প্রয়াত ভারতের তথ্য প্রযুক্তি জগতের জনক ফকির চাঁদ কোহলি
প্রয়াত ভারতের তথ্য প্রযুক্তি জগতের জনক ফকির চাঁদ সি কোহলি
তথ্য প্রযুক্তি জগতের সর্বেসর্বা ফকির চাঁদ সি কোহলি বৃহস্পতিবার মারা গেলেন। টিসিএসের সেকটর লিডার তথা কর্ণধার ৯৬ বছর বয়সে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।
এক বিবৃতিতে টিসিএস জানিয়েছে, তারা কোহলির মৃত্যুতে শোকস্তব্ধ। বৃহস্পতিবার দুপুরে তিনি মারা যান। বিবৃতিতে এও বলা হয়েছে যে জেআরডি টাটার চাপেই ১৯৬৯ সালে তরুণ কোহলি টাটা গ্রুপে যোগ দেন। টিসিএস তাদের বিবৃতিতে বলে, 'প্রথমে কোহলি ম্যানেজমেন্ট কনসালটেন্সিতে ছিলেন এবং এরপর পরবর্তী দু’দশক তিনি সফটওয়্যার ডেভলপমেন্টের কাজ করেন, এরপর তিনি বিভিন্ন প্রযুক্তিগত ওয়েভের মাধ্যমে সংস্থাকে সাহায্য করে গত আড়াই দশক ধরে। এছাড়াও এই সংস্থায় বিনিয়োগ ও গ্রাহকদের ধরে রাখার ক্ষেত্রেও তাঁর ভূমিকা অনস্বীকার্য।’ ১৯৯৬ সালে তিনি সিইও পদ থেকে সরে যান।
কোহলির মৃত্যুতে সব ক্ষেত্র থেকেই বিশেষ করে আইটি সেক্টর থেকে শোকবার্তা আসতে শুরু করে। ন্যাসকম কোহলিকে 'দূরদর্শী নেতা’ আ্যাখা দিয়ে জানিয়েছেন যে ভারতকে প্রযুক্তিগত দিক থেকে সুযোগ করে দিয়েছেন তিনি এবং টিসিএস গড়ে তুলেছেন। টাটার চেয়ারম্যান এবং টিসিএসের প্রাক্তন চিফ এক্সিকিউটিভ এন চন্দ্রশেখরন বলেন, 'তিনি সত্যিকারের কিংবদন্তী, যিনি তথ্য প্রযুক্তিতে নবজাগরণের ভিত্তি স্থাপন করেছিলেন এবং আদুনিক অর্থনীতি সম্পর্কে মানুষকে বুঝিয়েছিলেন, যা উপভোগ করছি বর্তমানে।’ তিনি এও জানান যে কোহলি স্বভাবসুলভ একজন দূরদর্শী মানুষ। তিনি 'ভারতীয় সফটওয়্যার ইন্ডাস্ট্রির জনক।’
এফসি কোহলির জন্ম হয়েছিল এখনকার পাকিস্তানের পেশওয়ার শহরে। লাহোরের পাঞ্জাব বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিএ এবং বিএসসসি করে তিনি ভারতীয় নৌবাহিনীতে যোগ দিতে চেয়েছিলেন। তবে, কানাডার কুইন্স বিশ্ববিদ্যালয়ে বৃত্তি পেয়ে সেখানে ইলেক্ট্রিকাল ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে বিএসসি (অনার্স) করেন। কানাডিয়ান জেনারেল ইলেকট্রিক সংস্থায় এক বছর চাকরি করার পর আবার ম্যাসাচুসেটস ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজি থেকে ইলেক্ট্রিকাল ইঞ্জিনিয়ারিং-এ এমএস করেন।
আর্জেন্তিনার পর কেরালায় সবচেয়ে বেশি মারাদোনা ভক্ত! মুখ্যমন্ত্রীর বিতর্কিত পোস্টে বাগযুদ্ধ শুরু