করোনা সঙ্কটে চাকরি গেলে অর্থকষ্ট ঠেকাতে বীমা করবেন ভাবছেন? জেনে নিন বিশদে
করোনা সঙ্কটে চাকরি গেলে অর্থকষ্ট ঠেকাতে বীমা করবেন ভাবছেন? জেনে নিন বিশদে
বর্তমান মহামারীর আবহে বিশ্বজুড়ে আর্থিক মন্দার মুখে সমস্ত দেশ। উৎপাদন বন্ধ এবং চাহিদা নিম্নগামী থাকাপ ফলে বহু ক্ষেত্রের কর্মীরাই চাকরি থেকে বাদ পড়ছেন। এছাড়াও বেতন হ্রাস, বিনা বেতনে ছুটি তো লেগেই আছে। এই সুযোগে দেশের বীমা সংস্থাগুলি আনছে শর্তসাপেক্ষ বীমা, তাদের দাবি চাকরি গেলেও আর্থিক ধাক্কা থেকে বাঁচবে এই আপদকালীন বীমা।
কি এই 'জব লস ইনসিওরেন্স কভার'?
'জব লস ইনসিওরেন্স কভার' মূলত একধরনের বীমা যা গৃহঋণ বা স্বাস্থ্যঋণের সঙ্গে অতিরিক্ত সুবিধা পেতে নেওয়া যেতে পারে। শুধুমাত্র আলাদা করে এই চাকরি সুরক্ষা বীমা করানো যাবে না। মূলত চাকরি থাকাকালীন গৃহঋণের সাথেই এই বীমাবাবদ অতিরিক্ত খরচটি জমা করতে হবে। মোট কভারেজের প্রায় ৩%-৫% প্রিমিয়াম এই বীমায় দিতে হতে পারে।
কাদের জন্য এই বীমা?
আইসিআইসিআই ও এইচডিএফসির মতো বেসরকারি ব্যাঙ্কগুলি এই ঋণব্যবস্থা চালু করেছে। মূলত এই বীমার কভারেজ পাওয়ার জন্য চাকরি হারানোর কারণ জানানো বাধ্যতামূলক। সংস্থা থেকে কোনো কারণে বিতাড়িত হওয়া কর্মী বা শিক্ষানবিশদের ক্ষেত্রে এই বীমা কার্যকর হবে না। কর্পোরেট বিশেষজ্ঞদের মতে, ভারতের অধিকাংশ সংস্থা ক্ষতিপূরণ দেওয়ার ভয়ে কর্মীদেরই ইস্তফা দেওয়ার জন্যে চাপ দেয়, ফলে ভারতের মত দেশে এমন বীমা অনর্থক। আইসিআইসিআইয়ের প্রধান সঞ্জয় দত্তের মতে, "বর্তমানে চাকরির ক্ষেত্রে প্রত্যেকেই অনিশ্চয়তায় ভুগছেন। তাছাড়া চাকুরিরত অবস্থায় শল্যচিকিৎসা, মারাত্মক অসুস্থতা বা কোনোভাবে কাজ করার ক্ষমতা হারালে তাঁর ক্ষেত্রে এই বীমা অতিরিক্ত অর্থকষ্ট বয়ে আনতে পারে।"
স্বাস্থ্যজনিত কারণ ছাড়া অন্যান্যভাবে চাকরি হারালে কি হতে পারে ?
বীমায়
পূর্বে
উল্লিখিত
সংস্থার
বন্ধ
হয়ে
যাওয়া,
আইনি
জটিলতায়
জড়িয়ে
যাওয়া
বা
দেউলিয়া
হয়ে
যাওয়ার
ঘটনায়
এই
সুরক্ষাকবজ
কাজে
লাগবে।
তবে
গৃহঋণের
সঙ্গে
এই
বীমা
করলে
মাত্র
৫বছরের
জন্য
কার্যকর
থাকবে
'জব
লস
ইনসিওরেন্স
কভার'।
ফিনসেফ
ইন্ডিয়া
প্রাইভেট
লিমিটেডের
প্রতিষ্ঠাতা
মৃন
আগরওয়াল
জানিয়েছেন,
"এই
বীমা
মূলত
অন্য
ঋণের
সঙ্গেই
নেওয়া
সম্ভব।
সেক্ষেত্রে
এই
বীমার
প্রত্যেকটি
নিয়ম
খুবই
কঠোর
এবং
এর
কভারেজ
পাওয়ার
ক্ষেত্রে
চাকরি
হারানোর
কারণগুলিও
সীমিত
থাকবে।
আর
তাই
আমার
বক্তব্য
হল,
এই
বীমায়
ভরসা
না
করে
নিজেদের
মাইনে
থেকে
বাঁচিয়ে
৬-১২
মাসের
খরচ
চালানোর
মত
তহবিল
নিজেরই
গড়ে
তোলা
উচিত।"
কারা এই চাকরি সুরক্ষা সংক্রান্ত বীমার সুবিধা পাবেন না?
'জব লস ইনসিওরেন্স কভার'-এর সুবিধা পাবেন শুধুমাত্র অন্যের আওতায় চাকুরিরতরা। বেকাররা এই বীমার সুবিধা পাবেন না। স্বেচ্ছাঅবসর, আগে থেকে থাকা কোনো রোগ, প্রতারণা-খারাপ কর্মক্ষমতা বা সংস্থা থেকে কোনও কারণে বিতাড়িত হলে এই সকল ক্ষেত্রে কর্মীরা এই বীমার সুবিধা পাবেন না। শিক্ষানবিশরাও এই বীমার আওতার বাইরে। সবদিক বিচার করে বিশেষজ্ঞরা এই বীমা থেকে দূরেই থাকতে বলছেন। মনে রাখা জরুরি, অবৈতনিক বা চুক্তিমূলক কর্মীরা এই বীমা করাতে পারবেন না। যেহেতু প্রত্যেকেই চাকরি ছাঁটাইয়ের ভয় পাচ্ছেন, সেহেতু এসআইপি ও অন্যান্য ফান্ডে প্রত্যেকেরই নিজ নিজ উপায়ে টাকা গচ্ছিত রাখা উচিত। একেবারেই টাকা গচ্ছিত রাখেননি অথচ চাকরি হারানোর ভয়ে কাঁটা, এমন কর্মীদেরই শুধু সবদিক ভেবে এই বীমার দিকে এগোতে বলছেন কর্পোরেট বিশেষজ্ঞরা।
দেশে করোনা আক্রান্তদের ৭৩ শতাংশ মারা গিয়েছেন এই কারণে, তথ্য প্রকাশ কেন্দ্রের