেই তাঁদের। কিন্তু নিরাপত্তার অভাব বোধ করায় পাঞ্জাব পুলিশের দ্বারস্থ হন তাঁরা। এরপর থেকেই বেড়ে যায় হুমকির পরিমাণ। অবশেষে আদালতের কাছে নিরাপত্তা চেয়ে আর্জি জানান দু’জন।
টিকা বণ্টনে হু-র চাপের মুখে সিরাম, ভারতের সঙ্কটের জেরে প্রশ্নের মুখে কোভ্যাক্স ফেসিলিটি
সম্প্রতি, লিভ-ইন সম্পর্কে থাকা আর এক যুগলের নিরাপত্তার আবেদন খারিজ করে পাঞ্জাব এবং হরিয়ানা হাইকোর্টের অন্য একটি বেঞ্চ। আদালতের যুক্তি, এমন কোনও পদক্ষেপ করলে সামাজিক কাঠামোয় আঘাত আসতে পারে। ওই যুগলের আবেদনে বলা হয়েছিল মেয়েটির বাবা এবং আত্মীয়েরা ক্রমাগত তাঁদের খুনের হুমকি দিচ্ছেন।