করোনা সন্দেহে চিকিত্সায় অবহেলা, মৃত্যুর মুখ থেকে মা-কে ফেরানোর আপ্রান চেষ্টা ছেলের
করোনা সন্দেহে চিকিত্সায় অবহেলা, মৃত্যুর মুখ থেকে মা-কে ফেরানোর আপ্রান চেষ্টা ছেলের
মৃত্যুপথে এগিয়ে চলা মাকে সিপিআর দেওয়ার চেষ্টা করছেন পুত্র, চেঁচিয়ে ডাকছেন চিকিৎসক-নার্সদের। উত্তরপ্রদেশের আগ্রার একটি হাসপাতালের এমনই এক ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে।
কি ঘটেছিল সেদিন হাসপাতালে ?
জানা যাচ্ছে, মোহিত শর্মা নামে ওই যুবক তাঁর মা মমতা শর্মাকে শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যার কারণে সোমবার আগ্রার সরোজিনী নাইডু মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি করেন। গত তিন বছর ধরে 'ক্রনিক অবস্ট্রাক্টিভ পালমোনারি ডিজিজ' নামের জটিল এক শ্বাস যন্ত্রের অসুখে ভুগছিলেন মমতা। মোহিত শর্মা ভিডিও বার্তার মাধ্যমে জানান, "মায়ের শ্বাসকষ্ট হওয়ার কারণে সকলে ভাবছিল করোনার উপসর্গ। এদিকে শ্বাসকষ্ট প্রবল হওয়ায় সবাইকে ডাকতে থাকি, কিন্তু কেউ এগিয়ে আসেননি।" উক্ত হাসপাতালকে ওই অঞ্চলে করোনার চিকিৎসার জন্যেই প্ৰস্তুত করা হয়েছে। যদিও মমতা শর্মার করোনা রিপোর্ট এখনও অধরা।
স্বাস্থ্যকর্মীদের অবহেলার অভিজ্ঞতা মোহিতের
মোহিত ভিডিও সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন, "মাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পরে ওঁদের জানিয়েছিলাম যে মা প্রায় তিন বছর ধরেই শ্বাসকষ্টে ভুগছেন। কর্তৃপক্ষ মাকে দোতলায় নিয়ে যেতে বলে। দোতলায় উঠে বুঝি ওটা আইসোলেশন ওয়ার্ড। উপরে ওঠার সময় আতঙ্কের কারণে কেউই আমাদের সাহায্য করেননি।" তিনি ওয়ার্ডবয়দের বিরুদ্ধে অভিযোগ হেনে বলেন, "ওয়ার্ডে আমাকে চিকিৎসা সম্পর্কিত যন্ত্রপাতি ব্যবহার করতে বলা হয়। কিন্তু আমি এগুলোর ব্যবহার কিভাবে জানবো? চিকিৎসক ও ওয়ার্ডবয়দের বারংবার ডাকলেও কেউ সাহায্যের হাত বাড়াননি।"
আগ্রার ঘটনায় তদন্তের নির্দেশ প্রশাসনের
মোহিত জানান যে তিনি বারংবার চিকিৎসকদের কেবিনে ছোটাছুটি করে সমস্যার কথা জানান, কিন্তু কেউই এগিয়ে আসেননি। সম্প্রতি আগ্রায় করোনার চিকিৎসা কেমন হচ্ছে সে বিষয়ে উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ নিযুক্ত করেছেন অলোক কুমারকে। অলোকবাবু জানান, "আমরা ঘটনার সম্পূর্ণ তদন্ত করব। ভদ্রমহিলার চিকিৎসা হয়েছিল কি না, বা কিভাবে উনি মারা গেলেন সে বিষয়ে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের নিকট পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট চেয়ে পাঠানো হয়েছে।"