মেয়েকে লোকসভায় টিকিট দিয়ে দলে বিদ্রোহের সম্মুখীন লালু
বিহারে ৪০টি লোকসভা আসন। কংগ্রেসের সঙ্গে আসন সমঝোতার পর ঠিক হয়েছে, ২৭টি আসনে লড়বে আরজেডি। বাকি ১৩টি আসনে কংগ্রেস প্রার্থী দেবে। সেই মতো প্রথম দফায় ২৫ জনের নাম ঘোষণা করেন লালুপ্রসাদ যাদব। পাটলিপুত্র আসনে টিকিট দেন নিজের মেয়ে মিসা যাদবকে।
এ কথা জানাজানি হতে প্রথম তোপ দাগেন রামকৃপাল যাদব। লালুর দীর্ঘদিনের ছায়াসঙ্গী এবং বর্তমানে রাজ্যসভার সাংসদ রামকৃপাল যাদব পাটলিপুত্র আসনে টিকিট প্রত্যাশী ছিলেন। তিনি অভিযোগ করেন, প্রতিশ্রুতি দেওয়া সত্ত্বেও তা পালন করা হয়নি। দল ছাড়ার কথা ঘোষণা করে তিনি সোজা উড়ে যান দিল্লি। সূত্রের খবর, বিজেপি-তে যোগ দিচ্ছেন রামকৃপাল। সেক্ষেত্রে বিজেপি তাঁকে পাটলিপুত্র আসন থেকে দাঁড় করাবে।
একইভাবে গুলাম ঘাউসও বিদ্রোহ করেছেন দলের বিরুদ্ধে। লালু বলেছিলেন, তাঁকে পশ্চিম চম্পারন থেকে দাঁড় করাবেন। কিন্তু কথার খেলাপ করায় ওই আসন থেকে নির্দল প্রার্থী হিসাবে দাঁড়াচ্ছেন গোলাম ঘাউস। তিনি বলেন, "আমরা সারা বছর দলের জন্য কাজ করি। অথচ এই তো পুরস্কার! লালুপ্রসাদ যাদব আমাকে প্রাপ্য সম্মান দেননি।"
প্রাক্তন মন্ত্রী তথা আরজেডি হেভিওয়েট সুরেশ পাসোয়ানও এক সুরে কথা বলতে শুরু করেছেন। কারণ তিনি প্রতিশ্রুতি পেয়েছিলেন যে, গয়া অথবা জামুই আসনে টিকিট পাবেন। তা হয়নি। ফলে তিনিও নির্দল প্রার্থী হিসাবে লড়ার কথা ভাবছেন।
ইলিয়াস হুসেন একদা লালুর ছায়াসঙ্গী ছিলেন। প্রাক্তন মন্ত্রীও। তিনিও টিকিট না পেয়ে দল ছাড়ার কথা ঘোষণা করেছেন। বলেছেন, রাষ্ট্রীয় জনতা দলে স্বৈরতন্ত্র বাসা বেঁধেছে।
প্রসঙ্গত, স্ত্রীকেও লোকসভা ভোটে প্রার্থী করেছেন লালুপ্রসাদ যাদব। রাবড়িদেবী লড়বেন সরন আসন থেকে। এখান থেকেই ২০০৯ সালের লোকসভা ভোটে জিতেছিলেন লালুপ্রসাদ যাদব। কিন্তু পশুখাদ্য কেলেঙ্কারি মামলায় দোষী সাব্যস্ত হওয়ায় তাঁর সাংসদ পদ খারিজ হয়ে গিয়েছে এবং এবার তিনি ভোটেও লড়তে পারবেন না।