৩ মে-র পর কোন 'প্ল্যান'-এ লকডাউন শিথিল গ্রিনজোনগুলিতে?
কোরোনা ভাইরাসে সংক্রমিত ভারতের প্রায় প্রতিটি কোণ ৷ দেশের যে অংশগুলি কোরোনা ভাইরাসে বেশি প্রভাবিত, সেই স্থানগুলি চিহ্নিত করা হয়েছে হটস্পট জ়োন হিসাবে৷ মোট ২৫টি রাজ্যের ১৭০টি জেলা হটস্পট বা রেড জ়োন হিসাবে চিহ্নিত৷ দেশে মোট কোরোনা ভাইরাসে আক্রান্তের ১৩.৮ শতাংশই মহারাষ্ট্রের বাসিন্দা ৷ এখনও পর্যন্ত কোরোনায় আক্রান্ত হয়েছেন প্রয় ৮ হাজার জনেরও বেশি৷ মহারাষ্ট্রে হটস্পট জোনগুলি হল মুম্বই ও তার পার্শ্ববর্তী এলাকা, পুনে, ঔরঙ্গাবাদ, সাংগলী, নাগপুর, নাসিক,থানে, বুলধানা, আহমেদ নগর, ইভাতামল৷
দিল্লি-উত্তরপ্রদেশ, সব জায়গাতেই এক পরিস্থিতি
এরপরেই তালিকায় রয়েছে দিল্লির নাম৷ এখানে আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় ৩০০০৷ নয়াদিল্লি সহ দক্ষিণ, দক্ষিণ-পশ্চিম, দক্ষিণ-উত্তর, পশ্চিম, উত্তর দিল্লি ও শাহদারাকে হটস্পট হিসাবে ঘোষণা করা হয়েছে৷ এছাড়া উত্তরপ্রদেশেও কোরোনা আক্রান্তের সংখ্যা ২০০০ পেরিয়েছে৷ সংক্রমণ রুখতে নয়ডা, মিরাট, গৌতমবুদ্ধ নগর, আগ্রা, লখনউ, ফিরোজাবাজ, শামলি, মোরাদাবাদ, সাহারানপুর ও গাজিয়াবাদকে হটস্পট হিসাবে ঘোষণা করা হয়েছে৷
৩ মে শেষ হচ্ছে দ্বিতীয় দফার লকডাউন
এই পরিস্থিতিতে ৩ মে শেষ হচ্ছে দ্বিতীয় দফার লকডাউন। তার পরে কী হবে দেশে। ইঙ্গিত মিলেছে গ্রিন জোনে স্বাভাবিক করা হতে পারে জনজীবন। বাকি এলাকায় বহাল রাখা হতে পারে লকডাউন। যদিও ২ মে এই নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানাবেন প্রধানমন্ত্রী।
একাধিক জোনে ভাগ করা হয়েছে গোটা দেশকে
করোনা সংক্রমণ নিয়ে একাধিক জোনে ভাগ করা হয়েছে গোটা দেশকে। তারমধ্যে গ্রিন জোন হচ্ছে সবচেয়ে নিরাপদ এলাকা। যে এলাকায় করোনা সংক্রমণ একেবারেই ছড়ায়নি সেই এলাকাকেই গ্রিনজোনের মধ্যে ফেলা হয়েছে। মনে করা হচ্ছে ৩ মে-র পর এই গ্রিনজোনে জনজীবন স্বাভাবিক করা হবে।
দেশে কটা রেডজোন, কটা গ্রিনজোন?
গত কয়েকদিনে ভারতে করোনা পরিস্থিতি বেশ শুধরেছে। গত ১৪ দিনে হটস্পট জেলা ১৭০ থেকে ১২৯-এ নেমে এসেছে। তবে এই সময়েই গ্রিন জোনের সংখ্যাও ৩২৫ থেকে কমে ৩০৭ হয়েছে।
লকডাউন শিথিল হলে বাস পরিবহণ কেমন হবে?
এদিকে ৩ মে প্রথম ধাপের লকডাউন উঠে গেলে সরকারি ও বেসরকারি বাস চলতে শুরু করবে রাজ্যের গ্রিন জোনগুলিতে। বুধবার বিকেলে নবান্নে সাংবাদিক বৈঠক করে ধাপে ধাপে লকডাউন তোলার পরিকল্পনা জানালেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
গ্রিনজোনে চলবে ট্যাক্সিও
সরকারি বাসগুলিতে সাধারণত ৬০টি করে আসন থাকে। কিন্তু এখন সামাজিক দূরত্ব রক্ষা করার স্বার্থে ২০ জনের বেশি উঠতে পারবেন না এক একটি বাসে। পরিবহণ দফতর সূত্রে খবর, শুধু তাই নয়, একটি সিটে জানলার ধারে একজন যাত্রী বসলে অন্য জন বসবেন তার পেছনের সিটের অন্য প্রান্তের আসনে। বেসরকারি বাসগুলিকেও এভাবেই যাত্রী বসাতে হবে বলে জানিয়েছে পরিবহণ দফতর। সোমবার থেকেই পথে নামতে পারবে বাস ও ট্যাক্সিও। তবে শুধু গ্রিন জোনেই। মনে করা হচ্ছে বাকি দেশেও এভআবেই পরিবহণ ব্যবস্থা চালু হতে পারে।
লকডাউন শিথিল হলে খুলবে কোন কোন দোকান?
প্রশাসন জানিয়েছে, কোন এলাকায় কী ধরনের দোকান খুলবে, কোন দোকান খুললে বেশি ভিড় হবে না, কোনটা একেবারে অপ্রয়োজনীয়, এ সব খতিয়ে দেখবে পুলিশ প্রশাসন। তবে মনে করা হচ্ছে গ্রিন জোনে হার্ডওয়ারের দোকান, লন্ড্রি, মোবাইল রিচার্জের দোকান, বইয়ের দোকান, চা ও পানের দোকান খোলা হতে পারে।