কীভাবে পাবেন স্পেশাল ভিআইপি নম্বর? আর তা পেতে আলু ব্যবসায়ীর যা করলেন শুনলে অবাকই হবেন
ভারতে সাধারণ মানুষের মধ্যে ভিআইপি ফ্যান্সি ফোন নম্বরের চাহিদা বাড়ছে। ফ্যান্সি নম্বর কিংবা ভিআইপি নম্বরে তেমন কোনও সুবিধা পাওয়া যায় না। তবে হ্যাঁ নম্বরে ক্ষেত্রে অবশ্যই বৈচিত্র থাকে। যাতে সহজেই মনে রাখা যায়।
ভারতে সাধারণ মানুষের মধ্যে ভিআইপি ফ্যান্সি ফোন নম্বরের চাহিদা বাড়ছে। ফ্যান্সি নম্বর কিংবা ভিআইপি নম্বরে তেমন কোনও সুবিধা পাওয়া যায় না। তবে হ্যাঁ নম্বরে ক্ষেত্রে অবশ্যই বৈচিত্র থাকে। যাতে সহজেই মনে রাখা যায়।
যে কোনও মোবাইল অপারেটরের কাছ থেকেই ফ্যান্সি এবং ভিভিআইপি মোবাইল নম্বর পাওয়া সম্ভব। তবে এই নম্বরের জন্যে আলাদা পেমেন্ট করতে হয়। তবে সম্প্রতি বিএসএনএলে ব্যাপক ভাবে চাহিদা বেড়েছে স্পেশাল নম্বর পাওয়ার জন্যে। তবে এর পিছনে রয়েছে একটা কারণ!
আলু ব্যবসায়ীর কাণ্ড!
এক আলু বিক্রেতা সম্প্রতি একটি ফ্যান্সি নম্বর নিয়েছেন বিএসএনএল থেকে। ওই আলু ব্যবসায়ী আসলে রাজস্থানের কোটার বাসিন্দা। একেবারে নিলাম করে ওই নম্বর নেন ওই ব্যক্তি। জানা যায়, এজন্যে প্রায় আড়াই লাখ টাকা খরচ করেন ওই আলু ব্যাবসায়ী। যে ব্যক্তি আড়াই লাখ টাকা খরচ করে নম্বর নিয়েছেন সেটি হল- XXX7000000। আর এই নম্বর পাওয়ার পরেই তিনি হিরো হয়ে গিয়েছে। এবার অনেকেই স্পেশাল নম্বর নেওয়ার জন্যে ভিড় জমাচ্ছেন বিএসএনএল অফিসে।
অনলাইন পোর্টালের মাধ্যমে পাওয়া যায় ভিআইপি নম্বর
বিএসএনএল ভিআইপি নম্বর খুব সহজেই পাওয়া যায়। বিএসএনএলের ওয়েবসাইটে "Fancy Numbers Auction" ক্যাটাগরিতে এই ভিআইপি নম্বর পাওয়াটা সুবিধাজনক। XXX7000000 -এই নম্বরের জন্যে নিলাম শুরু হয় ২০ হাজার টাকা থেকে। কিন্তু মুহূর্তের মধ্যে এই নম্বরের জন্য বিড উঠতে থাকে। এক ধাক্কায় দু লাখ টাকা এই নম্বরে পৌঁছে যায় দাম। ওই আলু ব্যবসায়ী সবথেকে বেশি বিড করেন। আর এই নম্বরের মালিক হয়ে যান ওই আলু ব্যবসায়ী। এই ব্যাক্তির নাম তানুজ দুদেজা।
ভিআইপি নম্বর পেয়েছেন
সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত খবর মোতাবেক, ফারুকাবাদের বিএসএনএলের দফতর থেকে ওই ভিআইপি নম্বর পেয়েছেন। সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, ওই আলু ব্যবসায়ী দুদেজার কাছে এটাই প্রথম ভিআইপি নম্বর নয়, এর আগেও এক লাখ টাকা খরচ করে আরও একটি ভিআইপি নম্বর নেন।
ভালো সংস্থাগুলির জন্যে
এটি খুব গুরুত্বপূর্ণ যে সাধারণ মানুষ লাখ লাখ টাকা খরচ করে ভিআইপি সিম কার্ড নম্বর নিচ্ছে। এটি টেলিকম সংস্থাগুলির কাছে ভালো বলেই দাবি অর্থনৈতিক কারবারীদের। বিশেষ করে ফ্রিয়ের ধাক্কায় কুপোকাত বিভিন্ন টেলিকম সংস্থা। ক্রমশ পিছয়ে পড়ছে এয়ারটেল, ভোডাফোন কিংবা বিএসএনএলের মতো সংস্থাগুলি। সেখানে ভিআইপি নম্বর নেওয়ার জন্যে সাধারণ মানুষের এই উৎসাহ সংস্থজাগুলির উপকার হবে বলেই মনে করা হচ্ছে।