সেপ্টেম্বরে কেরলে প্রতিদিন ২০ হাজার করোনা সংক্রমণ, আশঙ্কা খোদ রাজ্যের স্বাস্থ্যমন্ত্রীর
সেপ্টেম্বরে কেরলে প্রতিদিন ২০ হাজার করোনা সংক্রমণ, আশঙ্কা খোদ রাজ্যের স্বাস্থ্যমন্ত্রীর
অগাস্ট এবং সেপ্টেম্বরে কেরলে কোভিড–১৯ আক্রান্তের সংখ্যা তীব্র বৃদ্ধি পাবে এবং তা দৈনিক ১০ হাজার থেকে ২০ হাজারে ছোঁবে বলে জানিয়েছেন রাজ্যের স্বাস্থ্য মন্ত্রী কে কে শৈলাজা।
কমাতে হবে করোনা আক্রান্তের বৃদ্ধি
রাজ্যের স্বাস্থ্যমন্ত্রী ভিডিও প্রচারের মাধ্যমে রাজ্যে যুব সমাজকে ‘কোভিড ব্রিগেডে' সামিল হওয়ার জন্য আর্জি জানিয়েছেন, যাতে এই মহামারি রোধ করা যায়। তিনি বলেন, ‘বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন যে অগাস্ট ও সেপ্টেম্বর মাসে কোভিড-১৯ কেসের সংখ্যা তীব্রভাবে বাড়তে পারে। দৈনিক ১০ হাজার থেকে ২০ হাজারের মধ্যে আমরা হয়ত রিপোর্ট করতে পারি।' মন্ত্রী জানিয়েছেন যে পজিটিভ কেসগুলি ছড়িয়ে পড়লে মৃত্যুর হারের গ্রাফ বৃদ্ধি পেতে পারে, এটা বন্ধ হওয়া দরকার। তিনি বলেন, ‘আমাদের এটা বুঝতে হবে যে মৃত্যুর হার বৃদ্ধি পাবে তখনই যখন আক্রান্তের সংখ্যা বাড়বে। তাই আমাদের কেস বৃদ্ধি কমাতে হবে। তার জন্য অবশ্যই মানুষকে সহায়তা করতে এগিয়ে আসতে হবে। তাদের অবশ্যই কড়াভাবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে, সংক্রমণের চেইন ভাঙার জন্য মাস্ক পরা, হাত ধোওয়া ও সামাজিক দুরত্ব বজায় রাখা জরুরি।'
প্রথম করোনা ভাইরাস ধরা পড়ে কেরলে
ভারতের প্রথম করোনা ভাইরাসের কেস ধরা পড়ে দক্ষিণের এই রাজ্য থেকেই গত ৩০ জানুয়ারি। সেই সময় কোভিড-১৯-এর উৎসস্থল চিনের উহান থেকে এক মেডিক্যাল পড়ুয়া কেরলে ফেরত আসেন করোনা ভাইরাস নিয়ে। রাজ্যের দ্বিতীয় ও তৃতীয় কেসের ক্ষেত্রেও আক্রান্তরা উহান থেকেই ভারতে ফিরেছিলেন। ৫ মে এ রাজ্যে যেখানে ৫০০টি কেস ছিল তা বেড়ে ২৭ মে-এর মধ্যে ১০০০টি হয়ে যায়। ৪ জুলাই কেরলে ৫ হাজার কেস দেখা দেওয়ার পর তা ১৬ জুলাই ১০ হাজারে পৌঁছে যায় এবং ২৮ জুলাইয়ের মধ্যে তা ২০ হাজার ছোঁয়।
বৃহস্পতিবার কেরলে একদিনে ১,৫৬৪টি কেস ধরা পড়ে, যা মোট সংক্রমণের সংখ্যা হয় ৩৯,৭০৮। বৃহস্পতিবার তিনজনের মৃত্যুর খবরও রিপোর্ট করা হয়, এ রাজ্যে মোট মৃতের সংখ্যা দাঁড়ায় ১২৯।
বিশ্বে মডেল হিসাবে তুলে ধরা হবে কোভিড ব্রিগেডকে
বিশ্বে মডেল হিসাবে ‘কোভিড ব্রিগেড'কে তুলে ধরার জন্য, যুব সমাজকে এই ব্রিগেডে যোগ দেওয়ার আবেদন করে কে কে শৈলাজা জানিয়েছেন, হাজার হাজার স্বাস্থ্য কর্মী ও অন্য ব্যক্তিরা এই মহামারির সঙ্গে লড়ছে। এই লড়াইয়ে আরও অনেক স্বেচ্ছাসেবক প্রয়োজন, মেডিক্যাল ও অন্যান্য ক্ষেত্র থেকেও। সামনে এগিয়ে এসে এই রোগের সঙ্গে যুদ্ধ ককতে সামিল হন। আধুনিক ওষুধের অনুশীলনকারীদের পাশাপাশি আয়ুর্বেদ, হোমিও, ডেন্টাল সহ ল্যাব টেকনিশিয়ান, ফার্মাসিস্ট এবং নার্সরাও এই ব্রিগেডে যোগ দিতে পারেন।
কোভিড ব্রিগেডের ঘোষণা
গত ২৩ জুলাই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন ফার্স্ট লাইন ট্রিটমেন্ট সেন্টার (এফএলটিসি) করার জন্য চিকিৎসক, নার্স, প্যারা মেডিক্যাল কর্মী এবং স্বেচ্ছাসেবকদের সমন্বয়ে ‘কোভিড ব্রিগেড' গঠনের ঘোষণা করেছিলেন। বিজয়ন বলেছিলেন, ‘ক্রমবর্ধমান মামলার পরিপ্রেক্ষিতে কোভিড ডিফেন্সিভ অপারেশনগুলিকে শক্তিশালী করার জন্য আরও বেশি লোকের প্রয়োজন। আমরা একটি সমন্বিত কর্ম পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করেছি।'
করোনা লকডাউন আরও এক নতুন মহামারির জন্ম দিচ্ছে ঘরে ঘরে, বলছেন বিশেষজ্ঞরা