লাদাখ আরও কাছাকাছি ভারত-চিন সেনা! আলোচনা সত্ত্বেও সীমান্তে বাড়ছে উত্তেজনা
চিন মুখে এক বললেও কাজের বেলায় উলটো। লাদাখে ভারত-চিন সিমান্তে চিনের ঘাঁটি পিছিয়ে নেওয়ার কোনরকম ইচ্ছে নেই বরং বাড়িয়ে চলেছে আগের তুলনায়। তাই চিনের কথায় বিশ্বাস করার পাত্র নয় ভারতের নীতি-নির্ধারকরাও। পূর্ব লাদাখে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর উত্তেজনার পরিস্থিতি যাতে আর না বাড়ে, তা নিশ্চিত করতে ভারত-চিন সেনা পর্যায়ের বৈঠক হলেও তার ফল হয় শূন্য, কারণ চিন করমেই সেনা বাড়াচ্ছে প্যাংগংয়ে।
চিনের অনুপ্রবেশের চেষ্টা ব্যর্থ করে ভারতীয় সেনা
কয়েকদিন আগেই পূর্ব লাদাখের প্যাংগং এলাকায় স্থিতাবস্তা লঙ্ঘন করে চিনা বাহিনী। প্যাংগং লেকের দক্ষিণ দিক থেকে অনুপ্রবেশের চেষ্টা করে তারা৷ তবে প্যাংগং সো লেকের দক্ষিণ তীরে চিন সেনার অনুপ্রবেশের চেষ্টা ব্যর্থ করে ভারতীয় সেনা। এরপরই প্যাংগং লেকের গুরুত্বপূর্ণ একটি স্থানের দখল নেয় ভারতীয় সেনা। যার জেরে চিনা সেনার গতিবিধির উপর আরও কড়া নজরদারি চালাতে সক্ষম হবে ভারত।
কূটনৈতিক স্তরে আলোচনার মাঝেই নতুন করে সীমান্তে উত্তেজনা
সামরিক ও কূটনৈতিক স্তরে আলোচনার মাঝেই নতুন করে সীমান্তে উত্তেজনা ছড়ায় চিন। তবে চিনকে যোগ্য জবাব দেয় ভারত। এরপরে নিজেদের দোষ ঢাকতে চিন উল্টে ভারতীয় সেনাদের বিরুদ্ধেই সীমান্ত পার হয়ে উত্তেজনা ছড়াবার অভিযোগ তুলতে থাকে। তবে মঙ্গলবার পরিস্থিতি বদলে যায়।
শান্তি প্রতিষ্টার একাধিক চেষ্টা
শান্তি প্রতিষ্টার একাধিক চেষ্টার পরেও পূর্ব লাদাখের গালওয়ান, গোগরা, হট স্প্রিং, দেপসাং সমতলভূমি, প্যাংগং লেক ও পাহাড়ির খাঁজ বা ফিঙ্গার পয়েন্টগুলোতে চিনের বাহিনীকে ঘাঁটি গেড়ে থাকতে দেখা যায়। লাদাখ সীমান্তে দুই দেশের যুদ্ধবিমানকেই চক্কর কাটতে দেখা গেছে। এরই মধ্যে ভারত বেশ কয়েকটি স্ট্র্যাটেজিক পয়েন্টের উপর নিজেদের কর্তৃত্ব বজাতে সক্ষম হওয়ায় চিনা সেনার গতিবিধি এখন ভারতীয় স্ক্যানারের নিচে।
প্রস্তুতি সারছে পিএলএ
চিনের তরফে অন্তত ২০ থেকে ৩০টি ট্যাঙ্ক মোতায়েন করা হয়েছে প্যাংগং এলাকায়। এছাড়া জানা গিয়েছে চিন প্যাংগং এলাকায় নিজেদের ৫ থেকে ৬ হাজার সৈন্য মোতায়েন করে পরিস্থিতি উত্তপ্ত করে তুলেছে। ভারতীয় সেনার অধীনে থাকা গুরুত্বপূর্ণ চূড়াগুলি দখলের উদ্দেশ্যেই সেখানে সৈন্য বহর বাড়াচ্ছে পিএলএ। তাছাড়া ট্যাঙ্ক স্কোয়াড্রনও মোতায়েন করেছে চিন। পুরদস্তুর যুদ্ধের জন্যে তৈরি হচ্ছে তারা।
মাও থেকে জিনপিং, এলএসি নিয়ে বারবারই বদলেছে চিনের দাবি! বেড়েছে আগ্রাসী মনোভাব