কেরল বিজেপির একদা মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থীই বলছেন 'হিন্দুত্ববাদী' রাজনীতি ছাড়া উচিত বিজেপির
রাজ্যে বিজেপির মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী ছিলেন। গেরুয়া শিবিরের হয়ে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই করেছেন একুশের বিধানসভা নির্বাচনে। এবার সেই পোড়খাওয়া বিজেপি নেতাই কিনা বললেন, গেরুয়া শিবিরের উচিত রাজ্যে হিন্দুত্ববাদী রাজনীতি ছেড়ে সমস্ত সম্প্রদায়ের কথা ভাবা। কথা হচ্ছে কেরলের প্রবীণ বিজেপি নেতা ই শ্রীধরনের। কিছুদিন আগেই সক্রিয় রাজনীতি থেকে বিরতি নিয়েছিলেন তিনি, তবে জানিয়ে দিয়েছিলেন যে দলের সঙ্গেই রয়েছেন। এবার বিজেপিকে হিন্দুত্ববাদী রাজনীতি ছাড়ার উপদেশ দিতে দেখা গেল তাঁকে।
চলতি বছরের বিধানসভা নির্বাচনে লাভ জিহাদ, ধর্ম পরিবর্তন সহ একাধিক হিন্দুঘেঁসা ইস্যু নিয়ে ভোটের ময়দানে নেমেছিল গেরুয়া শিবির। তবে এতে লাভের লাভ হয়নি। দেশের সবচেয়ে শিক্ষিত রাজ্যে ক্ষমতায় এসেছে বামেরা। টানা দ্বিতীয়বারের জন্য মুখ্যমন্ত্রীর পদে বসেছেন পিনারাই বিজয়ন। সেই প্রসঙ্গেই শ্রীধরন বলেন, ' কেরলে লাভ জিহাদ মোটেও বড়সড় কোনও সমস্যা নয়। আমার মনে হয় ওদের (বিজেপির) উচিত নিজেদের মনোভাব বদল করার। উদাহরণস্বরূপ বলা যায়, হিন্দুত্ববাদ নিয়ে বিজেপির মাতামাতি করা উচিত না। এই বার্তা দেওয়া উচিত যে, কেরলের সমস্ত সম্প্রদায়ের মানুষের প্রয়োজনে তারা রয়েছে, শুধু হিন্দু নয়। প্রত্যেক সম্প্রদায়ের চাহিদার কথা মাথায় রাখা উচিত ওদের। প্রাথমিকভাবে এই বদল আসা উচিত'।
তবে কেরল বিজেপির সমালোচনা করলেও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর প্রশংসা শোনা যায় শ্রীধরনের মুখে। তিনি বলেন, ' ঠিক যেমনটা আমাদের প্রধানমন্ত্রী করছেন৷ তিনি কখনও হিন্দুত্ব নিয়ে বলেন না। একবারও বলেন না যে বিশেষ একটি সম্প্রদায়ের প্রতিনিধিত্ব করছেন তিনি। সমগ্র দেশের মানুষের জন্য তিনি রয়েছেন। আমাদেরও উচিত এই পন্থা অবলম্বন করা।'
সক্রিয় রাজনীতি থেকে অবসর নেওয়া নিয়েও কথা বলেন শ্রীধরন। তিনি বলেন, ' আমার দলের জন্য সর্বদা আমি রয়েছি। তবে এরপরে আমি কোনও নির্বাচন কিংবা হরতালে অংশগ্রহণ করব না। তবে বিজেপির জন্য আমার বুদ্ধিমত্তার, অভিজ্ঞতা সর্বদা রয়েছে'। একইসঙ্গে বর্তমান রাজ্য সরকারকেও আক্রমণ করেন শ্রীধরন৷ তিনি জানান, বর্তমান বাম সরকারের প্রতি মানুষ বিতশ্রদ্ধ। কংগ্রেস এবং মুসলিম লিগের জনপ্রিয়তাও হ্রাস পাচ্ছে। এটাই বিজেপির উত্থানের সঠিক সময়। এটা সম্ভব৷ আর এই কারণেই আমি বলেছি, কেরলে বিজেপির যথেষ্ট উজ্জ্বল সম্ভাবনা রয়েছে।'