তলিয়ে যাচ্ছে যোশীমঠ! উত্তরাখণ্ডে ঝুঁকির মুখে থাকা শহরগুলির তলিকা একনজরে
তলিয়ে যাচ্ছে যোশীমঠ! উত্তরাখণ্ডে ঝুঁকির মুখে থাকা শহরগুলির তলিকা একনজরে
যোশী মঠ বসে যেতেই সেখানে চালু থাকা এনটিপিসির জলবিদ্যুৎ প্রকল্প কিংবা চারধাম যাত্রার সংযোগকারী রাস্তা নিয়ে প্রশ্ন চিহ্ন উঠতে শুরু করেছে। কয়েক দশক আগে পরিবেশকর্মীরা এইসব প্রকল্প নিয়ে আন্দোলন করেছিলেন। যদিও সেই সময় বিষয়টিতে গুরুত্ব দেওয়া হয়নি সরকারি পর্যায়ে। আর এবার যোশী মঠে সংকট শুরু হওয়ার পরে অন্য শহরগুলির বিষয়টি সামনে এসে পড়েছে।
ভারতের কৌশলগত সীমান্ত
চীনের সঙ্গে সীমান্ত বিরোধী যোশী মঠ ভারতের কৌশলগত অবস্থানের মধ্যে অন্যতম। ভূপৃষ্ট থেকে ১৮৩০ মিটার উচ্চতায় অবস্থিত যোশীমঠ ভূমিকম্পপ্রবণ অঞ্চল হিসেবে পরিচিত। একদিকে যেমন সেখানে বদ্রিনাথ এবং হেমকুণ্ড সাহিবের মতো তীর্থস্থান রয়েছে। অন্যদিকে রয়েছে আন্তর্জাতিক স্কিইং স্পট আউলি।
প্রকৃতির রোষে বহু মানুষের মৃত্যু
বারে বারে প্রকৃতির রোষে পড়েছে উত্তরাখণ্ড। ২০২১-এ চামোলিতে হিমবাহ ভেঙে রেনি নামক গ্রামে হড়পা বান আসে। যার জেরে প্রায় ২০০-র বেশি মানুষ নিখোঁজ হয়ে যান। অন্যদিকে ২০১৩ সালে কেদারনাথে মেঘভাঙা বৃষ্টিতে পাঁচ হাজারের বেশি মানুষের মৃত্যু হয়।
ইসরোর রিপোর্ট
ইসরোর ন্যাশনাল রিমোট সেন্সিং সেন্টারের রিপোর্টে স্যাটেলাইটের ছবি প্রকাশ করা হয়েছে। যেখানে বলা হয়েছে, ২০২২-এর এপ্রিল থেকে নভেম্বর এই সাত মাসে প্রায় নয় সেমির মতো বসে গিয়েছিল যোশী মঠ। কিন্তু ২০২২-এর ২৭ ডিসেম্বর থেকে ৮ জানুয়ারি ২০২৩, এই ১২ দিনে জমি তলিয়ে গিয়েছে ৫.৪ সেমি। যদিও ন্যাশনাল রিমোট সেন্সিং সেন্টারের ওয়েবসাইট থেকে সেই রিপোর্ট পরে উধাও হয়ে যায়। এব্যাপারে কোনও সরকারি বক্তব্য এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত পাওয়া যায়নি।
তালিকায় নৈনিতাল-উত্তরকাশী-চম্পাওয়াত
ভূতত্ববিদরা বলছেন, বর্তমানে যোশী মঠের মতো পরিস্থিতি অদূর ভবিষ্যতে তৈরি হতে পারে নৈনিতাল- উত্তরকাশী এবং চম্পাওয়াতেও। ভূমিধসের ফলে তৈরি ধ্বংসাবশেষের ওপরে শহরগুলি তৈরি হওয়ায় ভিত্তি দুর্বল। এইসব এলাকায় অত্যন্ত ভূমিকম্প প্রবণ। ফল্টলাইনগুলি পুনরায় সক্রিয় হওয়া ছাড়াও জনসংখ্যার ব্যাপক বৃদ্ধি এবং নির্মাণ কাজের পরিস্থিতির ওপরে প্রভাব ফেলছে বলেও বলছেন বিশেষজ্ঞরা। প্রসঙ্গত উত্তরাখণ্ডের চারটি জায়গায় এই সময় চারটি জায়গায় ১.৯ ডলারের চারটি জলবিদ্যুৎ প্রকল্পের কাজ চলেছে। এছাড়াও উত্তরাখণ্ডের হিন্দু তীর্থস্থানগুলির মধ্যে সংযোগ উন্নত করতে পাহাড় কেটে রাস্তা তৈরি প্রকল্পও।
তেহরি-মানা
তেগরি অঞ্চলের বেশ কিছু বাড়তে ফাটল দেখা গিয়েছে। এখানে উল্লেখ করা প্রয়োজন তেহরি বাঁধ ভারতের সব থেকে উঁচু। এই জলবিদ্যুৎপ্রকল্পটি বৃহত্তম জলবিদ্যুৎ প্রকল্পগুলির মধ্যে অন্যতম। অন্যদিকে মানা হল ভারত-চীন সীমান্তে থাকা শেষ গ্রাম। সেখানে ভারতীয় সেনাবাহিনীর গুরুত্বপূর্ণ অবস্থান রয়েছে। ২০২০ সালে সীমান্ত সমস্যা মাথা চাড়া দেওয়ার পর থেকে সেখানে ভারতীয় সেনার সংখ্যা বাড়ানো হয়।
ধারাসু-গৌচর-পিথোরাগড়
চিনের
সঙ্গে
সীমান্ত
রক্ষায়
ধারাসু
ভারতের
সেনার
কাছে
অন্যতম
গুরুত্বপূর্ণ
স্থান।
গৌচরও
চাই।
যোশীমঠ
থেকে
প্রায়
১০০
কিমি
দক্ষিণ-পশ্চিমে
ভারতে
সামরিক
ঘাঁটি
এটি।
২০১৩
সালের
কেদারনাথের
প্রাকৃতিক
বিপর্যয়ের
উদ্ধার
ও
ত্রাণের
কাজের
অনেকটাই
এখান
থেকে
করা
হয়েছিল।
পিথোরাগড়ও
ভারতে
সামরিক
দিক
থেকে
গুরুত্বপূর্ণ
স্থান।
আবার
সেখানে
প্রচুর
সাধারণ
মানুষও
বসবাস
করেন।
প্রশাসনিক
কেন্দ্র
ছাড়াও
এখানে
রয়েছে
এয়ারস্ট্রিপও।
Joshimath: যোশী মঠে বিপর্যয়ে ISRO কি ইউটার্ন নিতে চলেছে? ওয়েবসাইট থেকে রিপোর্ট 'উধাও'য়ে জল্পনা