সীমান্ত সংঘাতের আবহেও ‘কোয়াড’ বৈঠকের জন্য প্রস্তুত ভারত, আমেরিকার সঙ্গেও আলোচনায় জোর
কোয়াড বৈঠকের জন্য প্রস্তুত ভারত, আমেরিকার সঙ্গেও আলোচনায় জোর
সীমান্তে যখন ক্রমেই আগ্রাসী হয়ে উঠছে চিন ঠিক তখনই চিন বিরোধী অন্যান্য রাষ্ট্রগুলির সঙ্গে কূটনতৈক বোঝাপড়ায় আরো একটু শান দিতে চাইছে ভারত। সূত্রের খবর, করোনা আবহেই কোয়াডভুক্ত দেশগুলির সঙ্গে 'চতুর্ভুজীয় সুরক্ষা সংলাপে' বসতে চলেছে ভারত। পরের মাসের শেষের দিকেই দিল্লিতে এই বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে বলে জানা যাচ্ছে।
কারা কারা উপস্থিত থাকছেন এই কোয়াড বৈঠকে ?
ইতিমধ্যেই ওই বৈঠকের তারিখ ঠিক করা নিয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ভারত, অস্ট্রেলিয়া এবং জাপানের মধ্যেও জোরদার আলোচনা চলছে বলে জানা যাচ্ছে। ভারত, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, জাপান এবং অস্ট্রেলিয়ার মধ্যেকার কৌশলগত আলোচনার ফোরামই হল এই ‘কোয়াড'। সূত্রের খবর, আমেরিকার স্বরাষ্ট্রসচিব মাইক পম্পেও ছাড়াও ওই বৈঠকে থাকবেন ভারতের বিদেশ মন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। থাকবেন জাপানের বিদেশ মন্ত্রী তোশিমিতসু মোতেগি এবং অস্ট্রেলিয়ার বিদেশমন্ত্রী মেরিস পেইন।
মার্কিন প্রতিরক্ষা সচিবের সঙ্গে বৈঠকে রাজনাথ
এদিকে লাদাখ সীমান্তের পাশাপাশি দক্ষিণ-চিন সাগরেও চিনের পিপলস লিবারেশন আর্মির আগ্রাসন নিয়ে সরব হতে দেখা গেছে ভারত-আমেরিকা দুই দেশকেই। এর আগে দক্ষিণ চিন সাগরের কাছে আমেরিকার সঙ্গে যৌথ নৌ-মহড়া দিতে দেখা যায় ভারতকে। সূত্রের খবর, এখন আমেরিকার সঙ্গে আরও বিশেষ কিছু বিষয়ে আলোচনার উপর জোর দিতে চাইছে নয়া দিল্লি। এই বৈঠকেই মার্কিন প্রতিরক্ষা সচিব মার্ক এস্পারের সাথে আলোচনা সারবেন প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং।
কি বলছেন আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞরা
লাদাখে শান্তি ফেরাতেই মূলত বর্তমানে দক্ষিণ চিন সাগরে চিনের উপর পাল্টা চাপ সৃষ্টি করতে চাইছে ভারত। বিশেষজ্ঞদের ধারণা ভারতের প্রতি চিন যেভাবে ‘আগ্রাসী' মনোভাব পোষণ করছে সেখানে আন্তর্জাতিক পরিসরে ভূ-রাজনীতি ও ভূ-কৌশলগত স্বার্থে এই বৈঠক অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ভারত-প্রশান্ত মহাসগরীয় অঞ্চলে সামুদ্রিক সহযোগিতা বৃদ্ধির ক্ষেত্রেও এই বৈঠক বড় ভূমিকা রাখবে বলেও মত আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞ মহলের।
এই পথে হেঁটে আদৌও কি ফিরবে ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের শান্তি ?
ওয়াকিবহাল মহলের ধারণা ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলের শান্তি এখন অনেকটাই নির্ভর করছে এই ৪ শক্তিশালী দেশের বৈঠকের উপরেই। এই অঞ্চলেই চিনের একচেটিয়া নীতিকে ঠেকাতে ভারতের প্রতিও সহযোগিতার হাত সম্প্রসারিত করতে চাইছে ট্রাম্প প্রশাসন। এদিকে এই রাস্তায় যদিও খানিকটা হলেও চিনকে বাগে আনা যায় তবে আগামীতে পূর্ব এশিয়ার চিন-বিরোধী মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়া, ভিয়েতনামের মতো দেশগুলিকে এক ছাতার তলায় নিয়ে আসা যে সহজ হবে তা বলাই বাহুল্য।
টিকটক পাবজির পর রহস্যজনকভাবে প্লে স্টোর উধাও পেটিএম! নেপথ্যে কি তবে অনলাইন জুয়া ?