আগে নিজের দেশে সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা দিন , নবী মহম্মদ বিতর্কে পাকিস্তানকে কড়া জবাব ভারতের
Array
পাকিস্তান ভারতকে চাপে ফেলতে সময় নিয়েছিল নবী কাণ্ডে, কিন্তু ভারত পাকিস্তানকে উত্তর দিতে দেরী করল না। নবী মহম্মদ নিয়ে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন যে সংখ্যালঘুদের পায়ের তলায় পিষে মারছে ভারত। এরই দ্রুত উত্তর দিল বিদেশ মন্ত্রক।
কী বলেছে বিদেশ মন্ত্রক ?
পাকিস্তান সংখ্যালঘু অধিকারকে প্রতিদিন লঙ্ঘন করে। এমন ভাবেই পাকিস্তানকে নবী কাণ্ডে উত্তর দিয়েছে ভারত। ভারত প্রধানমন্ত্রীর টুইট এবং বিদেশ মন্ত্রকের বিবৃতিতে প্রতিবেশী দেশকে বলা যেতে পারে এক হাত নিয়েছে।
কী বলেছেন বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচি ?
ভারতের
পররাষ্ট্র
মন্ত্রকের
মুখপাত্র
অরিন্দম
বাগচি
বলেছেন:
"অন্য
দেশে
সংখ্যালঘুদের
প্রতি
আচরণের
বিষয়ে
মন্তব্য
করে
দিলেই
নিজের
দেশে
যারা
সংখ্যালঘু
অধিকার
দিনের
পর
দিন
লঙ্ঘন
করে
চলেছে
সেটা
কখনও
চাপা
পড়ে
যায়
না।
সবাই
জানে
কীভাবে
পাকিস্তানে
হিন্দু,
শিখ
সহ
অন্যান্য
সংখ্যালঘুদের
কীভাবে
প্রতিদিন
নিপীড়নের
শিকার
হতে
হয়
।
পাকিস্তানের
খ্রিস্টান
ও
আহমদিয়ারাও
একই
অবস্থায়
রয়েছে।"
আর কী বলেছে বিদেশ মন্ত্রক ?
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, "ভারত সরকার সমস্ত ধর্মকে সর্বোচ্চ সম্মান দেয়। ভারত পাকিস্তানের থেকে একেবারেই ভিন্ন ধারায় চলে। পাকিস্তানে ধর্মান্ধদের প্রশংসা করা হয় এবং তাদের সম্মানে স্মৃতিস্তম্ভ তৈরি করা হয়। আমরা পাকিস্তানকে বলব যে, আমাদের নিয়ে ভাবতে হবে না, পাকিস্তান বরং নিজের দেশের যারা সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষ আছেন তাঁদের নিরাপত্তা এবং মঙ্গলের দিকে মনোযোগ কীভাবে দেওয়া যায় তা নিয়ে ভাবুক। পাকিস্তান উদ্বেগজনক প্রচারে জড়িত এবং ভারতে সাম্প্রদায়িক বৈষম্য বাড়ানোর চেষ্টা করছে। এছাড়া ওঁদের কাজ নেই।"
পাকিস্তানে সমস্যায় সংখ্যালঘুরা
ইসলামের
পর
পাকিস্তানে
হিন্দু
ধর্ম
দ্বিতীয়
বৃহত্তম
ধর্ম।
যদিও
শত
শত
বছর
আগে
হিন্দুধর্ম
এই
অঞ্চলে
প্রভাবশালী
ছিল।
আজ
পাকিস্তান
হিন্দু
কাউন্সিল
অনুসারে
হিন্দুরা
পাকিস্তানের
জনসংখ্যার
মাত্র
চার
শতাংশ।
অর্থাৎ
সংখ্যালঘু।
দেশভাগের আগে, ১৯৪১ সালের আদমশুমারি অনুসারে, হিন্দুরা পশ্চিম পাকিস্তানে (বর্তমানে পাকিস্তান) জনসংখ্যার ১৪% এবং পূর্ব পাকিস্তানে (বর্তমানে বাংলাদেশ) জনসংখ্যার ২৮% ছিল। পাকিস্তান ব্রিটিশ রাজ থেকে স্বাধীনতা লাভের পর, ৪.৭ মিলিয়ন পশ্চিম পাকিস্তানের হিন্দু এবং শিখরা উদ্বাস্তু হিসেবে ভারতে চলে আসে এবং ১৯৫১ সালের পরে প্রথম আদমশুমারিতে, হিন্দুরা পশ্চিম পাকিস্তানের (বর্তমান পাকিস্তান) মোট জনসংখ্যার ১.৬% এবং পূর্ব পাকিস্তানের (বর্তমানে বাংলাদেশ) ২২% ছিল।
পাকিস্তানের হিন্দুরা প্রাথমিকভাবে সিন্ধুতে কেন্দ্রীভূত, যেখানে পাকিস্তানে সংখ্যাগরিষ্ঠ হিন্দু ছিটমহল পাওয়া যায়। তারা বিভিন্ন ভাষায় কথা বলে যেমন সিন্ধি, সেরাইকি, এর, ধাটকি, গেরা, গোয়ারিয়া, গুরগুলা, জান্দাভরা, কবুত্র, কলি, লোয়ারকি, মারোয়ারি, সানসি, ভাঘরি এবং গুজরাটি। অনেক হিন্দু, বিশেষ করে গ্রামীণ এলাকায়, স্থানীয় সুফি পীরদের শিক্ষা অনুসরণ করে বা ১৪ শতকের সাধক রামদেবজিকে মেনে চলে, যার প্রধান মন্দির শ্রী রামদেব পীর মন্দির তান্ডো আল্লাহয়ারে অবস্থিত।
যদিও পাকিস্তানের সংবিধান সকল নাগরিকের জন্য সমান অধিকার প্রদান করে এবং জাতি, ধর্ম বা ধর্মের ভিত্তিতে কারও মধ্যে বৈষম্য করার কথা বলে না, কিন্তু ইসলাম হিন্দু এবং অন্যান্য ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের তুলনায় মুসলমানদের বেশি সুযোগ-সুবিধা প্রদান করে রাষ্ট্রধর্ম হিসেবে রয়ে গিয়েছে। অন্যান্য সংখ্যালঘুদের সাথে হিন্দুদের বিরুদ্ধে হিংসা ও বৈষম্যের অসংখ্য ঘটনা ঘটে। পাকিস্তানে ধর্মীয় ভাবাবেগ সম্পর্কে কুরুচিকর মন্তব্য করা নিয়ে একটি আইন রয়েছে এর জেরে হিন্দুদের প্রতি হিংসা ও দুর্ব্যবহারের ঘটনাও ঘটে।