দেবযানী ইস্যুতে আমেরিকা শুধু 'দুঃখিত', চাইল না ক্ষমা
জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা শিবশঙ্কর মেননকে ফোন করেছিলেন জন কেরি। ঠিক কী বলেছেন, তা লিখিতভাবে জানিয়েছেন মার্কিন বিদেশ দফতরের মুখপাত্র মেরি হার্ফ। তিনি বলেছেন, "দেবযানী খোবরাগাডের গ্রেফতারের পর ভারতে যা প্রতিক্রিয়া হয়েছে, সেই ব্যাপারে আমাদের বিদেশমন্ত্রী সহানুভূতিশীল। ওঁর দুই মেয়ে দেবযানীর বয়সী হওয়ায় উনি বিষয়টি নিয়ে চিন্তিত। শিবশঙ্কর মেননের সঙ্গে কথা প্রসঙ্গে উনি দুঃখপ্রকাশ করেছেন। আরও বলেছেন, এই দুভার্গ্যজনক ঘটনার ছায়া দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের ওপর পড়বে না বলে তিনি আশা করেন।"
তার পরই অবশ্য ওই মুখপাত্র বলেন, "বিদেশমন্ত্রী আমাদের আইনের গুরুত্ব বোঝেন। আমেরিকায় থেকে যারা গুরুত্বপূর্ণ পদে কাজ করে, তাদের সবার ক্ষেত্রে সমান আইন প্রযোজ্য হবে। আইনের আওতায় থেকে বিদেশি কূটনীতিকদের আমেরিকায় যথাযোগ্য মর্যাদা দেওয়া হবে। আমেরিকা আশা করে তাদের কূটনীতিকরাও বিদেশে উপযুক্ত মর্যাদা পাবে।"
জন কেরির ফোনে অবশ্য ক্ষোভ প্রশমিত হয়নি ভারতের। কারণ, তিনি শুধু দুঃখপ্রকাশ করেছেন। ক্ষমা চাননি। তাই এদিনও দেশের বিভিন্ন জায়গায় মার্কিন কনসুলেটের সামনে প্রতিবাদ-বিক্ষোভ হয়।