লোকসভার আগেই বড় সিদ্ধান্ত মোদী সরকারের! বিশ্বের সর্বোচ্চ রেললাইনের স্বপ্ন দেখা শুরু
নিউ দিল্লির সঙ্গে লাদাখকে সংযুক্ত করতে কাজ করে চলেছে ভারতীয় রেল। কৌশলগত দিক থেকে গুরুত্বপূর্ণ বিলাসপুর-মানালি-লে ব্রডগেজ রেললাইন তৈরির কাজ শুরু হয়েছে। প্রথম পর্যায়ের অবস্থানগত জরিপের কাজ শেষ হয়েছে।
নিউ দিল্লির সঙ্গে লাদাখকে সংযুক্ত করতে কাজ করে চলেছে ভারতীয় রেল। কৌশলগত দিক থেকে গুরুত্বপূর্ণ বিলাসপুর-মানালি-লে ব্রডগেজ রেললাইন তৈরির কাজ শুরু হয়েছে। প্রথম পর্যায়ের অবস্থানগত জরিপের কাজ শেষ হয়েছে। চূড়ান্ত পর্যায়ের অবস্থানগত জরিপের কাজ আগামী ৩০ মাসের মধ্যে শেষ হয়ে যাবে। এরপরেই চূড়ান্ত হবে প্রোজেক্ট রিপোর্ট।
নিউ দিল্লির সঙ্গে লাদাখকে সংযুক্ত করার প্রক্রিয়াকে জাতীয় প্রকল্প হিসেবে গণ্য করার প্রস্তাব দিয়েছে ভারতীয় রেল। ভারতীয় রেল এখনও পর্যন্ত যেসব প্রকল্পের কাজ করেছে, তার মধ্যে এই প্রকল্পটি সব থেকে কঠিন বলেও উল্লেখ করা হয়েছে। রেলের তরফে প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে, হিমাচল প্রদেশের উপসী থেকে লে-র ফে পর্যন্ত ৫১ কিমি রেললাইন পাতার কাজ যেন এখনই শুরু করা হয়।
বিলাসপুর-মানালি-লে রেল প্রোজেক্টে খরচ ৮৩,৩৬০ কোটি টাকা
৪৬৫ কিমি রেললাইন পাততে প্রাথমিকভাবে খরচ ধরা হয়েছে ৮৩,৩৬০ কোটি টাকা। প্রকল্পের কাজ সম্পূর্ণ হলে তা হবে বিশ্বের সব থেকে উঁচুতে থাকা রেললাইন। সব থেকে উঁচুতে যেখানে রেললাইন পাতা হবে, তার উচ্চতা সমুদ্র পৃষ্ঠ থেকে ৫,৩৬০ মিটার। যা শুধুমাত্র চিনের কুইনঘাই-তিব্বত রেললাইনের সঙ্গে তুলনীয়। যদিও তার উচ্চতা সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ২০০০ মিটার ওপরে।
থাকবে ৩০ টি স্টেশন
যাত্রাপথে থাকবে ৩০ টি স্টেশন। যা পৌঁছে যাবে লাদাখের ভারত-চিন সীমান্তের কাছে। হিমাচল প্রদেশ এবং জম্মু ও কাশ্মীরের যে সব অংশ এই বিলাসপুর এবং লে-র রেল প্রোজেক্টের মধ্যে পড়বে তা হল, সুন্দরনগর, মান্ডি, মানালি, কেলং, কোকসার, দারচা, উপসী এবং কারু।
৫২ শতাংশই যাবে টানেলের মধ্যে দিয়ে
৪৬৫ কিমি লাইনের প্রায় ৫২ শতাংশই যাবে টানেলের মধ্যে দিয়ে। সবথেকে বড় টানেলটির দৈর্ঘ্য হবে প্রায় ২৭ কিমি। সব মিলিয়ে টানেলের দৈর্ঘ্য হবে প্রায় ২৪৪ কিমি। প্রথম পর্যায়ের সার্ভেতে দেখা গিয়েছে, সেখানে টানেলের সংখ্যা হবে ৭৪ টি। বড় ব্রিজ তৈরি করতে হবে ১২৪ টি। এছাড়াও ৩৯৬ টি ছোট ব্রিজ তৈরি করতে হবে।
ট্রেনের বেগ ঘন্টায় ৭৫ কিমি
রেলপথের কাজ সম্পূর্ণ হলে, ঘন্টায় ৭৫ কিমি বেগে ট্রেন চলতে পারবে বলে জানা গিয়েছে। ফলে দিল্লি থেকে লে-র যাত্রা পথ ৪০ ঘন্টা থেকে কমে ২০ ঘন্টায় নেমে যাবে।
উপকার হবে সেনাবাহিনীর
এই প্রোজেক্টের কাজ সম্পূর্ণ হলে, তা ভারতীয় সেনাবাহিনীর খুব উপকার হবে। এছাড়াও এলাকা জুড়ে পর্যটন শিল্পের বিকাশে সাহায্য করবে। যা লাদাখ অঞ্চলের উন্নয়নেও যথেষ্ট সাহায্য করবে। যদি রেলের দাবি মতো, প্রকল্পটিকে জাতীয় প্রকল্প হিসেবে কেন্দ্র ঘোষণা করে, তাহলে প্রকল্পের প্রায় পুরো খরচই কেন্দ্র বহন করবে। লে-র বিজেপি সাংসদ থুপসান চিওয়াং রেলমন্ত্রীর কাছে চিঠি লিখে, লাদাখ রেল প্রকল্পকে জাতীয় প্রকল্পের মর্যাদা দেওয়ার দাবি করেছেন।
ভারতীয় রেলের সব থেকে কঠিন কাজ
বিলাসপুর-লে
লাইন
শুরু
হবে
আনন্দপুর
সাহিব
রুটের
ভানু
পল্লি
থেকে।
এই
এলাকায়
ধসপ্রবণ।
এই
উচ্চতায়
অক্সিজেনের
পরিমাণও
কমে
যায়।
তাপমাত্রাও
চলে
যায়
শূন্যের
কাছাকাছি।
একটি
সর্বভারতীয়
সংবাদ
মাধ্যমকে
দেওয়া
উত্তর
রেলের
চিফ
অ্যাডমিনিসট্রেটিভ
অফিসার(
কনস্ট্রাকশন)-এর
বক্তব্য
অনুযায়ী,
কাশ্মীরে
আগে
যে
রেললাইন
পাতার
কাজ
হয়েছে,
তার
থেকেও
কঠিন
এই
বিলাসপুর-মানালি-লে
রেললাইনের
কাজ।
চূড়ান্ত পর্যায়ের সার্ভে
চূড়ান্ত
পর্যায়ের
সার্ভের
কাজ
করতে
খরচ
পড়বে
৪৫৭.৭২
কোটি
টাকা।
তিনটি
পর্যায়ে
কাজটি
সম্পন্ন
করা
হবে।
উপসী
থেকে
লে-
৫১
কিমি
রেলপথের
কাজ
তুলনামূলকভাবে
সহজ।
যা
সম্পূর্ণ
করতে
দুবছর
সময়
লাগবে।
খরচ
পড়বে
৫
হাজার
কোটি
টাকা।