সিন্ধু চুক্তি নিয়ে পাকিস্তানের আইনি লড়াইতে অংশ নেব না! ইসলামাবাদের চাপ বাড়িয়ে বার্তা ভারতের
সিন্ধু জল চুক্তি নিয়ে ভারত এবং পাকিস্তানের মধ্যে চড়ছে উত্তেজনা। যদিও ভারত এখনও আলোচনার পক্ষে হলেও পাকিস্তান তাতে রাজি নয়। আইনি পথেই হাঁটতে চায় সে দেশ। আর তা নিয়েই সংঘাত চরম হতে পারে বলে শঙ্কা
বিশ্বব্যাঙ্কের সবুজ সঙ্কেত থাকা সিন্ধু জল চুক্তি সংক্রান্ত পাকিস্তানের আইনি প্রক্রিয়ায় অংশ নিচ্ছে না ভারত! দুটি জল বিদ্যুৎ কেন্দ্র নিয়ে বিতর্ক রয়েছে। এমনকি তা নিয়ে আইনি প্রক্রিয়াও শুরু হয়েছে। আর সেই প্রক্রিয়াতে ভারত অংশ নেবে না বলে স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে। ওই সিন্ধু চক্তি সংক্রান্ত ইস্যু নিয়ে দ্য হেগের Permanent Court of Arbitration-এর দ্বারস্থ হয়েছে পাকিস্তান।
গত সপ্তাহেই শুরু হয়েছে আইনি প্রক্রিয়া। গত বছরের অক্টোবরে ওই আদালতের একজন চেয়ারম্যান নিযুক্ত করার আবেদন মঞ্জুর করে ইসলামাবাদ। আর এরপরেই আইনি প্রক্রিয়া শুরু হয়। কিন্তু ভারত স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে তাঁরা দ্বিপাক্ষিক ভাবে আলোচনা করেই এই সমস্যা মেটাতে চান। কোনও ভাবেই বিশ্ব ব্যাঙ্কের হস্তক্ষেপ এতে চায় না ভারত।
আর সেই কারণেই গত ২৫ জানুয়ারি ভারত পাকিস্তানকে একটি নোটিশ দিয়েছে। আর তাতে আবেদন করা হয়েছে দ্বিপাক্ষিক আলোচনায় বসার জন্যে। বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচী জানিয়েছেন, পাকিস্তানের সরকার যাতে ভারত সরকারের সঙ্গে কথা বলে আর সেই সুযোগই দেওয়া হয়েছে নোটিশের মাধ্যমে।
নোটিশের নিয়ম অনুযায়ী ৯০ দিনের মধ্যে একটি দিন ধার্য করার কথাও বলা হয়েছে পাকিস্তানকে। যদিও এখনও পর্যন্ত পাকিস্তানের তরফে এই বিষয়ে আলোচনা চেয়ে কোনও প্রত্যুত্তর আসেনি বলেই জানিয়েছে বিদেশমন্ত্রক। অরিন্দম বাগচী এই প্রসঙ্গে আরও জানিয়েছেন, ভারতের ইন্দাস কমিশনার পিকে সাকশেনা পাকিস্তানের কমিশনারকে এই নোটিশটি দিয়েছেন।
শুধু তাই নয়, এই বিষয়ে কোনও আইনি লড়াইয়ের পথে ভারত হাঁটবে না বলেও স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র। অরিন্দম বাগচীর দাবি, আইনি প্রক্রিয়া যথেষ্ট জটিল। বছর-পাঁচ ছয় আগে বিশ্বব্যাঙ্ক নিজেও সমস্যার কথা স্বীকার করেছিল। তবে শেষে বিশ্বব্যাঙ্ক এই বিষয়ে নিজেদের অবস্থান বদলেছে কিনা তা স্পষ্ট নয়।
তবে ভারত নিজের অবস্থানেই অনড় রয়েছে বলে জানিয়েছেন বিদেশমন্ত্রক মুখপাত্র। কিষাণ গঙ্গা জল বিদ্যুৎ প্রকল্প এবং র্যাটলি জল বিদ্যুৎ কেন্দ্রকে নিয়ে সমস্যা রয়েছে। প্রযুক্তি এবং ডিজাইনের ক্ষেত্রে আপত্তি পাকিস্তানের। আর এই নিয়ে আইনি লড়াই লড়তে চায় ইসলামাবাদ। আর তাতেই আপত্তি ভারতের।