এই নতুন পদ্ধতিতেই দুর্ঘটনা কমবে, আশাবাদী রেল কর্তৃপক্ষ
রেলপথে ফটোজেনিক ইনস্পেকশন সিস্টেম বসাতে চলেছে ভারতীয় রেল। প্রথম দফায় দিল্লি-মুম্বই এবং দিল্লি-হাওড়ার রুটে এই নজরদারি ব্যবস্থা চালু করতে চায় রেল কর্তৃপক্ষ।
রেলপথে ফটোগ্রাফিক ইনস্পেকশন সিস্টেম বসাতে চলেছে ভারতীয় রেল। প্রথম দফায় দিল্লি-মুম্বই এবং দিল্লি-হাওড়া রুটে এই নজরদারি ব্যবস্থা চালু করতে চায় রেল কর্তৃপক্ষ। ট্রেনের গতি বাড়াতে প্রথম পর্যায়ের এই কাজে খরচ ধরা হয়েছে ৭৫ কোটি টাকা।
[আরও পড়ুন:স্টেশনে ওয়াইফাই পরিষেবা কীভাবে দেয় গুগল রেলটেল, জানলে অবাক হবেন]
২০১৯-এ তিন মেট্রো শহরের মধ্যে ট্রেনের গতি বাড়াতে রেল বাজেটেই এই দুটি প্রোজেক্টের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল। রেলপথের ১০ টি জায়গায় ফটোগ্রাফিক ইনস্পেকশন সিস্টেম বসানো হবে। এক-একটি জায়গার জন্য খরচ ধরা হয়েছে ৭.৫ কোটি টাকা। ওই দশটি জায়গায় ট্রেনের চাকার ফটোগ্রাফিক ডেটা যোগাবে ফটোগ্রাফিক ইনস্পেকশন সিস্টেম।
দিল্লি-মুম্বই এবং দিল্লি-হাওড়া রুটের দশটি জায়গায় ফটোগ্রাফিক ইনস্পেকশন সিস্টেম বসানোর জন্য দশটি স্টেশন বেছে নেওয়ার কাজটিও একেবারে চূড়ান্ত পর্যায়ে বলে জানা গিয়েছে। পুরো ব্যবস্থাটিই দেশের বাইরে থেকে আমদানি করা হচ্ছে।
ফটোগ্রাফিক ইনস্পেকশন সিস্টেম-এর মাধ্যমে অ্যাক্সেল, হুইল, ব্রেক টেমপারেচারের নজরদারি করা যাবে। তাপমাত্রা খুব বেড়ে গেলে সেই তথ্য়ও ট্রাফিক কন্ট্রোল এবং মনিটরিং সেকশনেও চলে যাবে।
সমগ্র কাজটি সম্পন্ন হবে উচ্চ প্রযুক্তির ইনফ্রারেড ক্যামেরার মাধ্যমে। চাকার মধ্য়ে কোনও রকমের অস্বাভাবিক কিছু দেখলেই সেই ছবি চলে যাবে কাছাকাছি থাকা স্টেশনে। এছাড়াও রেল লাইনে কিছু পড়ে থাকলে, সেই ছবিও পাঠাবে নিকটবর্তী স্টেশনে।
সম্প্রতি একাধিক ট্রেনের বেলাইন হওয়ার ঘটনায় উদ্বিগ্ন রেল কর্তৃপক্ষ। ঘন্টায় ১৬০ কিমি বেগে চলা গাড়িগুলির দিকেই রেল কর্তৃপক্ষ বিশেষ ভাবে নজর দিতে চায়।
তবে এই প্রোজেক্ট চালু করতে, রেলের পরিকাঠামোগত বেশ কিছু পরিবর্তন জরুরি। পরিকাঠামোগত পরিবর্তনের মধ্যে রয়েছে, সিগন্যালিং সিস্টেমের উন্নতি, বেশ কিছু জায়গায় লাইনের পাশে জায়গা ঘিরে দেওয়ার বন্দোবস্তও করতে হবে। নির্দিষ্ট রুটে লেভেল ক্রসিংও পুরোপুরি তুলে দিতে হবে। ট্রেন প্রোটেকশন ওয়ার্নিং সিস্টেমও চালু করতে হবে নির্দিষ্ট রুটে।
পৃথিবী ব্যাপী একাধিক জায়গায় ফটো ডায়াগনস্টিক সিস্টেম চালু রয়েছে। ভারতীয় রেলের দিল্লি-মুম্বই এবং দিল্লি-হাওড়া রুটে এই ব্যবস্থা প্রথম বলেই জানিয়েছেন, রেলের আধিকারিকরা।