মন্দা কাটিয়ে আদৌও কি ঘুরে দাঁড়াচ্ছে দেশীয় অর্থনীতি? সরকারের তত্ত্বে মতপার্থক্য অর্থনীতিবিদদের
মন্দা কাটিয়ে আদৌও কি ঘুরে দাঁড়াচ্ছে দেশীয় অর্থনীতি ? সরকারের তত্ত্বে মতপার্থক্য অর্থনীতিবিদদের
করোনা ধাক্কায় কাবু ভারতীয় অর্থনীতি। মহামারী সঙ্গে একটানা লকডাউনের জেরে ভেঙে পড়েছে দেশীয় অর্থব্যবস্থা। ৩১শে অগাস্ট প্রকাশি কেন্দ্রের পরিসংখ্যানেই দেখা যাচ্ছে চলতি বছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে তথা এপ্রিল-জুন মাসে ভারতীয় অর্থনীতি বেনজিরভাবে ২৩.৯% পর্যন্ত সঙ্কুচিত হয়েছে। সঙ্কট কাটাতে সরকারি ভাবে ভি শেপড রিকভারির কথা বলা হলেও বিশেষজ্ঞরা বলছেন এই ক্ষেত্রে আরও বড়সড় পরিবর্তন দরকার।
সরকারের তত্ত্ব মানতে নারাজ অর্থনীতিবিদেরা
বিশেষজ্ঞরা বলছেন গত চল্লিশ বছরের মধ্যে প্রথমবার এই বিশালাকার ধস দেখা গেল ভারতীয় অর্থনীতিতে। এদিকে গত কয়েক মাসে দেশীয় অর্থনীতিতে যেভাবে পারাপতন দেখা দেছে, ঠিক সেভাবেই দ্রুত আগামীতে উত্থানের কথা বলছে সরকার। এটাকেই ভি শেপড রিকভারিও বলা হয়। যদিও সরকারের এই তত্ত্ব মানতে নারাজ আর্থিক বিশেষজ্ঞরা। বেশিরভাগ বিশেষজ্ঞই বলছেন ভারতে ইতিমধ্যেই ভয়াবহ ছাপ ফেলেছে করোনা। এমতাবস্থায় অনেকটাই পড়েছে মানুষের জীবনমান। যার জেরে কমেছে চাহিদা ও খরচের পরিমাণও। ভাইরাস যতদিন থাকবে ততদিনই এই অবস্থা চলবে।
আদৌও কি ঘুরে দাঁড়াচ্ছে দেশীয় অর্থনীতি ?
এদিকে
করোনা
মাহামারীকে
ইতিমধ্যেই
‘অ্যাক্ট
অফ
গড'
বা
ঈশ্বরের
খেলা
বলে
অভিহিত
করেছেন
প্রধানমন্ত্রী।
এই
তীব্র
সঙ্কটাকালীন
পরিস্থিতির
মধ্যেও
কেন্দ্র
দাবি
করছে
ধীরে
ধীরে
ঘুরে
দাঁড়াচ্ছে
দেশীয়
অর্থনীতি।
কিন্তু
সরকারের
এই
তত্ত্বের
পরেও
কিছুতেই
রোধ
করা
যাচ্ছে
না
একাধিক
অত্যাবশ্যকীয়
পণ্যের
মুদ্রাস্ফীতি,
কমচে
না
বেকরত্ব।
উল্টোদিকে
সরকারের
মতবাদের
সঙ্গে
সরাসরি
বৈপরীত্য
দেখা
যাচ্ছে
একাধিক
ইকোনমিক
ফার্ম
ও
অর্থনীতিবদদের
মতবাদের।
৯ শতাংশের কাছাকাছি জিডিপি সঙ্কোচনের পূর্বাভাস এডিবি-র
এদিকে চলতি অর্থবর্ষেই ভারতের জিডিপির ক্ষেত্রে ৯ শতাংশের কাছাকাছি সামগ্রিক সঙ্কোচনের পূর্বাভাস দিয়েছে এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যঙ্ক বা এডিবি। পাশাপাশি ভারতীয় অর্থনীতির বেহাল অবস্থা নিয়ে যথেষ্টই আতঙ্কিত বিশ্বব্যাপী একাধিক রেটিং এজেন্সি এবং অর্থনীতিবিদেরা। সম্প্রতী এই বিষয়ে যথেষ্ঠ উদ্বেগ প্রকাশ করতে দেখা যায় ভারতের রিজার্ভ ব্যাংক (আরবিআই) প্রাক্তন গভর্নর ও অর্থনীতিবিদ রঘুরাম রাজনকে।
কাজে আসবে না ২০ কোটির প্যাকেজ, মত রঘুরাম রাজনের
রঘুরাম রাজনের মতে এই অবস্থা চলতে থাকলে আরও নীচে নামতে পারে ভারতীয় অর্থনীতি। উল্টোদিকে করোনা মোকাবিলায় সরকার যে ২০ লক্ষ কোটির আর্থিক প্যাকেজ ঘোষণা করেছে, সেটাও যথেষ্ট নয় বলেও মনে করেন অর্থনীতিবিদ রাজন। সরকারের মতে এপ্রিল থেকে জুন প্রায় পুরো সময়টাই কঠোর লকডাউনের মধ্যে দিয়ে গেছে গোটা দেশ। তাই বেহাল অবস্থা দেশীয় অর্থনীতির। কিন্তু এখন আর্থিক কর্মকাণ্ড শুরু হওয়ায় গতি এসেছে কাজে। যার জেরে চলতি অর্থবর্ষের দ্বিতীয় ত্রৈমাসিকে অবস্থা কিছুটা হলেও ফিরবে।
মোদীর সাহস অতুলনীয়! মমতার নাম করে 'মুলো'দের রাগ নিয়ে কারণ ব্যাখ্যা তথাগত রায়ের