কংগ্রেসে কি বড় ভাঙনের আশঙ্কা! জ্যোতিরাদিত্যের টুইটার প্রোফাইল কোন ইঙ্গিত দিচ্ছে
লোকসভা ভোটে কংগ্রেসের ধরাশায়ী বিপর্যয়ের পর থেকেই হাত-শিবিরে একাধিক রদবদল পরিলক্ষিত হয়েছে। আর বিপর্যয়ের পর কংগ্রেসের সভানেত্রী পদে ফের দেখা যায় সনিয়াকে।
লোকসভা ভোটে কংগ্রেসের ধরাশায়ী বিপর্যয়ের পর থেকেই হাত-শিবিরে একাধিক রদবদল পরিলক্ষিত হয়েছে। আর বিপর্যয়ের পর কংগ্রেসের সভানেত্রী পদে ফের দেখা যায় সনিয়াকে। কিন্তু দলের মধ্যে বিতর্ক, আর দ্বন্দ্বের আঁচ ততদিনে ধিক ধিক করে জ্বলতে শুরু করে দিয়েছে। আর এই অর্ন্তদ্বন্দ্বের খবর বিভিন্ন রাজ্যের বিধানসভা ভোটকে ঘিরে উঠে আসতে শুরু করে বহু মাস আগে থেকেই। এবার সেই বিতর্কের পুরনো কথা যেন উস্কে গেল ভোপালের কংগ্রেস নেতা জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়ার টুইটার প্রোফাইল ঘিরে।
জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়ার টুইটার প্রোফাইলে কী দেখা যাচ্ছে?
জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়ার টুইটার প্রোফাইলে দেখা যাচ্ছে, তিনি তাঁর 'কংগ্রেস নেতা' হওয়ার পরিচিতি সরিয়ে দিয়েছেন। তাঁর টুইটার প্রোফাইলে লেখা রয়েছে , তিনি একজন 'পাবলিক সার্ভেন্ট' আর একজন 'ক্রিকেট এনথুসিয়াসিস্ট'। প্রোফাইল পরিচিতির এই পরিবর্তন ঘিরেই কংগ্রেসের ঘরে শুরু হয়েছে বিতর্ক। প্রশ্ন উঠছে , তাহলে কি কংগ্রেস থেকে এবার সিন্ধিয়া রাজবংশের সন্তান দূরত্ব বাড়াচ্ছেন?
সমস্যার সূত্রপাত বহু আগে!
মূলত মধ্যপ্রদেশ নির্বাচনের সময় কংগ্রেসের তরফে জ্যোতিরাদিত্য শিবির ও কমলনাথ শিবির ঠাণ্ডা লড়াইেয়র খবর বহু সময় শিরোনাম কেড়েছিল। এরপর সরকার গঠনের পরও মুখ্যমন্ত্রিত্বের পদ ঘিরে জ্যোতিরাদিত্যের নাম উঠলেও কংগ্রেস হাইকমান্ড শিলমোহর বসায় কমলনাথের নামে। ফলে জ্যোতিরাদিত্যের শিবিরের ক্ষোভ বাড়তে থাকে বলে মত একটা মহলের। এরপর উপমুখ্যন্ত্রিত্বের পদ নিজেই প্রত্যাহার করেন জ্যোতিরাদিত্য।
কেন্দ্রের প্রশংসা উঠে আসে জ্যোতিরাদিত্যের তরফে!
এর আগে, বিজেপি শাসিত কেন্দ্রীয় সরকারের একাধিক পদক্ষেপকে স্বাগত জানিয়ে বার্তা দিয়েছেন কংগ্রেসের এই প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। তারপর থেকেই জল্পনা খানিকটা মাথাচাড়া দিয়েছিল। জল্পনা শুরু হয় বিজেপির দিকে জ্যোতিরাদিত্যর ঝুঁকে পড়া নিয়ে। পাশপাশি, মধ্যপ্রদেশে কংগ্রেসের কমলনাথ সরকারের প্রতি সমালোচনাও এই কয়েকদিনে উঠে এসেছে জ্যোতিরাদিত্যর তরফে।
পোস্টার বিতর্ক ও জ্যোতিরাদিত্য
জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়াকে মুখ্যমন্ত্রী করতে মাস কয়েক আগে, মধ্যপ্রদেশে একাধিক পোস্টার পড়ে। এমনকি সংবাদপত্রেও জ্যোতিরাদিত্যর সমর্থনে বিজ্ঞাপন দিতে দেখা যায় জনৈক কংগ্রেসনেতাকে। এরপর থেকে জ্য়োতিরাদিত্যকে ঘিরে কংগ্রেসের বিতর্ক আরও বেড়ে যায়।
'৫৬ নয়, ৬৫ ইঞ্চি ছাতি মোদীর', ঝাড়খণ্ডের জনসভায় বললেন রাজনাথ