চিনের মাথায় একের পর এক বজ্রপাত! লাদাখের চুশুলে ফের কোন সামরিক পদক্ষেপ ভারতের?
প্যাংগং লেক সংলগ্ন চুশুল সাবসেক্টরে অস্ত্র ও সেনার শক্তি বাড়াল ভারত। তিনদিনে তিনবার ভারতে অনুপ্রবেশের চেষ্টা চালিয়েছে চিন। পরিস্থিতি শান্ত করতে সোমবার ও মঙ্গলবার বৈঠকে বসেন দুই দেশের সেনা আধিকারিকরা। তবে এই বৈঠক চলাকালীনও চিনা সেনা ফের ভারতীয় ভূখণ্ডে ঢোকার চেষ্টা করে বলে জানা যায়। যার জেরে ফের উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। যার জেরে বৈঠক ফলপ্রসু হয়নি, তাই বুধবারও ব্রিগেডিয়ার স্তরে বৈঠকে বসে দুই দেশ। তবে এরই মাঝে এবার ভারতও সেনার শক্তি বৃদ্ধিতে মন দিল।
পূর্ব লাদাখের প্যাংগং এলাকায় স্থিতাবস্তা লঙ্ঘন
দুই দিন আগেই পূর্ব লাদাখের প্যাংগং এলাকায় স্থিতাবস্তা লঙ্ঘন করে চিনা বাহিনী। প্যাংগং লেকের দক্ষিণ দিক থেকে অনুপ্রবেশের চেষ্টা করে তারা৷ তবে প্যাংগং সো লেকের দক্ষিণ তীরে চিন সেনার অনুপ্রবেশের চেষ্টা ব্যর্থ করে ভারতীয় সেনা। এরপরই প্যাংগং লেকের গুরুত্বপূর্ণ একটি স্থানের দখল নেয় ভারতীয় সেনা। যার জেরে চিনা সেনার গতিবিধির উপর আরও কড়া নজরদারি চালাতে সক্ষম হবে ভারত। আর সেই জমি ভারতীয় অধীনস্ত রাখতেই আরও সমর সরঞ্জাম বাড়ানো হল সেখানে।
স্পানগার গ্যাপ এলাকাও ভারতের অধীনে
শুধু প্যাংগং লেকের দক্ষিণ প্রান্তই নয়, স্পানগার গ্যাপ এলাকাও দখল নিয়েছে ভারতীয় সেনা। জানা গিয়েছে ভারত দক্ষিণ প্যাংগং লেক সংলগ্ন এলাকার চুশুল সাবসেক্টরে গুরুত্বপূর্ণ চূড়ায় নিজেদের পা জমিয়েছে। পাশাপাশি বেশ কয়েকটি স্ট্র্যাটেজিকাল রিজ পয়েন্টেও ভারতীয় সেনা পৌঁছে গিয়েছে। আর এর জেরে চিনা সেনা ভারতীয় সেনা ফায়ারিং রেঞ্জের মধ্যে চলে এসেছে।
নতুন করে সীমান্তে উত্তেজনা ছড়ায় চিন।
সামরিক ও কূটনৈতিক স্তরে আলোচনার মাঝেই নতুন করে সীমান্তে উত্তেজনা ছড়ায় চিন। তবে চিনকে যোগ্য জবাব দেয় ভারত। এরপরে নিজেদের দোষ ঢাকতে চিন উল্টে ভারতীয় সেনাদের বিরুদ্ধেই সীমান্ত পার হয়ে উত্তেজনা ছড়াবার অভিযোগ তুলতে থাকে। তবে চিনা মিথ্যাচারের জবাব দিতে এবার চুশুলে আরও সেনা সম্ভার বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে ভারত।
চরম উত্তেজনার পরিস্থিতি বিরাজ করছে গত ৪ মাস ধরে
করোনা আবহে লাদাখ সীমান্তে চরম উত্তেজনার পরিস্থিতি বিরাজ করছে গত ১০০ দিনেরও বেশি সময় ধরে। গত প্রায় চার মাস ধরে লাদাখ সীমান্ত বরাবর ভরাত-চিন সেনা একে অপরের বিরুদ্ধে বন্দুক তাক করে দাঁড়িয়ে রয়েছে। এর মাঝে যদিও বা শান্তি প্রক্রিয়ার লক্ষ্যে বেশ কেয়কবার বৈঠক হয়েছে দুই দেশের মাঝে, তবুও পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়নি দুই দেশের। বরং নয়া সংঘর্ষের খবরে ফের একবার যুদ্ধের পরিস্থিতি ঘনীভূত হয়।
শান্তি প্রতিষ্টার একাধিক চেষ্টা ব্যর্থ
তবে শান্তি প্রতিষ্টার একাধিক চেষ্টার পরেও পূর্ব লাদাখের গালওয়ান, গোগরা, হট স্প্রিং, দেপসাং সমতলভূমি, প্যাংগং লেক ও পাহাড়ির খাঁজ বা ফিঙ্গার পয়েন্টগুলোতে চিনের বাহিনীকে ঘাঁটি গেড়ে থাকতে দেখা যায়। লাদাখ সীমান্তে দুই দেশের যুদ্ধবিমানকেই চক্কর কাটতে দেখা গিয়েছে। এরই মধ্যে ভারত বেশ কয়েকটি স্ট্র্যাটেজিক পয়েন্টের উপর নিজেদের কর্তৃত্ব বজাতে সক্ষম হওয়ায় চিনা সেনার কালঘাম ছুটছে এবার।
চিন এখনও অবস্থান করছে প্যাংগংয়ে
চিন এখনও অবস্থান করছে প্যাংগংয়ে। লাদাখের প্যাংগং হ্রদের কাছে গ্রিন টপের উপর থেকে চিনা সেনা দখলদারি সরাতে না চাওয়াতে ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক আরও তিক্ত হচ্ছে চিনের। প্যাংগং সোতে চিনা সেনারা ফিঙ্গার ৫ এ ফিরে এসেছিল, তবে তারা এখনও ফিঙ্গার ৪-এর রিজলাইন দখল করে রয়েছে। চিনা সেনারা ফিঙ্গার ৪ থেকে ফিঙ্গার ৮-এর মধ্যে ৮-কিলোমিটার দীর্ঘ এলাকাজুড়ে তাদের তৈরি কাঠামোগুলিকেই এলএসি বলে দাবি করে যাচ্ছে এখনও।