মহামারীর মাঝেও আশার আলো! মানবদেহে ৫ মাস পর্যন্ত স্থায়ী করোনার অ্যান্টিবডি, খোঁজ ভারতীয় গবেষকের
মহামারীর মাঝেও আশার আলো! মানবদেহে ৫ মাস পর্যন্ত স্থায়ী করোনার অ্যান্টিবডি, খোঁজ ভারতীয় গবেষকের
বিশ্বব্যাপী করোনা প্রাদুর্ভাবের জেরে কার্যত নাজেহাল গোটা দেশ। প্রায় ৮ মাসের উপর দেশ তথা গোটা বিশ্বে করোনা পরিস্থিতি ক্রমেই ভয়াবহ হয়ে উঠেছে। পাল্লা দিয়ে বাড়ছে আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা। এমতাবস্থায়, করোনাকে সাথে নিয়েই 'নিউ নর্ম্যাল' জীবনে অভ্যস্ত হয়ে উঠতে শুরু করেছে মানুষ। তবে প্রশ্ন উঠছিল কোনো ব্যক্তি করোনায় আক্রান্ত হওয়ার পর তার শরীরে রোগ-প্রতিরোধী অ্যান্টিবডি কতদিন স্থায়ী হবে? গবেষণায় জানা গিয়েছিল, করোনার বিরুদ্ধে তৈরি অ্যান্টিবডি মানবদেহে তিন মাসের বেশি স্থায়ী হয়না। এবার বাঙালি বিজ্ঞানীর গবেষণা দেখাচ্ছে নতুন দিশা।
দীপ্ত ভট্টাচার্যের গবেষণাতেই তুমুল শোরগোল
অ্যারিজোনা ইউনিভার্সিটির বিজ্ঞানী দীপ্ত ভট্টাচার্যের দাবি, নোভেল করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার পাঁচ থেকে সাত মাস পরও শরীরে উচ্চ-মানের অ্যান্টিবডি তৈরি হয়। এছাড়াও তিনি জানান,যদি আক্রান্তের শরীরে কোনো জটিল সংক্রমণজনিত রোগ না থাকে তবে এই অনাক্রম্যতা শক্তি আরও বাড়বে। আর তার এই গবেষণার হাত ধরেই নতুন আশায় বুক বাঁধছেন করোনা গবেষকের দল।
প্রায় ৬ হাজার রোগীর উপর চলে সমীক্ষা
সম্প্রতি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইউনিভার্সিটি অব অ্যারিজোনার একদল গবেষক করোনায় আক্রান্ত প্রায় ৬ হাজার রোগীর অ্যান্টিবডি পরীক্ষা করে এই সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছেন বলে জানা যাচ্ছে। গবেষণা বলছে, করোনা সংক্রমণের ১৪ দিনের মধ্যেই প্লাজমায় অ্যান্টিবডি তৈরি হতে শুরু করে। এই অ্যান্টিবডি শরীরের করোনারোধী ইমিউনিটিকে দীর্ঘমেয়াদি করে তোলে বলেও দাবি বিজ্ঞানীদের।
মারণ করোনার বিরুদ্ধে পাঁচিল তুলতে আদৌও কতটা কার্যকরী এই অ্যান্টিবডি ?
এই প্রশ্নের উত্তর দেওয়া খানিক কঠিন বলেই জানিয়েছেন ইউনিভার্সিটি অব অ্যারিজোনার হেলথ সায়েন্সেসের ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইকেল ডি ডেইক। গবেষক দীপ্ত ভট্টাচার্যের মতে, প্রথম সারস ভাইরাসে যারা আক্রান্ত হয়েছিলেন তাদের শরীরে ১৭ বছর পরেও ইমিউনিটি রয়েছে। তাই গবেষকদের আশা নোভেল করোনাভাইরাস যেহেতু সারস ভাইরাসের সমগোত্রীয় তাই করোনার এই ইমিউনিটিও কমপক্ষে দুই বছর পর্যন্ত শরীরে স্থায়ী হতে পারে।
ভ্যাকসিনের দেখা নেই, বিশ্বে আক্রান্ত বেড়ে ৩কোটি ৮৩ লাখ
চিনের উহান প্রদেশে এই মারণ ভাইরাসের প্রথম প্রাদুর্ভাবের পর কেটে গেছে প্রায় ৯ মাসের কাছাকাছি সময়। বর্তমানে বিশ্বের প্রায় ২০০ টির বেশি দেশে ইতিমধ্যেই দাপিয়ে বেড়াচ্ছে প্রাণঘাতী করোনা। বিশ্বজুড়ে আক্রান্ত ছাড়িয়েছে ৩ কোটি ৮৩ লাখ এবং মারা গেছেন ১০ লাখ ৯০ হাজারের বেশি মানুষ। যদিও এখনও অবধি দেখা মেলেনি কোনও কার্যকরী ভ্যাকসিনের। এমতাবস্থায়, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা দাবি চলতি বছরের শেষে অথবা আগামী বছরের শুরুতেই করোনার ভ্যাকসিনের দেখা পাবে বিশ্ববাসী।
ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থার ক্ষেত্রে স্বনির্ভরতা অর্জনের লক্ষ্য স্থির করল ডিআরডিও