'আমার ধর্মকে রক্ষা করতে গৌরী লঙ্কেশকে হত্যা করেছি',হত্যাকাণ্ড ঘিরে বিস্ফোরক বয়ান অভিযুক্তর
সাংবাদিক গৌরী লঙ্কেশ হত্যাকাণ্ডে তদন্তে নেমে অভিযুক্ত পরশুরাম ওয়াঘমোরের থেকে একাধিক তথ্য জানতে পেরেছে বিশেষ তদন্তকারী দল।
সাংবাদিক গৌরী লঙ্কেশ হত্যাকাণ্ডে তদন্তে নেমে অভিযুক্ত পরশুরাম ওয়াঘমোরের থেকে একাধিক তথ্য জানতে পেরেছে বিশেষ তদন্তকারী দল। ধৃত পরশুরাম ওয়াঘমোরে উত্তর কর্ণাটকের বিজয়পূরা থেকে এই সপ্তাহের প্রথমের দিকেই ধরা পড়েছে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে একাধিক চাঞ্চল্যকর তথ্য পেয়ে চলেছে বিশেষ তদন্তকারী দল।
২৬
বছর
বয়সী
ধৃত
পরশুরাম
জানিয়েছেব,
৪
টি
বুলেট
যখন
নিজের
বন্দুক
থেকে
সে
গৌরী
লঙ্কেশের
বুকে
বিঁধিয়ে
দিয়েছিল,
তখনও
সে
জানত
না
যে
কাকে
হত্যা
করা
হচ্ছে।
গোয়েন্দাদের
জিজ্ঞসাবাদের
মুখে
সে
জানিয়েছে,
তাকে
২০১৭
সালের
মে
মাসে
নির্দেশ
দেওয়া
হয়েছিল
নিজের
ধর্মকে
রক্ষা
করতে
কোনও
একজনকে
হত্যা
করতে
হবে।
তবে
কাকে
হত্যা
করতে
হবে,
তাঁর
পরিচয়
পরশুরামকে
জানানো
হয়নি।
সে
প্রস্তাবে
রাজি
হয়ে
যায়।
কিন্তু
খুনের
পর
এখন
পরশুরামের
মনে
হচ্ছে,
এই
হত্যা
সে
না
করলেই
পারত।
গোয়েন্দা
সূত্রে
এমনটাই
জানানো
হয়েছে।
ধৃত পরশুরাম জানিয়েছে, তাকে বাইকে বসিয়ে প্রথমে গৌরী লঙ্কেশের বাড়িটি চিনিয়ে দেওয়া হয়। পরে গৌরী লঙ্কেশের বেঙ্গালুরুর আর আরনগরের বাড়ির সামনে তাকে ছেড়ে দেয় সেই বাইক আরোহী। কিন্তু তখন গৌরী লঙ্কেশ বাড়ির ভিতরে ছিলেন। সেই উদ্যোগ ব্যর্থ হয় । এরপর ৫ সেপ্টেম্বর ২০১৭ সালে বিকেল ৪ টে নাগাদ ফের বন্দুক হাতে পায় পরশুরাম। পৌঁছে যায় গৌরী লঙ্কেশের বাড়ির সামনে। গৌরী নিজের গাড়ি নিয়ে বাড়ি ফিরছিলেন। সেই সময়ে বাড়ির গেট খুলতে গাড়ি থেকে নামেন গৌরী লঙ্কেশ। বাড়ির গেটের সামনে দাঁড়িয়ে একটু কেশে নেয় পরশুরাম। আর পরশুরামের দিকে গৌরী তাকাতেই, ৪ টে গুলি গৌরীর শরীরে বিঁধিয়ে ফেলে পরশুরাম। রক্তাক্ত অবস্থায় মাটিতে লুটিয়ে পড়েন সাংবাদিক গৌরী লঙ্কেশ। ওয়াঘমোরে পুলিশকে জানিয়েছে, সেই রাতেই বেঙ্গালুরুতে তার জন্য নেওয়া ভাড়া বাড়িতে ফিরে আসে সেই,আর তখনই সেখান থেকে পালিয়ে যায়।