আদানিদের মুম্বই বিমানবন্দরের চুক্তি বিক্রি বেআইনি! জিভিকে গ্রুপকে নোটিশ বিনিয়োগকারীদের
২০১৩ সালে ভারতে বিমানবন্দর বেসরকারিকরণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। তার কারণ হিসাবে সরকার বলেছিল, ইতিমধ্যে এয়ারপোর্ট অথরিটি অব ইন্ডিয়া বিভিন্ন বিমান বন্দরের আধুনিকীকরণে যথেষ্ট অর্থ ব্যয় করেছে। কিন্তু বিমানবন্দরের পরিষেবার মান নিয়ে নানা প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে। এর প্রেক্ষিতেই মুম্বই বিমানবন্দরের রক্ষণাবেক্ষণে দায়িত্ব পেয়েছিল জিভিকে গ্রুপ। আর সেই জিভিকে গ্রুপ তাদ্যের বাণিজ্যের সত্বা বিক্রি করতে চাইছে আদানিদের।
তবে আদানি গ্রুপের হাতে এই রক্ষণাবেক্ষণ তুলে দেওয়ার জিভিকে গ্রুপের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে সরব হল বিনিয়োগকারী সংস্থারা। বিনিয়োগকারীদের কনসোর্টিয়াম, আবুধাবি ইনভেস্টমেন্ট অথরিটি, ক্যানাডা পাব্লিক সেক্টর পেনশন ইনভেস্টমেন্ট। এই সংস্থাগুলি জিভিকে গ্রুপের ভাইস চেয়ারম্যানকে নোটিশ পাঠিয়ে দাবি করে, আদানিকে এই সংরক্ষণের দায়িত্ব দেওয়া চুক্তি লঙ্ঘনের শামিল।
কেন্দ্রীয় সরকার সিদ্ধান্ত নেয়, বিমানবন্দরের রক্ষণাবেক্ষণে বেসরকারি সংস্থার সাহায্য নেওয়া হবে। পর্যবেক্ষকরা বলেন, এয়ারপোর্ট অথরিটি অব ইন্ডিয়ার অধীনে থাকা বিমানবন্দরগুলিতে ঠিকমতো রক্ষণাবেক্ষণ হয় না। কর্মীদের একাংশ কাজেকর্মে একেবারেই মনোযোগী নন। অনেক জায়গায় ট্রেড ইউনিয়ন দাপট দেখায়। একশ্রেণির রাজনীতিক বিমানবন্দরে বে আইনি সুযোগ-সুবিধা নেন। এই অবস্থায় বিমানবন্দরের বেসরকারিকরণকে আমাদের স্বাগত জানানো উচিত। বেসরকারিকরণ হলে বিমানবন্দরের পরিকাঠামোর উন্নতি হবে।
ভারতে নব্বইয়ের দশকে দিল্লি, মুম্বই দিয়ে বিমানবন্দর বেসরকারিকরণের কাজ শুরু হয়। পরে বেঙ্গালুরু ও হায়দরাবাদ বেসরকারি হাতে যায়। গত বছর দেশের ছ'টি বিমানবন্দরকে বেসরকারি হাতে তুলে দেওয়া হয়। তার মধ্যে ছিল গুয়াহাটি, লখনউ, আমদাবাদ, জয়পুর, মেঙ্গালুরু এবং তিরুবনন্তপুরম। টেন্ডারে অংশ নিয়ে এই ছ'টি বিমানবন্দরই পায় আদানি গোষ্ঠী। পাশাপাশি জিভিকের সঙ্গে চুক্তি করে আদানি গোষ্ঠী।