শেষ হল ভারত-চিন বৈঠক, টানটান উত্তেজনায় লেহ ফিরছে প্রতিনিধিরা, নেওয়া হল কোন কোন সিদ্ধান্ত?
বিগত একমাস ধরে চলছে লাদাখ সীমান্তে ভারত ও চিনের মধ্যকার উত্তপ্ত পরিস্থিতি। এই আবহে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে এদিন দুই দেশের মধ্যে অনুষ্ঠিত হল লেফটেন্যান্ট জেনারেল স্তরের বৈঠক। ভারতীয় সময়ে সকাল ১১.৩০টা নাগাদ শুরু হওয়ার কথা ছিল বৈঠকের। দীর্ঘ আলোচনার পর শেষ পর্যন্ত শেষ হল এই বৈঠক।

জেনারেল হরিন্দর সিংয়ের নেতৃত্বে ভারতীয় দল ফিরে আসছে
বৈঠক শেষে লেফটেন্যান্ট জেনারেল হরিন্দর সিংয়ের নেতৃত্বে ভারতীয় প্রতিনিধি দল ফিরে আসছে লেহতে। সেখানে এসে তাঁরা চিনের সঙ্গে হওয়া বৈঠকের বিষয়ে অবগত করবে সেনা প্রধান জেনারেল মুকুন্দ নারভানেকে। এরপর কী সিদ্ধান্ত নেওয়া হল এবং কী আলোচনা হল তা নিয়ে সাংবাদিক বৈঠক করা হবে সেনার তরফে।

দুপুর ২ টোর পর দুই দেশ আলোচনায় বসে
এদিন লাদাখ সীমান্তে পরপর ২ বার ভিন্ন ভিন্ন সময় দিয়েও শেষে দুপুর ২ টোর পর দুই দেশ আলোচনায় বসে। সকাল ৮ টা থেকে যে বৈঠক হওয়ার কথা ছিল, তা পরে ১১ টা নাগাদ করার কথা স্থির হয়। পরবর্তীকালে তা দুপুর ২টোয় গড়ায়। এই গোটা পরিস্থিতিই 'মাইন্ড গেম' বলে বিবেচিত হচ্ছে।

"প্রক্সি ওয়ার' গেম খেলছে চিন
ডোকলাম সীমান্তে কেবল আস্ফালন করে ভারতের সামরিক শক্তি বুঝে নিতে চেয়েছিল চিন। সেই অনুযায়ীই চিনের একই নীতি লাদাখ সীমান্তেও কার্যকরী হচ্ছে বলে মনে করা হচ্ছে। চিন বিভিন্ন পন্থায় নিজের আস্ফালনকে প্রাসঙ্হগিক করে "প্রক্সি ওয়ার' গেম খেলছে বলে দাবি বিশেষজ্ঞদের।

কী চাইছে চিন?
এই অবস্থায় মনে করা হচ্ছে চিন চাইছে বারবার লাদাখ সীমান্তে তারা কতটা অস্ত্র এনেছে, তাদের বায়ুসেনার জোর কত, তা প্রকাশ করতে। এর দ্বারা বিশ্বের কাছে নিজের সামরিক শক্তিকে জাহির করতে যেমন চেয়েছে চিন, তেমনই ভারতে মেপে নিতেও সুবিধে হয়েছে তাদের। আর এভাবেই শুধু হাওয়া গরম রেখে কূটনৈতিক চাপ ভারতের ওপর রাখতে চাইছে চিন।

দ্বিপাক্ষিক আলোচনার মাধ্যমেই পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে
এর আগে রাজনাথ সিং জানিয়েছিলেন, একমাত্র দ্বিপাক্ষিক আলোচনার মাধ্যমেই পরিস্থিতি স্বাভাবিক করা যেতে পারে ভারত চিন সীমান্তে। ভারত চিনরাকালিনই শান্তির পক্ষে বলে একটি বেসরকারি টিভি চ্যানেলকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে জানানো হয়েছে।