গত চারমাসে দেশে কোভিড বর্জ্য উৎপাদন হয়েছে ১৮,০০৬ টন, এখানেও এগিয়ে সেই মহারাষ্ট্র
চারমাসে দেশে কোভিড বর্জ্য উৎপাদন হয়েছে ১৮,০০৬ টন
একে তো করোনা সঙ্কটের কবলে গোটা দেশের নাভিশ্বাস উঠছে উপরন্তু গত চারমাসে ভারতে কোভিড–১৯ সংক্রান্ত বায়োমেডিক্যাল বর্জ্য উৎপন্ন হয়েছে ১৮,০০৬ টন, করোনা সংক্রমণের মতো এখানেও মহারাষ্ট্র সবচেয়ে বেশি অবদান রেখেছে (৩,৫৮৭ টন)। এই তথ্য জানিয়েছে কেন্দ্রীয় দূষণ নিয়ন্ত্রণ বোর্ড।
সেপ্টেম্বরে সবচেয়ে বেশি বর্জ্য উৎপাদন
দূষণ নিয়ন্ত্রণ বোর্ডের তথ্য অনুযায়ী, ভারতে সেপ্টেম্বরে ৫,৫০০ টন কোভিড-১৯ বর্জ্য উৎপাদন হয়েছে। যা একমাসে এখনও পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি। রাজ্য দূষণ নিয়ন্ত্রণ বোর্ড থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনুসারে, জুন থেকে, সমস্ত রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিতে ১৮,০০৬ টন কোভইড-১৯ সম্পর্কিত বায়োমেডিক্যাল বর্জ্য তৈরি হয়েছে, যা ১৯৮ টি কমন বায়োমেডিকাল ওয়েস্ট ট্রিটমেন্ট ফেসিলিটি (সিবিডব্লিউটিএফ) দ্বারা সংগ্রহ, মধ্যস্থতা এবং নিষ্পত্তি করা হয়েছে।
কোভিড–১৯ বায়োমেডিক্যাল বর্জ্য কি
পিপিই কিটস, মাস্ক, জুতো কভার, গ্লাভস, মানব টিস্যু, রক্ত, দেহের তরল পদার্থ যেমন ড্রেসিং, প্লাস্টার কাস্ট, কটন সোয়াব, বেডিংয়ের জিনিস সহ রক্ত বা রক্তাক্ত তরল, রক্তের ব্যাগ, সূঁচ, সিরিঞ্জ সহ বিভিন্ন পদার্থ কোভিড-১৯ বায়োমেডিক্যাল বর্জ্যের মধ্যে অন্তর্ভুক্ত হতে পারে।
জুন ও সেপ্টেম্বরের তথ্য
তথ্য মারফত জানা গিয়েছে, জুন থেকে গত চারমাসে মহারাষ্ট্রে একাই কোভিড-১৯ বর্জ্য উৎপন্ন হয়েছে ৩,৫৮৭ টন, এরপর তামিলনাড়ু (১,৭৩১ টন), গুজরাত (১,৬৩৮ টন), কেরল (১,৫১৬ টন), উত্তরপ্রদেশ (১,৪৩২ টন), দিল্লি (১,৪০০ টন), কর্নাটক (১,৩৮০ টন) এবং পশ্চিমবঙ্গ (১০০০ টন)। সেপ্টেম্বরে ভারতে সবচেয়ে বেশি কোভিড-১৯ বর্জ্য উৎপন্ন হয়েছে, সেখানে গুজরাটের অবদান সবচেয়ে বেশি ৬২২ টন, এরপর রয়েছে তামিলনাড়ু (৫৪৩ টন), মহারাষ্ট্র (৫২৪ টন), উত্তরপ্রদেশ (৫০৭ টন) ও কেরল (৪৯৪ টন)। সেপ্টেম্বরে দিল্লিতে ৩৮২ টন কোভিড-১৯ বর্জ্য উৎপন্ন হয়েছে।
জুলাই–অগাস্টে কোভিড বর্জ্যের পরিমাণ
অগাস্টে ভারতে ৫,২৪০ টন কোভিড-১৯ বর্জ্য উৎপন্ন হয়েছে, যেখানে মহারাষ্ট্রের অবদান ফের সর্বোচ্চ ১,৩৫৯ টন এবং কেরল ও কর্নাটক ৫৮৮ টন করে অবদান রেখেছে। জুলাইতে ভারতে ৪,২৫৩ টন বর্জ্য উৎপাদন হয়েছে, যেখানে মহারাষ্ট্রে (১,১৮০ টন), কর্নাটকে (৫৪০ টন) ও তামিলনাড়ুতে (৪০১ টন) বর্জ্য উৎপাদন হয়েছে। জুন মাসে ভারতে কোভিড-১৯ বর্জ্য উৎপাদন হয়েছে ৩,০২৫ টন, যার মধ্যে মহারাষ্ট্র (৩৫০ টন), দিল্লি (৩৩৩ টন) ও তামিলনাড়ু (৩১২ টন) অবদান রেখেছে।
কোভিড ১৯বিডব্লুএম অ্যাপ
মার্চ মাসেই দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ বোর্ড থেকে স্বাস্থ্য সেবা সুবিধা, কোয়ারেন্টান কেন্দ্র, বাড়ি, নমুনা সংগ্রহের কেন্দ্র, ল্যাবোটরি, দূষণ নিয়ন্ত্রণ বোর্ড এ ধরনের বর্জ্য সংগ্রহ, ফেলা ও নিষ্পত্তি করার নির্দিষ্ট নির্দেশিকা জারি করেছিল। শীর্ষ দূষণ নিয়ন্ত্রণ বোর্ড মে মাসে করোনা ভাইরাস জনিত বর্জ্য পর্যবেক্ষণের জন্য মোবাইল অ্যাপ ‘কোভিড১৯বিডব্লুএম' নিয়ে আসে। এতেই দেশের বিভিন্ন জায়গার তথ্য একনজরে দেখে নেওয়া যায়।
ধর্ষণের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড! দেশজোড়া প্রতিবাদের মাঝেই মঙ্গলবার থেকে নতুন আইনের পথে বাংলাদেশ