উপত্যকায় হিংসা ছড়াতে কোন পথে অর্থসাহায্য, চাঞ্চল্যকর তথ্য এনআইএ-র হাতে
উপত্যকায় হিংসা ছড়াতে পাকিস্তান ছাড়াও লন্ডন ও দুবাই থেকেও অর্থসাহায্য পেত বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতারা। এনআইএ-কে জানাল মিরওয়াইজ উমর ফারুক ঘনিষ্ঠ ধৃত শাহিদ উল ইসলাম।
কাশ্মীরে ধৃত হুরিয়ত নেতাদের জেরা আরও চাঞ্চল্যকর তথ্য পেল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা এনআইএ। অল পার্টিজ হুরিয়ত কনফারেন্সের সদস্যদের জন্য শুধুমাত্র পাকিস্তান থেকেই নয়, অর্থসাহায্য আসত লন্ডন ও দুবাই থেকেও। মিরওয়াইজ উমর ফারুক ঘনিষ্ঠ শাহিদ উল ইসলামকে জেরা করে এমনই তথ্য পেল এনআইএ।
আপাতত কোন পথে এই অর্থ সাহায্য আসত তা জানার মরিয়া চেষ্টা চালাচ্ছে এনআইএ। এদিকে শুক্রবারই ধৃত ৪ জন হুরিয়ত নেতার এনআইএ হেফাজতের মেয়ার আরও দশদিন বাড়িয়ে দিয়েছে দিল্লির একটি আদালত। তদন্তে নেমে এনআইএ জানতে পেরেছে, জঙ্গিদের সাহায্য করতে ও উপত্যকায় অশান্তি ছড়াতে হজ যাত্রীদের কাছ থেকেও টাকা তুলত হুরিয়ত নেতারা। হজ এজেন্টরা যে পরিমাণ টাকা হজযাত্রীদের কাছ থেকে নেয়, তারই একটি অংশ হুরিয়ত নেতাদের কাছে পৌঁছে যেত বলে জানা গিয়েছে।
গত মাসের ২৪ তারিখে মোট ৭জন হুরিয়ত নেতাকে গ্রেফতার করে এনআইএ। ধৃতদদের মধ্যে আলতাফ শাহ নামে একজন আবার হুরিয়ত নেতা সৈয়দ আলি শাহ গিলানির জামাই বলে জানা গিয়েছে। প্রত্যেকের বিরুদ্ধে পাকিস্তানের জঙ্গি সংগঠন লস্কর-এ তৈবার বিভিন্ন শাখা সংগঠনের সঙ্গে আর্থিক লেন-দেনের অভিযোগ করা হয়েছে। তল্লাশি অভিযানে নগদ ২ কোটি টাকা, কিছু পাশবই এবং লস্কর ও হিজবুল মুজাহিদিনের কিছু লেটার হেড বাজেয়াপ্ত করে এনআইএ গোয়েন্দারা। আদালতে তোলা হলে সাতজনকেই দশদিনের এনআইএ হেফাজতের নির্দেশ দেয় আদালত। ধৃতদের বিরুদ্ধে অপরাধমূলক ষড়যন্ত্র ও রাষ্ট্রদ্রোহিতার অভিযোগে মামলা করা হয়েছে।
[আরও পড়ুন: জঙ্গিদের জন্য কীভাবে টাকা তুলত হুরিয়ত নেতারা, জানতে পারল এনআইএ]