মহারাষ্ট্রে নতুন ভ্যারিয়েন্টে ১৯৮ জন আক্রান্ত, প্রথম ওমিক্রনে মৃত্যু রাজ্যে
মহারাষ্ট্রে নতুন ভ্যারিয়েন্টে ১৯৮ জন আক্রান্ত
দেশজুড়ে ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টের বাড়বাড়ন্ত। যা সত্যিই চিন্তার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে কেন্দ্রের কাছে। তবে কেন্দ্রকে সবচেয়ে বেশি উদ্বিগ্ন করছে মহারাষ্ট্র ও দিল্লি। এরই মধ্যে বৃহস্পতিবার মহারাষ্ট্রে রেকর্ড ১৯৮টি নতুন করে ওমিক্রন কেস সনাক্ত হয়েছে। এই নিয়ে রাজ্যে ওমিক্রন কেসের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৪৫০টি।
১৯৮টি ওমিক্রন কেস
জানা গিয়েছে, ১৯৮টি কেসের মধ্যে মুম্বইতেই ১৯০টি ওমিক্রন কেস ধরা পড়েছে। ওমিক্রনের পাশাপাশি মহারাষ্ট্রে নতুন করে করোনায় আক্রান্ত হয়েছে ৫,৩৬৮ জন। এর মধ্যে মুম্বইতে ৩,৬৭১টি করোনা কেস নতুন রিপোর্ট হয়েছে বলে জানিয়েছে বৃহনমুম্বই মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশন। মহারাষ্ট্রের স্বাস্থ্য মন্ত্রী রাজেশ টোপে বৃহস্পতিবার জানিয়েছেন যে ৪০০০ কেস নিয়ে মুম্বইতে কোভিড পজিটিভিটি হার বেড়ে হয়েছে ৮.৪৮ শতাংশ।
টিকাকরণের ওপর জোর
মন্ত্রী জানিয়েছেন, ওমিক্রনের উদ্বেগজনক বিস্তার রাজ্যে অবিরাম রয়ে গেছে এবং এটি মাথায় রেখে, সরকার জিনোম-সিকোয়েন্সিংয়ের আগে, শুধুমাত্র আরটি-পিসিআর কেন্দ্রগুলিতে ডেল্টা এবং ওমিক্রন সনাক্ত করতে সর্বাধিক এস-জিন ড্রপআউট কিট ব্যবহার করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এটি চিকিৎসকদের ওমিক্রন এবং ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের মধ্যে পার্থক্য করতে সাহায্য করবে। রাজেশ টোপে বলেছেন, 'টিকাকরণ কর্মসূচি জোরকদমে চলছে। স্কুল ছাত্রদের ব্যাচ করে টিকা কেন্দ্রে নিয়ে যেতে হবে। এর ফলে টিকা দেওয়ার উচ্চ হার হবে। স্কুল এখন বন্ধ থাকবে না।'
ওমিক্রনে প্রথম মৃত্যু মহারাষ্ট্রে
অন্যদিকে, বৃহস্পতিবারই ওমিক্রনে আক্রান্ত হয়ে দেশে প্রথম মৃত্যু হয়েছে। মহারাষ্ট্রের জনস্বাস্থ্য বিভাগ এদিন এক বুলেটিনে জানিয়েছে যে পিম্পরি-চিঞ্চওয়াড়ের এক রোগী, যিনি নতুন ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টে আক্রান্ত হয়েছিলেন, হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে তাঁর মৃত্যু হয়েছে। ৫২ বছরের ওই ব্যক্তি নাইজেরিয়া থেকে ফিরেছিলেন বলে জানা গিয়েছে। পিম্পরি চিঞ্চওয়াড়ের মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশনের যশয়ন্তরাও চবন হাসপাতালে ওই ব্যক্তির মৃত্যু হয় ২৮ ডিসেম্বর। ওই ব্যক্তির গত ১৩ বছর ধরে ডায়বেটিস ছিল বলে জানা গিয়েছে। তবে রাজ্য সরকার জানিয়েছে যে ওই ব্যক্তি করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা যাননি। তবে কাকতালীয়ভাবে বৃহস্পতিবারই এনআইভি রিপোর্টে প্রকাশ পায় যে মৃত ব্যক্তি ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টে আক্রান্ত ছিলেন।
জরুরি বৈঠক
আকস্মিকভাবে রাজ্যে মামলার সংখ্যা বৃদ্ধির পরিপ্রেক্ষিতে মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরে বৃহস্পতিবার মহারাষ্ট্র কোভিড টাস্ক ফোর্সের সঙ্গে একটি জরুরি বৈঠক সারেন। ইতিমধ্যেই সরকার রাজ্যে একাধিক নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে বর্ষবরণ উৎসব উপলক্ষ্যে। এদিন মুম্বই পুলিশ শহরে ১৪৪ ধারা জারি করেছে, যা থাকবে ৭ জানুয়ারি পর্যন্ত। নতুন কোভিড-১৯ বিধিনিষেধ অনুযায়ী, ৩০ ডিসেম্বর থেকে ৭ জানুয়ারি পর্যন্ত রেস্তোরাঁ, হোটেল, বার, পাব, রিসর্ট এবং ক্লাব সহ যে কোনো বন্ধ বা খোলা জায়গায় নববর্ষ উদযাপন, পার্টির ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।
উদিগ্ন কেন্দ্র
বৃহস্পতিবার স্বাস্থ্য মন্ত্রক দেশের জরুরি পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে এবং জনগণকে আতঙ্কিত না হওয়ার জন্য বলেছে কারণ ভারত যে কোনও মহামারির বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য প্রস্তুত। বৃহস্পতিবার কেন্দ্র আবারও যে আটটি রাজ্যকে সতর্ক করেছিল মহারাষ্ট্র তার মধ্যে একটি।