শিনা বোরা হত্যাকাণ্ডে জামিনে মুক্ত ইন্দ্রাণী মুখোপাধ্যায়, সাড়ে ৬ বছর জেলে ছিলেন তিনি
শিনা বোরা হত্যাকাণ্ডে জামিনে মুক্ত ইন্দ্রাণী মুখোপাধ্যায়, সাড়ে ৬ বছর জেলে ছিলেন তিনি
শিনা বোরা হত্যাকাণ্ডে অবশেষে জামিন পেলেন ইন্দ্রানী মুখোপাধ্যায়। সাড়ে ৬ বছর জেলে ছিলেন তিনি। জেলেও একাধিকবার সংঘর্ষে জড়িয়েছেন ইন্দ্রানী মুখোপাধ্যায়। সিবিআইয়ের বিশেষ আদালত বারবারই তাঁর জামিন খারিজ করেছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত জামিন দিল শীর্ষ আদালত।
জামিনে মুক্ত ইন্দ্রাণী মুখোপাধ্যায়
অবশেষে জামিনে মুক্তি পেলেন শিনা বোরা হত্যাকাণ্ডে দোষী সাব্যস্ত ইন্দ্রাণী মুখোপাধ্যায়। নিজের মেয়ে শিনা বোরাকে পরিকল্পনা করে হত্যার ঘটনায় অভিযুক্ত দিন। আদালতের নির্দেশে জেলে ছিলেন তিনি। একাধিকবার জামিনের আবেদন করেও ছাড়া পাননি। অবশেষে শীর্ষ আদালত তাঁর জামিন মঞ্জুর করেছে। তবে শর্ত সাপেক্ষে মুক্তি দেওয়া হয় তাঁকে। ২০১৫ সালের অগাস্ট মাসে তাঁকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। তাঁর বিরুদ্ধে শিনা বরাকে অপহরণ, হত্যা, অপরহণ এবং প্রমাণ লোপাটের জন্য দেহ পুড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে। যদিও ইন্দ্রাণী মুখোপাধ্যায় দাবি করেছেন শিনা বরা আমেরিকায় রয়েছেন।
শর্ত সাপেক্ষে জামিন
২০১৫ সােল গ্রেফতার করা হয়েছিল শিনা বরাকে। এই ঘটনায় তার স্বামী পিটার মুখার্জিও জড়িত রয়েছেন। সুপ্রিম কোর্ট শিনা বরার জামিন মঞ্জুর করলেও বেশ কিছু শর্ত দিয়েছে। বিচারপতি এল নাগেশ্বর রাও, বিচারপতি বিআর গাভাই, বিচারপতি এএস বোপান্নার বেঞ্চ জানিয়েছে, ইন্দ্রাণী মুখোপাধ্যায় সাড়ে ৬ বছর জেল হেফাজতে ছিল। ট্রায়াল কোর্টের সন্তুষ্টি সাপেক্ষেই জামিন দেওয়া ইন্দ্রাণী মুখার্জিকে। পিটার মুখোপাধ্যায়ের উপরে যে যে শর্ত আরোপ করা হয়েছিল ইন্দ্রাণী মুখোপাধ্যায়ের উপরেও সেই শর্ত আরোপ করা হবে।
নিজের মেয়েকে হত্যার ষড়যন্ত্র
২০১২ সালে ২৪ এপ্রিল থেকে নিখোঁজ ছিলেন শিনা বরা। ইন্দ্রাণী মুখোপাধ্যায় দাবি করেন তিনি আমেরিকায় রয়েছেন। ২০১৫ সালে ইন্দ্রাণী মুখোপাধ্যায়ের গাড়ির চালককে গ্রেফতার করে পুলিশ। তিনি প্রথম পুলিশকে জানিয়েছিলেন যে শিনা বরাকে খুন করা হয়েছে। শিনা বরাকে খুনের ঘটনায় ইন্দ্রাণী মুখোপাধ্যায় এবং তাঁর দ্বিতীয় স্বামী সঞ্জীব খান্নার হাত ছিল বলে দাবি করেছিলেন তাঁরই গাড়ির চালক। তাঁদের গতিবিধির উপরে কয়েক মাস নজর রাখার পরেই পুিলশ তাঁদের গ্রেফতার করে।
শিনা বরা খুনে চাঞ্চল্যকর তথ্য
শিনা বরা ছিলেন ইন্দ্রীণী মুখোপাধ্যায়ের প্রথম স্বামী সিদ্ধার্থ দাসের মেয়ে ছিলেন শিনা বরা। ইন্দ্রাণী মুখোপাধ্যায় পিটার মুখার্জি এবং তাঁর ছেলের কাছে শিনাকে বোন বলে পরিচয় দিয়েছিলেন। তার পরেই ইন্দ্রাণী মুখোপাধ্যায়ের তৃতীয় স্বামী পিটার মুখোপাধ্যায়ের ছেলে রাহুলের সঙ্গে শিনার প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল। সেটা মেনে নিতে পারেননি ইন্দ্রাণী। তার পরেই তাঁকে পরিকল্পনা করে খুন করা হয়েছিল বলে অভিযোগ।