করোনা আবহে থমকেই ভারতীয় অর্থনীতি, চেষ্টা করেও দিশা দেখাতে ব্যর্থ আরবিআই
এপ্রিল, ২০২০ থেকে শুরু হওয়া আর্থিক বছরের প্রথমার্ধে ভারতের আর্থিক উন্নতির গতি কমবে। ম্যাক্রোইকোনমিক এনভায়রনমেন্টে দ্রুত পরিবর্তন ও আর্থিক মন্দা মনিটারি পলিসি কমিটির ঘনঘন বৈঠকের কারণেও কোনও পরিবর্তন হচ্ছে না অর্থনৈতিক অগ্রগতির ক্ষেত্রে। এদিন ভার্চুয়াল সাংবাদিক সম্মেলনা এমনটাই জানালেন আরবিআই গভর্নর শক্তিকান্ত দাস।
জিডিপির অবস্থা খুব একটা ভালো নয়
শক্তিকান্ত দাসের মতে, দেশের গড় অর্থনৈতিক বৃদ্ধি অর্থাৎ জিডিপির অবস্থাও খুব একটা ভালো নয়। আরবিআইয়ের গভর্নর জানিয়েছেন যে মূল জিডিপি প্রথম প্রান্তিকে খুবই প্রান্তিক অবস্থায় থাকবে। তিনি বলেন যে ২০২১-২২ সালেও জিডিপির অবস্থায় খুব বেশি পরিবর্তন আসবে না।
এনএইচবি, নাবার্ডকে ১০ হাজার কোটির নগদ প্রবাহের সুযোগ
এদিকে এদিন গভর্নর শক্তিকান্ত দাস জানান, ১০ হাজার কোটি টাকা অতিরিক্ত নগদ প্রবাহের সুযোগ দেওয়া হবে ন্যাশনাল হাউজিং ব্যাঙ্ক বা এনএইচবি, নাবার্ডকে। করোনার জেরে বিশ্বজুড়ে আর্থিক কর্মকাণ্ডে এখনও মন্দা চলছে, ফলে আগে যে উন্নতির লক্ষণ দেখা গিয়েছিল, তা ঝিমিয়ে পড়েছে।
বিশ্বে অর্থনৈতিক গতি হ্রাস পেয়েছে
পাশাপাশি ভারতে যেভাবে করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধি পাচ্ছে তা নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করতে দেখা যায় আরবিআই প্রধানকে। শক্তিকান্ত দাস বলেন, করোনার ফলে সারা বিশ্বেই অর্থনৈতিক গতি হ্রাস পেয়েছে। পাশাপাশি এই সময়ে, কোভিড -১৯ কে রুখতে যে লকডাউন করা হচ্ছে তার ফলেও ভারতে অর্থনৈতিক বৃদ্ধির সম্ভাবনা ক্রমশই কমে যাচ্ছে।
রেপোরেট ও রিভার্স রেপোরেট অপরিবর্তিত
করোনা ও লকডাউনের জেরে যে আর্থিক ক্ষতি হয়েছে তার প্রভাব কমানোর জন্য একাধিক পদক্ষেপ করেছে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক। তবে রেপোরেট ও রিভার্স রেপো রেট অপরিবর্তিত রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে আরবিআই। গৃহঋণ, গাড়িঋণ, ব্যক্তিগত ঋণ ও অন্যান্য ঋণের ক্ষেত্রে গ্রাহকদের ওপর ইএমআইয়ের বোঝা কমানোর জন্য এই সিদ্ধান্ত।
তিনদিনের মনেটারি পলিসির বৈঠক
তিন দিনের বৈঠকের পর রেপো রেট অপরিবর্তিত রাখার ঘোষণা করা হল। এই বিষয়ে ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাঙ্কের গভর্নর শক্তিকান্ত দাস জানিয়েছেন যে, অনেক আলাপ আলোচনার পর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে যে এবার রেপো রেটে কোনও পরিবর্তন করা হবে না। এবারের বৈঠকে আরবিআই-এর তরফে রেপোরেট ৪ শতাংশই রাখা হচ্ছে। এছাড়া রিভার্স রেপোরেটও অপরিবর্তিত ৩.৩ শতাংশ রাখা হয়েছে।
মুদ্রাস্ফীতি নিয়ে আরবিআইকে কেন্দ্রের নির্দেশ
এদিকে কেন্দ্রীয় সরকার আরবিআইকে নির্দেশ দিয়েছে, মুদ্রাস্ফীতির হার ৪ শতাংশে বেঁধে রাখতে, ২ শতাংশ বাড়তে কমতে পারে। মনিটারি পলিসি তৈরির সময় মূলত কনজিউমার প্রাইস-বেসড ইনফ্লেশনে গুরুত্ব দিয়েছে আরবিআই। কিন্তু খাদ্যদ্রব্য বিশেষত মাংস, মাছ, শস্য ও ডালের ক্ষেত্রে জুনে খুচরো মুদ্রাস্ফীতি বেড়েছে ৬.০৯ শতাংশ। জুলাইয়ের মুদ্রাস্ফীতির হার ঘোষণা করা হবে এ মাসের ১২ তারিখ।
কাশ্মীর ইস্যুতে পাক-তুর্কি আঁতাত, ভারতবিরোধী মনোভাব ছড়িয়ে দিতে এবার জাল বিস্তার তুরস্কের!