মাঝরাতে ১০টি রাজ্যে দুই শতাধিক এনআইএ সদস্যের পিএফআই-এর বিরুদ্ধে অভিযান, নেপথ্যে ‘অপারেশন মিডনাইট’
মাঝরাতে ১০টি রাজ্যে দুই শতাধিক এনআইএ সদস্যের পিএফআই-এর বিরুদ্ধে অভিযান, নেপথ্যে ‘অপারেশন মিডনাইট’
বৃহস্পতিবার ভোররাতে ভারতের একাধিক রাজ্যে পপুলার ফ্রন্ট অফ ইন্ডিয়ার লিঙ্কগুলোতে অভিযান চালায় এনআইএ ও ইডির মতো কেন্দ্রীয় সংস্থাগুলো। মাঝরাতে প্রায় ১০টির বেশি রাজ্যে এই অভিযান চালানো হয়। ঘটনায় পপুলার ফ্রন্ট অফ ইন্ডিয়ার প্রায় ১০০ জন সদস্যকে আটক করা হয়। এই অভিযানের নাম অপারেশন মিডনাইট দেওয়া হয়। ১৯ সেপ্টেম্বর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের আধিকারিকদের সঙ্গে এনআইএ ও ইডির আধিকারিকদেক বৈঠক হয়। যাতে পিএফআইয়ের সদস্যরা ঝামেলা করতে না পারে, সেই কারণেই এই মাঝরাতে অপারেশনর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল।
মিডনাইট অপারেশনের পরিকল্পনা
জানা গিয়েছে, ১৯ সেপ্টেম্বর জাতীয় নিরাপত্তা সংস্থা ও ইডির আধিকারিকরা অমিত শাহের নেতৃত্বে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠক করেন। বৈঠকের পরেই পিএফআই সম্পর্কিত এলাকা ও সদস্যদের বিরুদ্ধে অভিযানের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। পিএফআইয়ের সদস্যরা যাতে কোনও অশান্তির সৃষ্টি করতে না পারে, সেই কারণে মাঝরাতে এই অভিযান চালানোর পরিকল্পনা নেওয়া হয়। প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার রাত ১টা থেকে ভোর পাঁচটা পর্যন্ত ইডি ও এনআইএ ১০টি রাজ্যের একাধিক অঞ্চলে অভিযান চালায়।
অভিযান পর্যবেক্ষণ করে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক
অভিযান মূলত ছয়টি কক্ষ থেকে ১০টি রাজ্যে এনআইএ ও ইডির অভিযান নিয়ন্ত্রণ করা হয়। জানা গিয়েছে, অপারেশন মিডনাইট চালানোর পর কেন্দ্রীয় সংস্থাগুলো তাদের শাখায় ফিরে এসেছে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের তরফে সমস্ত অভিযান পর্যবেক্ষণ করা হয়। এই অভিযানে পিএফআইয়ের একাধিক শীর্ষনেতা সহ মোট ১০৬ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। সন্ত্রাসবাদীদের অর্থায়ন, প্রশিক্ষণ শিবির সংগঠিত করা এবং নিষিদ্ধ সংগঠনে যোগদানের জন্য মানুষকে উৎসাহিত করার সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিদের বাড়ি ও দফতরে অভিযান চালানো হয়।
অভিযানের ১৫০টির বেশি মোবাইল ফোন উদ্ধার
পিএফআই-এর বিরুদ্ধে অভিযানে চার জন আইজি, এডিজি, ১৬ জন এসপি সহ দুই শতাধিক এনআইএ সদস্য অংশগ্রহণ করেছিলেন। এছাড়াও এই অভিযানে রাজ্য পুলিশের আধিকারিক ও কর্মীরাও অংশগ্রহণ করেছিলেন। এই অভিযানে ১৫০টির বেশি ফোন, ৫০টির বেশি ল্যাপটপ, এছাড়াও একাধিক নথি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। পিএফআইয়ের চার নেতাকে গ্রেফতার করা হয় তেলেঙ্গানা ও অন্ধ্রপ্রদেশ থেকে। জিজ্ঞাসাবাদে একাধিক চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে আসে। তারপরেই ১৯ সেপ্টেম্বরের বৈঠকে গোপনে অপারেশন মিডনাইট চালানোর পরিকল্পনা নেওয়া হয়।
পিএফআইয়ের সঙ্গে সন্ত্রাসবাদের যোগ
সম্প্রতি একাধিক গোয়েন্দা সংস্থা কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রককে পিএফআই সম্পর্কে সতর্ক করেছিল। গোয়েন্দা সংস্থার রিপোর্ট জানানো হয়েছে, ক্রমেই ভারতে শক্তিশালী নেটওয়ার্ক গড়ে তুলছে পপুলার ফ্রন্ট অফ ইন্ডিয়া। তহবিহল সংগ্রহ করছে বিভিন্ন দেশ থেকে বলে গোয়েন্দা আধিকারিকদের কাছে তথ্য ছিল। একাধিক স্তরে বিদেশ থেকে তহবিল সংগ্রহ করা হতো বলে অভিযোগ। এছাড়াো পিএফআইয়ের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবাদ ও মানুষকে হত্যা করার প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ করা হয়েছে। এনআইএ তাদের একটি রিপোর্টে জানিয়েছিল, পিএফআই কর্মীদের একটি নির্দিষ্ট ধর্মের লোকদের চিহ্নিত করে হত্যা করার প্রশিক্ষণ দিচ্ছে।
সন্তোষ মিত্র স্কোয়ারের পুজো উদ্বোধনে অমিত শাহ! দুর্গাপুজোয় কোন পরিকল্পনায় শান দিচ্ছে বঙ্গ বিজেপি