ভাষা আন্দোলনের জের, ঝাড়খণ্ডের দুই জেলা থেকে বাদ ভোজপুরী এং মাগাহি! ১১ জেলায় স্বীকৃতি বাংলাকে
ভাষা নিয়ে আন্দোলনের জের। প্রতিবেশী ঝাড়খণ্ডের (Jharkhand) বোকারো (Bokaro) ও ধানবাদ (Dhanbad) জেলার আঞ্চলিক ভাষার তালিকা থেকে ভোজপুরী এবং মাগাহিকে সরিয়ে নেওয়ার কথা জানাল ঝাড়খণ্ড সরকার। হেমন্ত সোরেন সরকারের তরফে জারি
ভাষা নিয়ে আন্দোলনের জের। প্রতিবেশী ঝাড়খণ্ডের (Jharkhand) বোকারো (Bokaro) ও ধানবাদ (Dhanbad) জেলার আঞ্চলিক ভাষার তালিকা থেকে ভোজপুরী এবং মাগাহিকে সরিয়ে নেওয়ার কথা জানাল ঝাড়খণ্ড সরকার। হেমন্ত সোরেন সরকারের তরফে জারি করা নোটিশে বলা হয়েছে এই দুই জেলায় আঞ্চলিক ভাষা হিবেসে নাগপুরী, উর্দু, কোরথা, কুরমালি ছাড়াও বাংলা (bangla) ভাষার নাম উল্লেখ করা হয়েছে।
ঝাড়খণ্ডে ভাষা নিয়ে আন্দোলন
সরকারের
এই
পদক্ষেপের
পিছনে
ঝাড়খণ্ড
স্টাফ
সিলেকশন
কমিশনে
ভোজপুরী
এবং
মাগাহি
ভাষাকে
আঞ্চলিক
ভাষা
হিসেবে
অনুর্ভুক্তি
নিয়ে
ঝাড়খণ্ডের
বিভিন্ন
জায়গায়
আন্দোলনের
কথা
স্মরণ
করছেন
অনেকেই।
বোকারো
এবং
ধানবাদে
এই
আন্দোলন
ব্যাপকভাবে
ছড়িয়ে
পড়েছিল।
গত
কয়েকদিনে
হাজার
হাজার
মানুষ
বিক্ষোভে
সামিল
হয়েছিলেন।
ঝাড়খণ্ডি
ভাষা
সংগ্রাম
সমিতি,
মূলবাসী
এবং
আদিবাসীদের
একটি
সংগঠন,
যারা
নিজেদেরকে
অরাজনৈতিক
সংগঠন
বলে
দাবি
করে,
গত
৫০
দিনের
বেশি
সময়
ধরে
প্রতিবাদ
চালিয়ে
আসছিল।
ডিসেম্বরে জারি হয়েছিল বিজ্ঞপ্তি
হেমন্ত
সোরেন
সরকার,
গত
ডিসেম্বরে
ম্যাট্রিক
এবং
ইন্টারমিডিয়েট
পরীক্ষার
মাধ্যমে
প্রার্থী
বাছাইয়ের
ক্ষেত্রে
ভোজপুরী,
মাগাহী
এবং
আঙ্গিকাকে
অন্তর্ভুক্ত
করেছিল।
সেই
সময়
বিক্ষোভ
ছড়ায়
রাঁচি
এবং
গিরিডি
জেলাতেও।
ধানবাদ
ও
বোকারোতেও
এই
দুই
ভাষাকে
আঞ্চলিক
ভাষা
হিসেবে
অন্তর্ভুক্ত
করা
হয়েছিল।
তবে
বিতর্ক
১৯৩২
সালকে
আবাসিক
নীতির
জন্য
কাটঅফ
ডেট
করা
নিয়ে।
পরবর্তী
সময়ে
আগেকার
মুখ্যমন্ত্রী
রঘুবর
দাস
২০১৬
সালে
আবাসিক
নীতি
শিথিল
করেছিলেন।
বিক্ষোভকারীদের অভিযোগ
সেইসময়
বিক্ষোভকারীরা
অভিযোগ
করেছিলেন
ধানবাদ
ও
বোকারো
জেলায়
ভোজপুরী
ও
মাগাহীতে
কথা
বলা
লোকের
সংখ্যা
খুবই
কম।
এই
দুই
জেলায়
আদিবাসী
এবং
মূলনিবাসীদের
সংখ্যাই
বেশি।
ফলে
সরকারের
নির্দেশিকায়
তাঁদের
অধিকার
লঙ্ঘনের
অভিযোগ
তুলেছিলেন
বিক্ষোভকারীরা।
স্থানীয়দের
অভিযোগ
১৯৬১
সাল
থেকে
সেখানে
হিন্দিকে
চাপিয়ে
দেওয়া
হয়েছে।
সেক্ষেত্রে
ভোজপুরী
ও
মাগাহী
হল
হিন্দি
ভাষার
অংশ।
ঝাড়খণ্ডে
হিন্দি
ভাষার
স্বীকৃতি
একটি
স্পর্শকাতর
বিষয়
হিসেবেই
দেখা
হয়।
|
যেসব জেলায় আঞ্চলিক ভাষা বাংলা
ঝাড়খণ্ড
সরকারের
তরফ
থেকে
বিভিন্ন
জেলার
আঞ্চলিক
ভাষার
একটি
তালিকা
প্রকাশ
করা
হয়েছে।
সেখানে
২৪
টি
জেলার
মধ্যে
বাংলাকে
আঞ্চলিক
ভাষা
হিসেবে
স্বীকৃতি
দেওয়া
হয়েছে
১১
টি
জেলায়।
তার
মধ্যে
রয়েছে
রাঁচি,
পূর্ব
সিংভূম,
সরাইকেলা,
দুমকা,
জামতাড়া,
সাহেবগঞ্জ,
পাকুড়,
গোড্ডা,
বোকারো,
ধানবাদ,
দেওঘর।
তবে
রাজনৈতিক
বাধ্যবাধকতার
কারণে
সরকারের
দুই
বড়
দল
জেএএম
এবং
কংগ্রেস
আনুষ্ঠানিকভাবে
কোনও
অবস্থান
নেয়নি।
অন্যদিকে
বিজেপি
উর্দুকে
আঞ্চলিক
ভাষা
হিসেবে
স্বীকৃতির
বিরোধিতা
করেছে।