পাকিস্তানে মানবাধিকার নিয়ে মুখ খুললেই গোপন ডিটেনশন সেন্টারে পাঠানো হচ্ছে! বিশ্বমঞ্চে মুখ খুলল ভারত
জেনেভাতে রাষ্ট্রসংঘের সভায় ফের একবার পাকিস্তানকে একহাত নিতে ছাড়ল না ভারত। এবার মানবাধিকার প্রসঙ্গে কার্যত পর পর তোপ দেগেছেন ভারতের তরফের প্রতিনিধি সেন্থিল কুমার।
ভারতের তোপ
এদিন ৪৫ তম মানবাধিকার কাউন্সিলের সভায় ভারত জানায়, বারবার পাকিস্তান ভারতের অভ্যন্তরীণ প্রশ্ন নিয়ে মুখ খুলছে। যা কাম্য নয়। পাকিস্তানের উচিত নিজের ঘরের দিকে তাকানো। সেখানে মানবাধিকারের অবস্থা বিপন্ন। উল্লেখ্য, কাশ্মীর প্রসঙ্গে পাকিস্তানের বক্তব্যকে নস্যাৎ করে এমনই বার্তা পেশ করে ভারত।
পাকিস্তানের গোপন ডিটেনশন
ভারতের তরফে সেন্থিল কুমার এদিন বলেন, পাকিস্তানে যাঁরাই মানবাধিকারের কথা বলেন, তাঁদেরই কণ্ঠরোধ করা হচ্ছে। সেখানে কেই মানবাধিকার নিয়ে বক্তব্য রাখলে, তাঁকে ভয় দেখানো হচ্ছে, গোপন ডিটেনশন সেন্টারে নিয়ে যাওয়া হয়, অত্যাচার করা হয়, আর পরে উধাও করে দেওয়া হয়। এই কাজ পাকিস্তান সরকারের সরাসরি নির্দেশেই হচ্ছে। এভাবেই এদিন এই বিস্ফোরক তথ্য বিশ্বমঞ্চে তুলে ধরে ভারত।
১২ দিন আগে...
এদিন ভারতের তরফে জানানো হয়েছে, ১২ দিন আগের একটি প্রেস ব্রিফিংয়ে পাকিস্তানে অনলাইন ও অফ লাইনে কিভাবে মানবাধিকার লঙ্ঘন চলছে তার তথ্য তুলে ধরা হয়। মূলত মহিলাদের মানবাধিকার পাকিস্তানের বুকে লুণ্ঠিত বলে দাবি করে ভারত। কণ্ঠরোধ হচ্ছে সাংবাদিকদেরও।
এর আগে ভারত যা জানায় বিশ্বমঞ্চে
পাকিস্তানে সংখ্যা লঘু বলতে রয়েছে হিন্দু, খ্রিস্টান ও শিখরা। আর সেই ধর্মের মহিলাদের ক্রমাগত নিশানা করে অত্যাচার চালানো হচ্ছে বলে সুর চড়ায় ভারত। রাষ্ট্রসংঘের অনুষ্ঠানে সাফ ভাষায় বলা হয়, পাকিস্তানের অন্দরে এই সংখ্যালঘু মহিলাদের জোর করে অপহরণ, ধর্মান্তরকরণ চলছে। করা হচ্ছে ধর্ষণ। শেষে যারা অপহরণ করছে , দারে সঙ্গেই ওই সংখ্যালঘু মহিলাদের বিয়ে দেওয়া হচ্ছে।