সরকারী কর্মচারীদের জন্য ভারতের নিজস্ব 'হোয়াটসঅ্যাপ' এবার আসছে ! বড়সড় পদক্ষেপের দিকে কেন্দ্র
চিঠি থেকে টেলিগ্রামের জায়গা নিয়ে নিয়েছিল ফোন। আর সেই ফোনের যোগাযোগের কিছুটা অংশ দখল করে নিয়েছে হোয়াটসঅ্যাপের মতো সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাপগুলি। মার্কিন বাণিজ্যের অন্যতম যুগান্তকারী সংস্থা হোয়াটস অ্যাপ। যার মাধ্যমে সোশ্যাল মিডিয়া চ্যাটিং অন্য পর্যায়ে পৌঁছেছে। আর এবার সেই হোয়াটস অ্যাপ ঘরানায় ভারত নিজস্ব এক চ্যাটিং সাইটের পথে এগিয়ে যাচ্ছে।
কেন এমন চ্যাটিং সাইটের প্রয়োজন পড়ল ভারতের?
মূলত, হোয়াটস অ্যাপের মতো চ্যাটিং সাইট বহু ক্ষেত্রেই দফতরের কাজের জন্য ব্যবহৃত হয়। সেক্ষেত্রে নথি চুরির একটি সম্ভাবনা থেকে যায়। এক্ষেত্রে সাম্প্রতিককালে অ্যামাজন প্রধানের ফোন হ্যাকের মামলা প্রকাশ্যে আসে। আর এবার সেই তথ্যের গোপনীয়তা বজায় রাখতেই ভারত সরকার নতুন পদক্ষেপ নিতে চলেছে।
সরকার কোন পদক্ষেপ নিতে চলেছে?
কেন্দ্রের তরফে ইলেকট্রনিক্স ও ইনফরমেশন টেকনোলজি দফতর সরকারের তরফে এমন অ্যাপ তৈরি করছে। আর সেই সূত্রেই খবর এবার ভারত নিজের জন্য তৈরি করতে চলেছে 'গভরমেন্ট ইনস্ট্যান্ট মেসেজিং সার্ভিস'। এই বছরেই এমন প্রকল্প শুরু হতে চলেছে। ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে এর পাইলট প্রজেক্ট।
সরকারী কর্মী ছাড়া আর কাদের জন্য এমন জিআইএমএস লাগু হবে?
জিআইএমএস শুধুমাত্র কেন্দ্রীয় সরকারী কর্মচারিদের জন্যই নয় রাজ্যসরকারি কর্মীদের জন্যও এই নয়া চ্যাট প্ল্যাটফর্ম শুরু হতে চলেছে। এই জিআইএমএস একটি 'ইউনিফায়েড মেসেজিং প্ল্যাটফর্ম'। যা তৈরি করেছে 'ন্যাশনাল ইনফরমেটিক্স সেন্টার'। এই সংস্থাই সরকারী দফতরের জন্য ইমেল সার্ভিস তৈরি করে।
কী কী থাকতে চলেছে এই অ্যাপে?
জানা গিয়েছে, একাধিক ভাষায় এই অ্যাপে কথাবার্তা হতে পারে। ১১ টি স্থানীয় ভাষা এই অ্যাপে চালু থাকবে। সঙ্গে থাকবে হিন্দি ও ইংরেজি। হোয়াটস অ্যাপএর মাধ্যমে তথ্য চুরি রুখতেই এমন পদক্ষেপ বলে জানা যাচ্ছে। জানা গিয়েছে, ওড়িশা ও গুজরাতও এর বেটা টেস্টিং এ অংশ নিচ্ছে।
কোন কোন মোবাইলের জন্য এই অ্যাপ তৈরি হয়েছে?
এই জিআইএমএস প্রযুক্তি অ্যান্ড্রয়েড ও আইওএস দুটি প্ল্যাটফর্মেই এটি চালু হবে। বিদেশমন্ত্রক , স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক সিবিআই সহ একাধিক কেন্দ্রীয় সংস্থার দ্বারা এই মোবাইল অ্যাপ এবার থেকে ব্যাবহার করা শুরু হবে বলে খবর।