আম্মার স্মৃতিসৌধে প্রণাম ঠুকে এক হচ্ছে এআইএডিএমকে-র দুই বিক্ষুব্ধ গোষ্ঠী
কয়েকমাসের টানাপোড়েনের পর অবশেষে দুই হাত এক হচ্ছে এআইএডিএমকে-র দুই বিক্ষুব্ধ গোষ্ঠীর।
বেশ কয়েকমাসের টানাপোড়েনের পর অবশেষে দুই হাত এক হচ্ছে এআইএডিএমকে-র দুই বিক্ষুব্ধ গোষ্ঠীর। প্রয়াত জয়ললিতার স্মৃতিসৌধে জড়ো হয়ে বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী ই পলানিস্বামী ও প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ও পন্নিসেলবম গোষ্ঠী হাত মিলিয়ে ফেলবেন বলেই মনে করা হচ্ছে।
গতবছরের ডিসেম্বর মাসে এআইএডিএমকে নেত্রী তথা তামিলনাড়ুর ততকালীন মুখ্য জে জয়ললিতার মৃত্যুর পরে দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে যায় এআইএডিএমকে। একদিকে ছিলেন পন্নিরসেলবম ও অন্যদিকে ছিলেন শশীকলা নটরাজন।
এরপরে ফেব্রুয়ারিতে শশীকলা সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে জেলহাজতে চলে যাওয়ার পরে দলের ভাঙন আরও তীব্র হয়। তিনি পন্নিরসেলবমকে দল থেকে বহিষ্কার করে পলানিস্বামীকে মুখ্যমন্ত্রী করে যান।
তারপর কয়েকমাস যেতে না যেতেই ধীরে ধীরে এআইএডিএমকে-র দুই বিক্ষুব্ধ গোষ্ঠীর মধ্যে দূরত্ব কমতে শুরু করে। দুই পক্ষই নিজেদের মধ্যে আলোচনায় বসে সমস্যা মিটিয়ে এক হওয়ার বিষয়ে আগ্রহ দেখায়।
পন্নিরসেলবম গোষ্ঠী ফেরত দলে যোগ দেওয়ার ক্ষেত্রে দুটি শর্ত রেখেছিল। তা হল জয়ললিতার মৃত্যুর তদন্ত করতে হবে ও জয়ার চেন্নাইয়ের পোয়েস গার্ডেনের বাড়িটিকে মেমোরিয়াল হিসাবে ঘোষণা করতে হবে।
এই দুটি সিদ্ধান্তই তামিলনাড়ুর পলানিস্বামী সরকার মেনে নিয়ে ঘোষণা করে দিয়েছে। পোয়েস গার্ডেনের বাড়ি মেমোরিয়াল হবে ও গত ডিসেম্বরে প্রয়াত জয়ললিতার মৃত্যুর তদন্ত করা হবে।
পন্নিরসেলবমের গোষ্ঠীর আরও দুটি দাবি অবশ্য ছিল। তা হল শশীকলা নটরাজন ও তার ভাইপো টিটিভি দিনাকরণকে দল থেকে বহিষ্কার করতে হবে। দিনাকরণকে দল থেকে ছেঁটে ফেললেও শশীকলাকে এখনও সরানো হয়নি। এক্ষেত্রে নির্বাচন কমিশন ও আদালতের বিষয় জড়িয়ে রয়েছে বলে জানা গিয়েছে।