ভাসছে কেরল, ৯টি জেলায় লাল সতর্কতা, মৃত ৪৫
ফের ভয়াবহ বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে কেরলে। লাগাতার বর্ষণে কেরলে ৪৫ জনের মৃত্যু হয়েছে।
ফের ভয়াবহ বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে কেরলে। লাগাতার বর্ষণে কেরলে ৪৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় রেকর্ড বৃষ্টি হয়েছে কেরলের মুরনাড এবং কোডাগুতে। লাগাতার বর্ষণে কেরলের ৭-৯টি জেলার অবস্থা সবচেয়ে খারাপ হয়েছে।
কোচি বিমানবন্দর বিমান ওঠানামা রবিবার বিকেল ৩টে পর্যন্ত বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। প্রবল বর্ষণে ওয়ানাড়, মাল্লাপূরমের একাধিক জায়গায় ধস নেমেছে। ধসে প্রায় ৪০ জন চাপা পড়ে রয়েছেন বলে সূত্রের খবর। ওয়ানাড়ের পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে এলাকার সাংসদ কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে ফোনে কথা বলেছেন।
১৫ অগাস্ট পর্যন্ত কেরলেন একাধিক জায়গায় ভারী থেকে অতিভারী বর্ষণ চলবে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া দফতর। ৭-৯টি জেলায় লাল সতর্কতা জারি করা হয়েছে।
জলবন্দি এলাকা থেকে বাসিন্দাদের সরিয়ে আনার কাজ শুরু করেেছ সেনাবািহনী। সেনার সঙ্গে উদ্ধারকাজে সহযোগিতা করছে বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী। কোট্টায়ামের অবস্থাও অত্যন্ত খারাপ। এই জেলার অধিকাংশ এলাকা জলের তলায় চলে গিয়েছে।
বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে কর্নাটকেও। উত্তর কর্নাটকের পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমনও। উত্তর কর্নাটকর বেলাগভি, চিকমাগালুর, শিবমোগ্গা জলার অবস্থা সবচেয়ে খারাপ। উত্তর কর্নাটকের বন্যা বিধ্বস্ত এলাকা থেকে প্রায় ২ লাখ বাসিন্দাকে সরিয়ে আনা হয়েছে।
মুখ্যমন্ত্রী বিএস ইয়েদুরাপ্পা বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে খবরাখবর নিচ্ছেন। পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী এইচডি দেবগৌড়া প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে টেলিফোনে সাহায্য পাঠানোর আর্জি জানিয়েছেন। জাতীয় বিপর্যয় ঘোষণার দাবি জানিয়েছেন তিনি।